ঢাকা , বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সহযোগী তৌফিকাসহ আনিসুল হকের ‘অবৈধ সম্পদের’ খোঁজে দুদক

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৬:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪
  • 2

সিনিয়র রিপোর্টার

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সিটিজেন চার্টার ব্যাংকের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিমসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রবিবার (১০ নভেম্বর) দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আখতারুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

যাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তারা হলেন- মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন আহম্মেদ, তার স্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সোহানা তাহমিনা, মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আনিসউজ্জামান আনিস, মীরকাদিম পৌরসভার সাবেক মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহিন এবং সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আফসার উদ্দিন ভূঁইয়া আফসু।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোটি কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, আনিসুল হক মন্ত্রী থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রচুর অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। নিজ নামে কসবা, ত্রিশাল এবং পূর্বাচলে ৬.৮০ একর জমি কিনেছেন। সিটিজেন ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংকে শেয়ারের পরিমাণ ৪০.১০ কোটি টাকা। সঞ্চয়পত্র, বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা এবং অন্যান্য বিনিয়োগ ২৩ কোটি ২৬ লাখ ৭৯ হাজার ৮৮৪ টাকা। এছাড়া ৪টি গাড়ি ও ১টি মোটরসাইকেল রয়েছে।

এছাড়া তৌফিকা করিমের নামে-বেনামে দেশে-বিদেশে অঢেল সম্পদ রয়েছে। তৌফিকা করিম সিটিজেন চার্টার ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন বিধায় তার মাধ্যমে আনিসুল হক কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে কোটি কোটি টাকা পাচার করতেন। তিনি নিম্ন আদালতের অধিকাংশ কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে জনপ্রতি ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ করতেন। তার সব দুর্নীতির সঙ্গে তৌফিকা করিমের সংশ্লিষ্টতা ছিল বলে তথ্যানুসন্ধানে জানতে পারে দুদক। আনিসুল হক ও অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিম ও তার অন্যান্য আত্মীয় স্বজনের নামে-বেনামে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রচুর জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের মালিক হয়েছেন।

বাকি ৫ আসামির বিরুদ্ধে নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। মহিউদ্দিন আহম্মেদ ৪টি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির মালিক এবং তার স্ত্রী সোহানা তাহমিনা ক্ষমতার অপব্যবহার করে চাঁদাবাজি, জমিদখল ও অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করেছেন। তার অবৈধ সম্পদের মধ্যে রয়েছে- মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডে ৭৫ লাখ টাকা মূল্যের ফ্ল্যাট, ১টি ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ি। এছাড়া তাদের নামে-বেনামে আরও অনেক সম্পদ রয়েছে। আনিসুজ্জামান আনিসের নামে মুন্সীগঞ্জ শহরে ৩৯৬০ বর্গফুট বিশিষ্ট ৫ তলা ‘মুন্সীগঞ্জ টাওয়ার’, কোর্টগাঁও মৌজায় ২ তলা ভবন রয়েছে। ২০২৩-২৪ সালের আয়কর নথিতে তার নিট সম্পদের মূল্য ৯৩ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। শহিদুল ইসলাম শাহিন মুন্সীগঞ্জের মীরকাদিম পৌরসভার গোয়ালঘুন্নী এলাকায় ৫ তলা ভবন নির্মাণ করেন। আফসার উদ্দিন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে সোয়া ৪ কোটি টাকার সেতু নির্মাণের অনিয়মের তথ্য পাওয়া গেছে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে এ সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে : মির্জা ফখরুল

সহযোগী তৌফিকাসহ আনিসুল হকের ‘অবৈধ সম্পদের’ খোঁজে দুদক

আপডেট সময় ০৬:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সিটিজেন চার্টার ব্যাংকের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিমসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রবিবার (১০ নভেম্বর) দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আখতারুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

যাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তারা হলেন- মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন আহম্মেদ, তার স্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সোহানা তাহমিনা, মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আনিসউজ্জামান আনিস, মীরকাদিম পৌরসভার সাবেক মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহিন এবং সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আফসার উদ্দিন ভূঁইয়া আফসু।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোটি কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, আনিসুল হক মন্ত্রী থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রচুর অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। নিজ নামে কসবা, ত্রিশাল এবং পূর্বাচলে ৬.৮০ একর জমি কিনেছেন। সিটিজেন ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংকে শেয়ারের পরিমাণ ৪০.১০ কোটি টাকা। সঞ্চয়পত্র, বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা এবং অন্যান্য বিনিয়োগ ২৩ কোটি ২৬ লাখ ৭৯ হাজার ৮৮৪ টাকা। এছাড়া ৪টি গাড়ি ও ১টি মোটরসাইকেল রয়েছে।

এছাড়া তৌফিকা করিমের নামে-বেনামে দেশে-বিদেশে অঢেল সম্পদ রয়েছে। তৌফিকা করিম সিটিজেন চার্টার ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন বিধায় তার মাধ্যমে আনিসুল হক কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে কোটি কোটি টাকা পাচার করতেন। তিনি নিম্ন আদালতের অধিকাংশ কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে জনপ্রতি ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ করতেন। তার সব দুর্নীতির সঙ্গে তৌফিকা করিমের সংশ্লিষ্টতা ছিল বলে তথ্যানুসন্ধানে জানতে পারে দুদক। আনিসুল হক ও অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিম ও তার অন্যান্য আত্মীয় স্বজনের নামে-বেনামে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রচুর জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের মালিক হয়েছেন।

বাকি ৫ আসামির বিরুদ্ধে নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। মহিউদ্দিন আহম্মেদ ৪টি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির মালিক এবং তার স্ত্রী সোহানা তাহমিনা ক্ষমতার অপব্যবহার করে চাঁদাবাজি, জমিদখল ও অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করেছেন। তার অবৈধ সম্পদের মধ্যে রয়েছে- মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডে ৭৫ লাখ টাকা মূল্যের ফ্ল্যাট, ১টি ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ি। এছাড়া তাদের নামে-বেনামে আরও অনেক সম্পদ রয়েছে। আনিসুজ্জামান আনিসের নামে মুন্সীগঞ্জ শহরে ৩৯৬০ বর্গফুট বিশিষ্ট ৫ তলা ‘মুন্সীগঞ্জ টাওয়ার’, কোর্টগাঁও মৌজায় ২ তলা ভবন রয়েছে। ২০২৩-২৪ সালের আয়কর নথিতে তার নিট সম্পদের মূল্য ৯৩ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। শহিদুল ইসলাম শাহিন মুন্সীগঞ্জের মীরকাদিম পৌরসভার গোয়ালঘুন্নী এলাকায় ৫ তলা ভবন নির্মাণ করেন। আফসার উদ্দিন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে সোয়া ৪ কোটি টাকার সেতু নির্মাণের অনিয়মের তথ্য পাওয়া গেছে।