সিনিয়র রিপোর্টার
পুরানা পল্টনে ট্রাভেল এজেন্সির ৬০ লাখ টাকার বেশি আত্মসাৎ ও সেই টাকায় ফ্ল্যাট ক্রয়ের অভিযোগে নিকসন মিয়া (৪০) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির পল্টন মডেল থানা পুলিশ।
রবিবার (৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে বারোটায় ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের শিলাসী নামক স্থান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পল্টন থানা সূত্রে জানা যায়, গত (২৮ অক্টোবর) পুরানা পল্টনের আলগাজী ট্রাভেলসের কমিউনিকেশন ম্যানেজার মীর আহসান হাবিব (৪৪) এর অভিযোগের প্রেক্ষিতে পল্টন থানায় একটি প্রতারণার মামলা রুজু হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১২ সালের মে মাসের ১ তারিখ থেকে নিকসন মিয়া আলগাজী ট্রাভেলস অফিসের টিকেটের সেলসম্যান ও পরবর্তীতে টিকেটিং অফিসার হিসাবে নিয়োজিত ছিলেন। কর্মরত থাকাকালীন নিকসন মিয়ার কোম্পানীর টিকেট ইস্যুর দুটি আইডি ছিল। একটি আইডি কোম্পানীর নামে ও একটি তার নিজের নামে। উক্ত আইডি দিয়ে নিকসন মিয়া টিকেট ইস্যু করতো এবং ওটিপি নিকসন মিয়ার ই-মেইলে এবং কোম্পানীর ই-মেইলেও আসতো। নিকসন মিয়া টিকেট ইস্যুর পরে মেইল গুলো মুছে ফেলত। গত ১৫ অক্টোবর নিকসন মিয়ার আচরনে সন্দেহ হলে কোম্পানীর হিসাব ও জাজিরা এয়ার লাইন্স থেকে নিকসন মিয়ার ইস্যুকৃত টিকেটের হিসাবের গড়মিল পাওয়া যায়। পরবর্তী সময়ে জাজিরা এয়ার লাইন্স থেকে হিসাব বিবরণী নিলে নিকসন মিয়ার ইস্যুকৃত টিকেটের মূল্য বাবদ ৬০ লাখ ৯৩ হাজার ৭২০ টাকার গড় মিল পাওয়া যায়।
তখন নিকসন মিয়ার নিকট ইস্যুকৃত টিকেটের হিসাব চাইলে তিনি উপস্থিত অফিসের অন্যান্যদের সামনে স্বীকার করেন যে, গত ২০/০৭/২০২২ তারিখ থেকে ১৫/১০/২০২৪ তারিখ পর্যন্ত তিনি ৬০ লাখ ৯৩ হাজার ৭২০ টাকা অফিসের অ্যাকাউন্টে জমা প্রদান না করে সেই টাকা দিয়ে কদমতলীর মুজাহিদ নগরে একটি ফ্ল্যাট ক্রয় করেছে। নিকসন মিয়া সেই টাকা ফেরত দেবে বলে কোম্পানীর নামে আল আরাফা ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, মতিঝিল, শাখার নামে তিন লাখ ও ১৬ লাখ ১৪ হাজার ৫৩৪ টাকার দুটি চেক প্রদান করে এবং বাকি টাকা কোম্পানীতে কাজ করে পর্যায়ক্রমে পরিশোধ করবে বলে জানায়। কিন্তু নিকসন (২৪ অক্টোবর) থেকে আর অফিসে আসেনি। অফিসে প্রদত্ত দুটি মোবাইলে ফোন করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তদন্তাধীন এই মামলায় গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে (৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে বারোটায় ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের শিলাসী নামক স্থান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।