সিনিয়র রিপোর্টার
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বুধবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর পশ্চিম ধানমন্ডি এলাকার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, পশ্চিম ধানমন্ডি এলাকার এক আত্মীয়ের বাসায় তিনি লুকিয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগসহ ১৫টি মামলা আছে।
এর আগে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে আমির হোসেন আমু লুকিয়ে আছেন সন্দেহে রাজধানীর বসুন্ধরায় একটি ভবন ঘেরাও করেন শিক্ষার্থীরা। প্রায় ৪ ঘণ্টা ভবনটি ঘেরাও করে রাখার পর তাকে না পেয়ে সেখানে ভাঙচুর করেন বিক্ষুব্ধরা।
আমির হোসেন আমু ঝালকাঠি-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। ২০১৩ সালে তিনি ভূমি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পান। ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং শিল্পমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। নিজ নামে ও অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনের নামে-বেনামে দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগে অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সম্প্রতি এই আওয়ামী লীগ নেতার ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। একইসঙ্গে তার সন্তান এবং তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। আগামী ৩০ দিন এসব হিসাবে কোনো ধরনের লেনদেন করা যাবে না।
আমির হোসেন আমু ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৬-০৮ সাল পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে শেখ হাসিনা যখন বন্দী ছিলেন, তখন যে কয়জন নেতা দলের নেতৃত্বে ছিলেন, আমু তাদের একজন। সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় মহাজোটের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।