অনলাইন ডেস্ক : ভিসা নিষেধাজ্ঞা আমেরিকার গতানুগতিক প্রক্রিয়া উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার প্রভাব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর পড়বে না। এ নিয়ে সরকার কিংবা আইনশৃঙ্খলাবাহিনী কোনোভাবেই উদ্বিগ্ন নয়। তাদের দেশের ভিসা নীতি, আমাদের এখানে কেন প্রভাব পড়বে? আগেও তো ভিসা চাইলেই সবাইকে দিত না। মানে, এটা তো সে রকমই। তারা অন্য কিছু বলেনি। বলেনি তো অমুক দল, অমুক সংগঠনকে যেতে দেবে না। কাজেই এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। তাই তারা কাকে ভিসা দেবে, কাকে দেবে না, এটা তাদের ব্যাপার।
আজ বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নওগাঁর নিয়ামতপুরে শিবপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র উদ্বোধন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতে রয়েছে জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বর্তমান সময় ও নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই পরিচালনা করবে। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের কোনো ঘাটতি নেই। আগে যেমন ছিলো এখনও তেমনই আছে। বিষয়টি নিয়ে একটি মহল বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেনখাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে জানান, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা দেয়ার জন্য দায়ী ব্যক্তি বা এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ শুরু করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, সরকার ও বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীরাও থাকবেন।
মার্কিন ভিসানীতির আওতায় কারা পড়েছেন, তাদের নাম উল্লেখ করা হয়নি। মিলার বলেছেন, যারা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন তাদের ব্যক্তিগতভাবে জানানো হবে। যাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হচ্ছে সেসব ব্যক্তি বা তাদের পরিবারের সদস্যরাও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবে না।