ঢাকা , সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শুক্রবার থেকে কাঁচাবাজারেও নিষিদ্ধ হলো পলিথিন ব্যাগ

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৬:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪
  • 56
অনলাইন ডেস্ক  

 সুপারসপের পর এবার কাঁচাবাজারেও নিষিদ্ধ হলো পলিথিন ব্যাগ। শুক্রবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হচ্ছে। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও তা বাস্তবায়ন কঠিন হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের পরামর্শ, শুরুতেই বাজারে নয়, পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি পাটসহ পরিবেশবান্ধব ব্যাগ ব্যবহারে বাড়াতে হবে সচেতনতা। সরবরাহকারীরা বলছেন, পলিথিন নিষিদ্ধ হলেও বিকল্প কিছু নেই তাদের কাছে। বিক্রেতারা বলছেন, পলিথিনের গ্রাহক আসছে রোজ। কিন্তু পলিথিন দেওয়া যাচ্ছে না। পলিথিনের বিকল্প কিছু না আসায় আরও সমস্যা। বিকল্প কিছু আসবে এমন কথা শোনা গেলেওকিন্তু এখনও তা আসেনি।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) সমন্বয়কারী লিংকন গায়েন গণমাধ্যমকে বলেন, এটা সত্য যে পলিথিন পরিবেশ, খাল–নদী ও মাটির জন্য বিপদজনক, তাই এটি বন্ধ হওয়া দরকার। পাশাপাশি এটিও সত্য যে বাজারে বিকল্প সামগ্রি না দেওয়ায় বিভিন্ন সময় সরকার গৃহীত পলিথিন বন্ধের ঘোষণা সুফল পায়নি। এবারেও আমরা মনে করি সাধারণ মানুষ এখনও প্রস্তুত হয়ে উঠতে পারেনি। এখনও বিকল্প কিছু বাজারে আসেনি। এ অবস্থায় পর্যায়ক্রমে পলিথিন বন্ধের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।

উল্লেখ্য, দেশে ২০০২ সালে পলিথিন নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু গত দুই দশকের বেশি সময় নজরদারি ও আইনের প্রয়োগ না থাকায় সেই উদ্যোগ সফল হয়নি।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

দুদেশের জনগণের মধ্যে সুসম্পর্ক চায় দিল্লি : ভারতের পররাষ্ট্র সচিব

শুক্রবার থেকে কাঁচাবাজারেও নিষিদ্ধ হলো পলিথিন ব্যাগ

আপডেট সময় ০৬:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪
অনলাইন ডেস্ক  

 সুপারসপের পর এবার কাঁচাবাজারেও নিষিদ্ধ হলো পলিথিন ব্যাগ। শুক্রবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হচ্ছে। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও তা বাস্তবায়ন কঠিন হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের পরামর্শ, শুরুতেই বাজারে নয়, পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি পাটসহ পরিবেশবান্ধব ব্যাগ ব্যবহারে বাড়াতে হবে সচেতনতা। সরবরাহকারীরা বলছেন, পলিথিন নিষিদ্ধ হলেও বিকল্প কিছু নেই তাদের কাছে। বিক্রেতারা বলছেন, পলিথিনের গ্রাহক আসছে রোজ। কিন্তু পলিথিন দেওয়া যাচ্ছে না। পলিথিনের বিকল্প কিছু না আসায় আরও সমস্যা। বিকল্প কিছু আসবে এমন কথা শোনা গেলেওকিন্তু এখনও তা আসেনি।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) সমন্বয়কারী লিংকন গায়েন গণমাধ্যমকে বলেন, এটা সত্য যে পলিথিন পরিবেশ, খাল–নদী ও মাটির জন্য বিপদজনক, তাই এটি বন্ধ হওয়া দরকার। পাশাপাশি এটিও সত্য যে বাজারে বিকল্প সামগ্রি না দেওয়ায় বিভিন্ন সময় সরকার গৃহীত পলিথিন বন্ধের ঘোষণা সুফল পায়নি। এবারেও আমরা মনে করি সাধারণ মানুষ এখনও প্রস্তুত হয়ে উঠতে পারেনি। এখনও বিকল্প কিছু বাজারে আসেনি। এ অবস্থায় পর্যায়ক্রমে পলিথিন বন্ধের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।

উল্লেখ্য, দেশে ২০০২ সালে পলিথিন নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু গত দুই দশকের বেশি সময় নজরদারি ও আইনের প্রয়োগ না থাকায় সেই উদ্যোগ সফল হয়নি।