ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘন কুয়াশায় ঢাকা কুড়িগ্রামের পথঘাট

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি 

কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা আরো কমে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে পথঘাট ও প্রকৃতি। এক সপ্তাহ ধরে ১৭ ডিগ্রি থেকে ১৫ দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে তাপমাত্রা।

রবিবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৭টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস।

স্থানীয়রা জানান, দিনের বেলা তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঠান্ডা অনুভূত হতে থাকে। এ সময় ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে বিস্তীর্ণ এলাকা। শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে বিলম্বে যাতায়াত করছে। জেলার হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন বাড়ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।

এদিকে কুয়াশা ও শীতের কারণে ক্ষেতমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো বিপাকে পড়েছেন। তারা সময়মতো কাজে যেতে পারছেন না। শীতের কবলে পড়েছেন নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের হতদরিদ্র মানুষগুলো।

কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের আবু সাঈদ বলেন, পাঁচ-ছয় দিন থেকে শীত ও ঠান্ডা অনেক বাড়ছে। রাতে বৃষ্টির মতো পড়তে থাকে কুয়াশা। ঠান্ডা ও শীতের কারণে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। তারপরেও সকালে কাজের জন্য বের হয়েছি। কাজ না করলে তো আর সংসার চলবে না।

ওই এলাকার দিনমজুর নামদেল বলেন, আজ খুব কুয়াশা পড়ছে। মানুষ ঘুম থেকে না উঠতেই আমরা কাজের জন্য বের হয়েছি। যতই শীত বা ঠান্ডা হোক না কেন, কাজ ছাড়া কোনো উপায় নাই আমাদের।

কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, চলতি মাসের শেষে অথবা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে হিমেল বাতাস বইতে পারে। তখন ঠান্ডার তীব্রতা বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

ঘন কুয়াশায় ঢাকা কুড়িগ্রামের পথঘাট

আপডেট সময় এক ঘন্টা আগে

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি 

কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা আরো কমে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে পথঘাট ও প্রকৃতি। এক সপ্তাহ ধরে ১৭ ডিগ্রি থেকে ১৫ দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে তাপমাত্রা।

রবিবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৭টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস।

স্থানীয়রা জানান, দিনের বেলা তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঠান্ডা অনুভূত হতে থাকে। এ সময় ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে বিস্তীর্ণ এলাকা। শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে বিলম্বে যাতায়াত করছে। জেলার হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন বাড়ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।

এদিকে কুয়াশা ও শীতের কারণে ক্ষেতমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো বিপাকে পড়েছেন। তারা সময়মতো কাজে যেতে পারছেন না। শীতের কবলে পড়েছেন নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের হতদরিদ্র মানুষগুলো।

কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের আবু সাঈদ বলেন, পাঁচ-ছয় দিন থেকে শীত ও ঠান্ডা অনেক বাড়ছে। রাতে বৃষ্টির মতো পড়তে থাকে কুয়াশা। ঠান্ডা ও শীতের কারণে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। তারপরেও সকালে কাজের জন্য বের হয়েছি। কাজ না করলে তো আর সংসার চলবে না।

ওই এলাকার দিনমজুর নামদেল বলেন, আজ খুব কুয়াশা পড়ছে। মানুষ ঘুম থেকে না উঠতেই আমরা কাজের জন্য বের হয়েছি। যতই শীত বা ঠান্ডা হোক না কেন, কাজ ছাড়া কোনো উপায় নাই আমাদের।

কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, চলতি মাসের শেষে অথবা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে হিমেল বাতাস বইতে পারে। তখন ঠান্ডার তীব্রতা বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।