সিনিয়র রিপোর্টার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম বলেছেন, মেট্রোরেলে আগুন, পুলিশকে হত্যা না করা হলে এতো সহজে বিপ্লব অর্জন করা যেত না। এ সময় তিনি বিএনপির রাজনৈতিক কৌশল নিয়েও সমালোচনা করেন।
বেসরকারি টিভি ডিবিসির ‘প্রযত্নে বাংলাদেশ’ টকশোতে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন হাসিব আল ইসলাম। শনিবার (২৬ অক্টোবর) ডিবিসির নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে এই ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়। টকশোতে আরো অংশ নিয়েছিলেন বিএনপি নেত্রী নিলুফার চৌধুরী মনি।
রাষ্ট্রপতির পদে থাকা না থাকা নিয়ে বিতর্ক চলছে—এ নিয়ে ডিবিসির প্রযত্নে বাংলাদেশের উপস্থাপিকা ঝুমি রহমান হাসিব আল ইসলামকে প্রশ্ন করেন, রাষ্ট্রপতির কাছে যখন শপথ নেওয়া হয়েছিল, তখন কী আপস হয়নি? এর উত্তরে হাসিব বলেন, ‘দেখুন, তখন কিন্তু আপস হয়নি। আমরা কিন্তু বলিনি যে, আমাদের যে বিপ্লবটা, যে অভ্যুত্থানটি হয়েছে সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে তা শেষ হয়ে গেছে। আমাদের যে এক দফার ঘোষণা, সেই ঘোষণাপত্রে আমরা ফ্যাসিবাদের পতন, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার পুরোপুরি বিলোপসহ তিনটি বিষয় উল্লেখ করেছিলাম। তখন শুধু ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছিল। বাকি আরো দুটো, তার মানে আমাদের লড়াইটা শেষ হয়ে যায়নি। আমাদের বিপ্লবটা চলমান।’
হাসিব আল ইসলাম আরো বলেন, ‘আমরা এটিকে বিপ্লব বলছি বা গণঅভ্যুত্থান, যাই বলি না কেন, এটি কোনো সাংবিধানিক নিয়ম মেনে হয়নি, আইন মেনে হয়নি। আইন যদি মানতে যেতাম, তাহলে কিন্তু এই বিপ্লবগুলো হতো না। যদি মেট্রোরেলে আগুন না দেওয়া হতো, যদি পুলিশদের না মারা হতো তাহলে এই বিপ্লব এত সহজে অর্জিত হতো না। ফ্যাসিবাদের পতন নিশ্চিত করা যেত না। এখানে কিন্তু নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে, পৃথিবীর সকল বিপ্লবই সংবিধান বা নিয়মের বাইরে যেয়ে হয়েছে। এ কারণে আইনের বাইরে যেয়ে বা সাংবাধানিক পদ শূন্য হবে এরকম কথা বিপ্লব বা অভ্যুত্থানের ক্ষেত্রে কতটা যৌক্তিক সেটি আমার কাছে মনে হচ্ছে না।’
বিএনপিকে উদ্দেশ করে এই সমন্বয়ক বলেন, ‘যদি বিএনপি গত ১৫ বছরে সঠিকভাবে তাদের সক্ষমতা দেখাতে পারত, তাহলে ফ্যাসিজম এভাবে দেশের মানুষের ওপর থাকতে পারত না।’
সূত্র ইনডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন অনলাইন।