ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অনতিবিলম্বে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলোর স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্ত করতে হবে : নুর

অনলাইন ডেস্ক  :  অনতিবিলম্বে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলোর স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্ত করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। রবিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচা কচি কাঁচার মেলা মিলনায়তনে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদ কতৃক “বিশেষ শিক্ষা (প্রতিবন্ধী শিক্ষা) ব্যবস্থার আন্তরায় ও উত্তোলনে উপায়” শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি জানান। ইউনিভার্সেল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড.সোহানী হোসেনের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব এ এস এম আব্দুল হালিম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী।

নুরুল হক নুর আরও বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা কিছু বললে যে কোনো সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করে কিন্তু আমরা তদবির করি না, আমি সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি অনতিবিলম্বে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলোর স্বীকৃতি ও এমপিও করতে হবে।  বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিয়োগের তারিখ থেকে চাকরি নিয়মিতকরণ ও বেতন-ভাতা নিশ্চিতকরণ; শতভাগ বিদ্যালয়ে আধুনিক মানসম্পন্ন প্রতিবন্ধীবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণ; প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের বিশেষ শিক্ষা কারিকুলাম অনতিবিলম্বে বাস্তবায়ন করা, একটি আধুনিক থেরাপি সেন্টার নিশ্চিতকরণ ও সব শিক্ষার্থীর মিড-ডে মিলসহ শিক্ষা উপকরণ দিতে হবে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব এ এস এম আব্দুল হালিম বলেন, বর্তমান সরকার সংস্কারের শুরু হতে হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে। বিশেষ শিশুদের পাশাপাশি সব শিশুদের এই চারিত্রিক গঠন ও নীতিশিক্ষার আদর্শে গড়ে তুলতে হবে। তাদের ফেলে দেশ গঠন সম্ভব নয়।

জোনায়েদ সাকি বলেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে শিক্ষকদের দাবিগুলো অনতিবিলম্বে পূরণ করে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়সমূহের স্বীকৃতি ও এমপিও ঘোষণা এবং প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা-২০১৯ এর আলোকে স্বীকৃতি ও বেতন-ভাতা প্রদানের জন্য দাবি জানাচ্ছি, তার ফলে মানবেতর জীবনযাপনকারী শিক্ষক-কর্মচারীরা তাদের নিজেদের অর্থনৈতিক মুক্তি ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শিক্ষাদানের মাধ্যমে সরকারঘোষিত শতভাগ শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে সরকারের হাতকে শক্তিশালী করবে।

সংগঠনটির সভাপতি মো. ইলিয়াস রাজ বলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই বিদ্যালয়গুলোর স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তির একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। এছাড়া ২০১৯ সালে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করে। কিন্তু এখনো এই বিদ্যালয়গুলোর কোনো সুরাহা করতে পারেনি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

অনতিবিলম্বে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলোর স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্ত করতে হবে : নুর

আপডেট সময় এই মাত্র

অনলাইন ডেস্ক  :  অনতিবিলম্বে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলোর স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্ত করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। রবিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচা কচি কাঁচার মেলা মিলনায়তনে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদ কতৃক “বিশেষ শিক্ষা (প্রতিবন্ধী শিক্ষা) ব্যবস্থার আন্তরায় ও উত্তোলনে উপায়” শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি জানান। ইউনিভার্সেল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড.সোহানী হোসেনের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব এ এস এম আব্দুল হালিম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী।

নুরুল হক নুর আরও বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা কিছু বললে যে কোনো সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করে কিন্তু আমরা তদবির করি না, আমি সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি অনতিবিলম্বে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলোর স্বীকৃতি ও এমপিও করতে হবে।  বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিয়োগের তারিখ থেকে চাকরি নিয়মিতকরণ ও বেতন-ভাতা নিশ্চিতকরণ; শতভাগ বিদ্যালয়ে আধুনিক মানসম্পন্ন প্রতিবন্ধীবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণ; প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের বিশেষ শিক্ষা কারিকুলাম অনতিবিলম্বে বাস্তবায়ন করা, একটি আধুনিক থেরাপি সেন্টার নিশ্চিতকরণ ও সব শিক্ষার্থীর মিড-ডে মিলসহ শিক্ষা উপকরণ দিতে হবে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব এ এস এম আব্দুল হালিম বলেন, বর্তমান সরকার সংস্কারের শুরু হতে হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে। বিশেষ শিশুদের পাশাপাশি সব শিশুদের এই চারিত্রিক গঠন ও নীতিশিক্ষার আদর্শে গড়ে তুলতে হবে। তাদের ফেলে দেশ গঠন সম্ভব নয়।

জোনায়েদ সাকি বলেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে শিক্ষকদের দাবিগুলো অনতিবিলম্বে পূরণ করে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়সমূহের স্বীকৃতি ও এমপিও ঘোষণা এবং প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা-২০১৯ এর আলোকে স্বীকৃতি ও বেতন-ভাতা প্রদানের জন্য দাবি জানাচ্ছি, তার ফলে মানবেতর জীবনযাপনকারী শিক্ষক-কর্মচারীরা তাদের নিজেদের অর্থনৈতিক মুক্তি ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শিক্ষাদানের মাধ্যমে সরকারঘোষিত শতভাগ শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে সরকারের হাতকে শক্তিশালী করবে।

সংগঠনটির সভাপতি মো. ইলিয়াস রাজ বলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই বিদ্যালয়গুলোর স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তির একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। এছাড়া ২০১৯ সালে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করে। কিন্তু এখনো এই বিদ্যালয়গুলোর কোনো সুরাহা করতে পারেনি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।