ঢাকা , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গণপূর্ত অধিদপ্তরে বেড়েছে  নৈরাজ্য সৃষ্টকারী মহলের উৎপাত

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৫:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • 138

সিনিয়র রিপোর্টার : গণপূর্ত অধিদপ্তরে শ্রমিক নেতাদের ইন্ধনে সক্রিয় হয়ে উঠেছে একটি বিশেষ মহল। শুরু করেছে গণপূর্তের কর্মকর্তা ও শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের হয়রানির চক্রান্ত। দৈনিকভিত্তিক কর্মচারীদের কার্যভিত্তিক কর্মচারীতে উন্নিত করার ইস্যুতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে মেতেছে এ মহল।  

এর আগে তাদের একটা দল গণপূর্তের মূল ফটকে ঘেরাও করে। পরে পুলিশের সহযোগিতায় এবং গণপূর্তের উর্ধ্বতন কর্মকতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। 

অনুসন্ধানে দেখা যায়, যে নিয়োগ ইস্যুতে আন্দোলন চলছে তার কোন ভিত্তি নাই। দৈনিক ভিত্তিক কর্মচারীদের কার্যভিত্তিক কর্মচারিতে উন্নিত করার প্রক্রিয়াটি একান্তই মন্ত্রণালয়ের, যা প্রক্রিয়াধীন। তথাপি একটি বিশেষ মহলের প্ররোচনায় পূর্ত ভবনে এসে বার বার আন্দোলনের নামে অরাজকতা সৃষ্টি করছে। 

আন্দোলনকারীগণ মূলত বিপথগামী হিসাবে পরিচিত। এর আগে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে। গণপূর্তে অস্থিরতা সৃষ্টির মূল হোতা শেরেবাংলা নগর গণপূর্ত উপবিভাগ -২ এ দৈনিক ভিত্তিক সুপারভাইজার হিসাবে কর্মরত মনির হোসেন শোভনকে গত সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর)আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যক্রমের জন্য সাময়িক কর্ম বিরতি প্রদান করা হয়। গণপূর্ত উপবিভাগ-২ এর অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক শরীফ মোঃ সানাউল হককেও অফিস ছুটি ব্যতিত আইন শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজের জন্য শাস্তি দেওয়া হয়। আরবরিকালচার গণপূর্ত উপবিভাগে ভাউচারভিত্তিক কার্যসহকারি মৌমনিকে দীর্ঘদিন অনুপস্থিতির কারণে কর্ম বিরতি প্রদান করা হয়।

বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী এমন কতিপয় কর্মচারী সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে গণপূর্তের পরিচয় ব্যবহার করে গণপূর্তের বাইরে আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করে থাকে। বিষয়টি গণপূর্তের নজরে আসলে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তত্ববায়ক প্রকৌশলী’র (সংস্থাপন) স্বাক্ষরিত একটি আদেশ জারি করা হয়। যেখানে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয় দৈনিক ভিত্তিক কর্মচারীদের নিয়মিতভাবে হাজিরা রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে এবং পূর্বানুমতি ব্যতিত কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবে না।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

গণপূর্ত অধিদপ্তরে বেড়েছে  নৈরাজ্য সৃষ্টকারী মহলের উৎপাত

আপডেট সময় ০৫:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সিনিয়র রিপোর্টার : গণপূর্ত অধিদপ্তরে শ্রমিক নেতাদের ইন্ধনে সক্রিয় হয়ে উঠেছে একটি বিশেষ মহল। শুরু করেছে গণপূর্তের কর্মকর্তা ও শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের হয়রানির চক্রান্ত। দৈনিকভিত্তিক কর্মচারীদের কার্যভিত্তিক কর্মচারীতে উন্নিত করার ইস্যুতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে মেতেছে এ মহল।  

এর আগে তাদের একটা দল গণপূর্তের মূল ফটকে ঘেরাও করে। পরে পুলিশের সহযোগিতায় এবং গণপূর্তের উর্ধ্বতন কর্মকতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। 

অনুসন্ধানে দেখা যায়, যে নিয়োগ ইস্যুতে আন্দোলন চলছে তার কোন ভিত্তি নাই। দৈনিক ভিত্তিক কর্মচারীদের কার্যভিত্তিক কর্মচারিতে উন্নিত করার প্রক্রিয়াটি একান্তই মন্ত্রণালয়ের, যা প্রক্রিয়াধীন। তথাপি একটি বিশেষ মহলের প্ররোচনায় পূর্ত ভবনে এসে বার বার আন্দোলনের নামে অরাজকতা সৃষ্টি করছে। 

আন্দোলনকারীগণ মূলত বিপথগামী হিসাবে পরিচিত। এর আগে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে। গণপূর্তে অস্থিরতা সৃষ্টির মূল হোতা শেরেবাংলা নগর গণপূর্ত উপবিভাগ -২ এ দৈনিক ভিত্তিক সুপারভাইজার হিসাবে কর্মরত মনির হোসেন শোভনকে গত সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর)আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যক্রমের জন্য সাময়িক কর্ম বিরতি প্রদান করা হয়। গণপূর্ত উপবিভাগ-২ এর অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক শরীফ মোঃ সানাউল হককেও অফিস ছুটি ব্যতিত আইন শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজের জন্য শাস্তি দেওয়া হয়। আরবরিকালচার গণপূর্ত উপবিভাগে ভাউচারভিত্তিক কার্যসহকারি মৌমনিকে দীর্ঘদিন অনুপস্থিতির কারণে কর্ম বিরতি প্রদান করা হয়।

বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী এমন কতিপয় কর্মচারী সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে গণপূর্তের পরিচয় ব্যবহার করে গণপূর্তের বাইরে আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করে থাকে। বিষয়টি গণপূর্তের নজরে আসলে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তত্ববায়ক প্রকৌশলী’র (সংস্থাপন) স্বাক্ষরিত একটি আদেশ জারি করা হয়। যেখানে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয় দৈনিক ভিত্তিক কর্মচারীদের নিয়মিতভাবে হাজিরা রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে এবং পূর্বানুমতি ব্যতিত কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবে না।