ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আইনজীবী সাইফুল হত্যার ভিডিও দেখে সন্দেহভাজন ৬জনকে আটক করা হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক  

চট্টগ্রামে আদালত চত্বরে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের হাতে খুন হওয়া সহকারী সরকারি কৌঁসুলি সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় আইনি অগ্রগতি জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়। এক বার্তায় বলা হয়েছে, ভিডিও দেখে সন্দেহভাজন অন্তত ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গণমাধ্যমে পাঠানো বার্তায় জানানো হয়, আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন অন্তত ছয়জনকে আটক করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে এই ছয়জনকে শনাক্ত করা হয়েছে।  মঙ্গলবার সংঘর্ষ চলাকালে ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ২১ জনকে আটক করেছে সিএমপি। বন্দরনগরীতে দেশীয় ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ (ককটেল) সহ আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং আইনজীবীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান তার অনুসারীরা। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে চিন্ময় দাসের অনুসারীরা আদালত ভবনের নীচ থেকে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে তুলে নিয়ে রঙ্গম কনভেনশন হলের পেছনে নিয়ে যায়।  সেখানে রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবীকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে ফেলে চলে যায়।  

এই হত্যার ভিডিও ফুটেজ সামাজিকমাধ্যম মুহুর্তে ছড়িয়ে পড়ে।  এতে দেখা যায়, একদল উগ্রবাদী বিক্ষোভকারীদের হামলায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আছেন আইনজীবী আলিফ। তার ঘাড় এবং মাথা থেকে ক্রমাগত রক্ত ঝরছে।  কিন্তু এরপরও তার ওপর নির্মম হামলা চালিয়ে যান চিন্ময় দাসের অনুসারীরা।

এদিকে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আদালত প্রাঙ্গণে নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সকালে আদালতে লাশ নিয়ে আসা হলে কান্নায় ভেঙে পড়েন বেশির ভাগ আইনজীবী। তারা অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেন।

এরপর আলিফের মরদেহ নগরের জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।  জানাজায় অংশ নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং নাগরিক কমিটির সদস্য ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

সংবিধান সংস্কার কমিশনে বিএনপির লিখিত ৬২ প্রস্তাব

আইনজীবী সাইফুল হত্যার ভিডিও দেখে সন্দেহভাজন ৬জনকে আটক করা হয়েছে

আপডেট সময় ৩ ঘন্টা আগে
অনলাইন ডেস্ক  

চট্টগ্রামে আদালত চত্বরে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের হাতে খুন হওয়া সহকারী সরকারি কৌঁসুলি সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় আইনি অগ্রগতি জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়। এক বার্তায় বলা হয়েছে, ভিডিও দেখে সন্দেহভাজন অন্তত ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গণমাধ্যমে পাঠানো বার্তায় জানানো হয়, আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন অন্তত ছয়জনকে আটক করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে এই ছয়জনকে শনাক্ত করা হয়েছে।  মঙ্গলবার সংঘর্ষ চলাকালে ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ২১ জনকে আটক করেছে সিএমপি। বন্দরনগরীতে দেশীয় ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ (ককটেল) সহ আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং আইনজীবীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান তার অনুসারীরা। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে চিন্ময় দাসের অনুসারীরা আদালত ভবনের নীচ থেকে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে তুলে নিয়ে রঙ্গম কনভেনশন হলের পেছনে নিয়ে যায়।  সেখানে রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবীকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে ফেলে চলে যায়।  

এই হত্যার ভিডিও ফুটেজ সামাজিকমাধ্যম মুহুর্তে ছড়িয়ে পড়ে।  এতে দেখা যায়, একদল উগ্রবাদী বিক্ষোভকারীদের হামলায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আছেন আইনজীবী আলিফ। তার ঘাড় এবং মাথা থেকে ক্রমাগত রক্ত ঝরছে।  কিন্তু এরপরও তার ওপর নির্মম হামলা চালিয়ে যান চিন্ময় দাসের অনুসারীরা।

এদিকে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আদালত প্রাঙ্গণে নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সকালে আদালতে লাশ নিয়ে আসা হলে কান্নায় ভেঙে পড়েন বেশির ভাগ আইনজীবী। তারা অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেন।

এরপর আলিফের মরদেহ নগরের জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।  জানাজায় অংশ নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং নাগরিক কমিটির সদস্য ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।