সিনিয়র রিপোর্টার
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদসহ কমিশনের পাঁচ কর্মকর্তা রাষ্ট্রপতির কাছে অব্যাহতি চেয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) তারা পদত্যাগপত্র জমা দেন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কমিশন থেকে পদত্যাগকারী পাঁচ কর্মকর্তা হলেন অবৈতনিক সদস্য অধ্যাপক ড. তানিয়া হক, অবৈতনিক সদস্য বিশ্বজিৎ চন্দ, অবৈতনিক সদস্য কংজুরী চৌধুরী, অবৈতনিক সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম ও সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা।
রাষ্ট্রপতি বরাবর দেওয়া পদত্যাপত্রে কমিশনের চেয়ারম্যান উল্লেখ করেন, আপনার সদয় অবগতির জন্য বিনীতভাবে উল্লেখ করছি যে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে আমি আমার পদ থেকে অব্যাহতি প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে আজ ৭/১১/২৪ তারিখ, আমি আমার পদত্যাগপত্র জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন ২০০৯-এর ৬(৪) ধারার বিধান মোতাবেক আপনার নিকট দাখিল করলাম। অনুগ্রহপূর্বক এ পদত্যাগ পত্র গ্রহণের বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারকের পদমর্যাদাসহ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে ড. কামাল উদ্দিন আহমেদকে নিয়োগ দেন। তার আগে তিনি ২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ফৌজদার হাট ক্যাডেট কলেজ, চট্টগ্রাম থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক সম্পন্ন করেন এবং ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তিনি যুক্তরাজ্য থেকে বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর এবং নিউজিল্যান্ড থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
কামাল উদ্দিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতো অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দুটি মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের একজন সদস্য ছিলেন। এ ছাড়া নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনোমিকসের একজন অধ্যাপক ছিলেন।