ঢাকা , বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রশিক্ষণে শৃঙ্খলা ভঙ্গ, আরও ৫৮ এসআইকে অব্যাহতি

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৪:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪
  • 31

অনলাইন ডেস্ক  :   শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে রাজশাহীর চারঘাটে সারদা পুলিশ একাডেমিতে চূড়ান্তভাবে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণরত আরও ৫৮ জন উপ-পরিদর্শককে (এসআই) অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।সোমবার (০৪ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের মিডিয়া ইউনিটের এআইজি ইনামুল হক সাগর। এ নিয়ে ৪০তম এসআই ব্যাচের মোট ৩১০ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।  

এর আগে, দুই দফায় ৫৯ ক্যাডেটকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে প্রশিক্ষণ হলে শৃঙ্খলার সঙ্গে না বসে হইচই করার অভিযোগ আনা হয়।   গত ২১ অক্টোবর শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে চূড়ান্তভাবে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণরত ২৫২ জন উপ-পরিদর্শককে (এসআই) অব্যাহতি দেওয়া হয়।  

একাডেমির অধ্যক্ষের পক্ষে পুলিশ সুপার (অ্যাডমিন অ্যান্ড লজিস্টিক) তারেক বিন রশিদের সই করা চিঠিতে তারা অব্যাহতি পান। স্থানীয় থানাগুলোতে ডেকে তাদের হাতে এই চিঠি দেওয়া হয়।

ওই চিঠিতে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি প্যারেড মাঠে ১ অক্টোবর ৪০তম বিসিএস (পুলিশ) প্রবেশনারস ব্যাচ–২০২৩–এর সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুশীলন প্যারেড কার্যক্রম চলছিল। এ সময়ে পূর্বনির্ধারিত মেনু অনুযায়ী প্যারেডে অংশগ্রহণকারী সব প্রশিক্ষণার্থীর প্যারেড বিরতিতে সকালের নাশতা পরিবেশন করা হয়।  

কিন্তু প্রশিক্ষণরত ওই এসআইরা নাশতা না খেয়ে হইচই করে মাঠের মধ্যে চরম বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করেন। তারা অন্যান্য প্রশিক্ষণরত ক্যাডেট এসআইদের পরস্পর সংগঠিত করে একাডেমি কর্তৃপক্ষকে হেয়প্রতিপন্ন করে চরম বিশৃঙ্খলা ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করতে থাকেন।  

এ ছাড়া তারা অন্যদের সঙ্গে হইচই করতে করতে নিজের খেয়াল-খুশিমতো প্রশিক্ষণ মাঠ থেকে বের হয়ে নিজ ব্যারাকে চলে যান। একজন প্রশিক্ষণরত ক্যাডেট এসআই হিসেবে এরূপ আচরণ এবং বিনা অনুমতিতে প্যারেড মাঠ থেকে বের হয়ে নিজ ব্যারাকে চলে যাওয়া সম্পূর্ণভাবে শৃঙ্খলাপরিপন্থী।  

শৃঙ্খলাবিরোধী এ ধরনের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশ পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ ও দায়িত্বশীল পদ হিসেবে বিবেচিত সাব–ইন্সপেক্টর পদে কাজ করার পথে বড় ধরনের অন্তরায় ও অযোগ্যতার শামিল। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০২৩ সালে পুলিশের এসআই পদে নিয়োগের জন্য ৮২৩ জনকে চূড়ান্ত করে তাদের পাঠানো হয় সারদার পুলিশ একাডেমিতে।  

বিসিএসে যোগদানসহ বিভিন্ন কারণে ১৯ জন অব্যাহতি নেওয়ার পর সবশেষে ছিলেন ৮০৪ জন। ৪০তম ব্যাচের ক্যাডেট হিসেবে প্রশিক্ষণ শেষ করে আগামী মাসেই তাদের চাকরিতে যোগদানের কথা ছিল। পরে ২২ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণরত ২৫২ জন উপপরিদর্শককে (এসআই) শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, রাজনৈতিক কারণে নয়।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

মার্কিন মিসাইল দিয়ে রাশিয়ায় হামলা ইউক্রেনের, উত্তেজনা তুঙ্গে

প্রশিক্ষণে শৃঙ্খলা ভঙ্গ, আরও ৫৮ এসআইকে অব্যাহতি

আপডেট সময় ০৪:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক  :   শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে রাজশাহীর চারঘাটে সারদা পুলিশ একাডেমিতে চূড়ান্তভাবে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণরত আরও ৫৮ জন উপ-পরিদর্শককে (এসআই) অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।সোমবার (০৪ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের মিডিয়া ইউনিটের এআইজি ইনামুল হক সাগর। এ নিয়ে ৪০তম এসআই ব্যাচের মোট ৩১০ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।  

এর আগে, দুই দফায় ৫৯ ক্যাডেটকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে প্রশিক্ষণ হলে শৃঙ্খলার সঙ্গে না বসে হইচই করার অভিযোগ আনা হয়।   গত ২১ অক্টোবর শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে চূড়ান্তভাবে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণরত ২৫২ জন উপ-পরিদর্শককে (এসআই) অব্যাহতি দেওয়া হয়।  

একাডেমির অধ্যক্ষের পক্ষে পুলিশ সুপার (অ্যাডমিন অ্যান্ড লজিস্টিক) তারেক বিন রশিদের সই করা চিঠিতে তারা অব্যাহতি পান। স্থানীয় থানাগুলোতে ডেকে তাদের হাতে এই চিঠি দেওয়া হয়।

ওই চিঠিতে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি প্যারেড মাঠে ১ অক্টোবর ৪০তম বিসিএস (পুলিশ) প্রবেশনারস ব্যাচ–২০২৩–এর সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুশীলন প্যারেড কার্যক্রম চলছিল। এ সময়ে পূর্বনির্ধারিত মেনু অনুযায়ী প্যারেডে অংশগ্রহণকারী সব প্রশিক্ষণার্থীর প্যারেড বিরতিতে সকালের নাশতা পরিবেশন করা হয়।  

কিন্তু প্রশিক্ষণরত ওই এসআইরা নাশতা না খেয়ে হইচই করে মাঠের মধ্যে চরম বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করেন। তারা অন্যান্য প্রশিক্ষণরত ক্যাডেট এসআইদের পরস্পর সংগঠিত করে একাডেমি কর্তৃপক্ষকে হেয়প্রতিপন্ন করে চরম বিশৃঙ্খলা ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করতে থাকেন।  

এ ছাড়া তারা অন্যদের সঙ্গে হইচই করতে করতে নিজের খেয়াল-খুশিমতো প্রশিক্ষণ মাঠ থেকে বের হয়ে নিজ ব্যারাকে চলে যান। একজন প্রশিক্ষণরত ক্যাডেট এসআই হিসেবে এরূপ আচরণ এবং বিনা অনুমতিতে প্যারেড মাঠ থেকে বের হয়ে নিজ ব্যারাকে চলে যাওয়া সম্পূর্ণভাবে শৃঙ্খলাপরিপন্থী।  

শৃঙ্খলাবিরোধী এ ধরনের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশ পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ ও দায়িত্বশীল পদ হিসেবে বিবেচিত সাব–ইন্সপেক্টর পদে কাজ করার পথে বড় ধরনের অন্তরায় ও অযোগ্যতার শামিল। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০২৩ সালে পুলিশের এসআই পদে নিয়োগের জন্য ৮২৩ জনকে চূড়ান্ত করে তাদের পাঠানো হয় সারদার পুলিশ একাডেমিতে।  

বিসিএসে যোগদানসহ বিভিন্ন কারণে ১৯ জন অব্যাহতি নেওয়ার পর সবশেষে ছিলেন ৮০৪ জন। ৪০তম ব্যাচের ক্যাডেট হিসেবে প্রশিক্ষণ শেষ করে আগামী মাসেই তাদের চাকরিতে যোগদানের কথা ছিল। পরে ২২ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণরত ২৫২ জন উপপরিদর্শককে (এসআই) শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, রাজনৈতিক কারণে নয়।