ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনে সাংবাদিকরা মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে পারবেন 

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৩:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • 118

সিনিয়র রিপোর্টার : নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংবাদিকদের জন্য সীমিত আকারে মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে সংশোধিত নীতিমালা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে করে নির্বাচনি সংবাদ সংগ্রহের সময় মোটরসাইকেল ব্যবহারের বাধা কাটল সাংবাদিকদের।

আজ মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত সংশোধিত নীতিমালা জারি করা হয়।

সংশোধিত নীতিমালায় বলা হয়, সাংবাদিকদের যাতায়াতের জন্য যৌক্তিক সংখ্যক গাড়ির স্টিকার দেওয়া হবে। প্রয়োজনীয়তার নিরিখে ও বাস্তবতার আলোকে স্থানীয় প্রশাসন (রিটার্নিং অফিসার, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার সমন্বিতভাবে) প্রকৃত সাংবাদিকদের ভোটকেন্দ্রে গমনাগমন করতে; সংবাদ সংগ্রহের লক্ষ্যে সীমিত পর্যায়ে মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি দিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিককে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগপত্র, প্রেস আইডির কপি, এনআইডির কপি এবং যে মোটরসাইকেল ব্যবহার করা হবে, সেই মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশনের কাগজপত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাগজপত্র রিটার্নিং/সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দিতে হবে। সঠিকতা যাচাই করে রিটার্নিং অফিসার বা রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি দেবেন। কোনো সাংবাদিকের জন্য গাড়ির স্টিকার প্রদান করা হলে স্টিকারের ক্রমিক নম্বর রেজিস্ট্রারে লিখে রাখতে হবে। 

এর আগে গত (১২ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশন গণমাধ্যমকর্মীদের ভোটকক্ষে প্রবেশসহ নির্বাচনী এলাকায় সংবাদ সংগ্রহ নিয়ে একটি নীতিমালা জারি করে। এতে নির্বাচনি সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিকদের চলাচলে মোটরসাইকেল ব্যবহার, ১০ মিনিটের বেশি ভোটকক্ষে অবস্থান ও ভোটকক্ষ থেকে সরাসরি সম্প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়। নীতিমালাটি জাতীয় সংসদ, উপজেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন ও উপনির্বাচনের জন্য প্রযোজ্য হবে বলে জানানো হয়। তাৎক্ষণিকভাবে এতে আপত্তি জানায় নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ‘রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি)’-সহ বিভিন্ন সংগঠন। বিষয়টি নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এক বিবৃতি দিয়ে ইসির সমালোচনা করে। ওই নীতিমালার কারণে গত (২৬ মে) থেকে (২১ জুন) পর্যন্ত অনুষ্ঠিত পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনসহ অন্যান্য নির্বাচনে সাংবাদিকরা মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি পাননি। 

বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে যুক্তরাজ্য। এরপর গত (২৭ আগস্ট) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক। তিনি বলেন, মোটরসাইকেল ছাড়া সাংবাদিকদের নির্বাচনি কর্মকাণ্ড কভার করা কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে বলে গণমাধ্যমের যে দাবি, সেটাও যৌক্তিক। বৈঠক শেষে সিইসি সাংবাদিকদের সারাহ কুকের ওই বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলেন, আমরা বলেছি, মোটরসাইকেলের অপব্যবহার হতে পারে এবং যারা মাসলম্যান (পেশিশক্তি ব্যবহারকারী) তারা মোটরসাইকেল ব্যবহারের সুযোগ নিয়ে সংকট তৈরি করতে পারে কি না- এই প্রশ্নে এটি বাদ রাখা হয়েছিল। বিষয়টি আমরা বিবেচনাধীন রেখেছি এবং আমরা যথাযথভাবে পরিবর্তন করব।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনের দিন সাংবাদিকরা মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে পারবেন। তবে তাদের জন্য কিছু সাধারণ শর্ত থাকবে। যেমন- চালকের লাইসেন্স থাকা, মোটরসাইকেলের নিবন্ধনসহ অন্যান্য কাগজপত্র থাকা প্রভৃতি। 

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচনে সাংবাদিকরা মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে পারবেন 

আপডেট সময় ০৩:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সিনিয়র রিপোর্টার : নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংবাদিকদের জন্য সীমিত আকারে মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে সংশোধিত নীতিমালা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে করে নির্বাচনি সংবাদ সংগ্রহের সময় মোটরসাইকেল ব্যবহারের বাধা কাটল সাংবাদিকদের।

আজ মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত সংশোধিত নীতিমালা জারি করা হয়।

সংশোধিত নীতিমালায় বলা হয়, সাংবাদিকদের যাতায়াতের জন্য যৌক্তিক সংখ্যক গাড়ির স্টিকার দেওয়া হবে। প্রয়োজনীয়তার নিরিখে ও বাস্তবতার আলোকে স্থানীয় প্রশাসন (রিটার্নিং অফিসার, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার সমন্বিতভাবে) প্রকৃত সাংবাদিকদের ভোটকেন্দ্রে গমনাগমন করতে; সংবাদ সংগ্রহের লক্ষ্যে সীমিত পর্যায়ে মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি দিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিককে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগপত্র, প্রেস আইডির কপি, এনআইডির কপি এবং যে মোটরসাইকেল ব্যবহার করা হবে, সেই মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশনের কাগজপত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাগজপত্র রিটার্নিং/সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দিতে হবে। সঠিকতা যাচাই করে রিটার্নিং অফিসার বা রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি দেবেন। কোনো সাংবাদিকের জন্য গাড়ির স্টিকার প্রদান করা হলে স্টিকারের ক্রমিক নম্বর রেজিস্ট্রারে লিখে রাখতে হবে। 

এর আগে গত (১২ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশন গণমাধ্যমকর্মীদের ভোটকক্ষে প্রবেশসহ নির্বাচনী এলাকায় সংবাদ সংগ্রহ নিয়ে একটি নীতিমালা জারি করে। এতে নির্বাচনি সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিকদের চলাচলে মোটরসাইকেল ব্যবহার, ১০ মিনিটের বেশি ভোটকক্ষে অবস্থান ও ভোটকক্ষ থেকে সরাসরি সম্প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়। নীতিমালাটি জাতীয় সংসদ, উপজেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন ও উপনির্বাচনের জন্য প্রযোজ্য হবে বলে জানানো হয়। তাৎক্ষণিকভাবে এতে আপত্তি জানায় নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ‘রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি)’-সহ বিভিন্ন সংগঠন। বিষয়টি নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এক বিবৃতি দিয়ে ইসির সমালোচনা করে। ওই নীতিমালার কারণে গত (২৬ মে) থেকে (২১ জুন) পর্যন্ত অনুষ্ঠিত পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনসহ অন্যান্য নির্বাচনে সাংবাদিকরা মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি পাননি। 

বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে যুক্তরাজ্য। এরপর গত (২৭ আগস্ট) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক। তিনি বলেন, মোটরসাইকেল ছাড়া সাংবাদিকদের নির্বাচনি কর্মকাণ্ড কভার করা কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে বলে গণমাধ্যমের যে দাবি, সেটাও যৌক্তিক। বৈঠক শেষে সিইসি সাংবাদিকদের সারাহ কুকের ওই বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলেন, আমরা বলেছি, মোটরসাইকেলের অপব্যবহার হতে পারে এবং যারা মাসলম্যান (পেশিশক্তি ব্যবহারকারী) তারা মোটরসাইকেল ব্যবহারের সুযোগ নিয়ে সংকট তৈরি করতে পারে কি না- এই প্রশ্নে এটি বাদ রাখা হয়েছিল। বিষয়টি আমরা বিবেচনাধীন রেখেছি এবং আমরা যথাযথভাবে পরিবর্তন করব।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনের দিন সাংবাদিকরা মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে পারবেন। তবে তাদের জন্য কিছু সাধারণ শর্ত থাকবে। যেমন- চালকের লাইসেন্স থাকা, মোটরসাইকেলের নিবন্ধনসহ অন্যান্য কাগজপত্র থাকা প্রভৃতি।