ঢাকা , বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমদানির ভারতীয় আলু ও পেঁয়াজ আসা শুরু

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৫:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
  • 13

নিজস্ব প্রতিবেদক  

গত দুদিন দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। দেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়ে। বুধবার (২৭ নভেম্বর) আবারো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দুটি আমদানি শুরু হয়েছে। এ ছাড়া অন্য অনেক আমদানি পণ্য আসতে শুরু করেছে। 

সংশ্লিষ্টরা বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কিছু বিধি-নিষেধের কারণে গত দুদিন আমদানি বন্ধ ছিল। তবে সাতক্ষীরার আমদানি সংশ্লিষ্টরা জানান, ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি বন্ধ ছিল না। শুধু আগে থেকে এলসি করা ও স্লট বুকিং করা পণ্য আমদানি হচ্ছে। চলতি সপ্তাহ থেকে নতুন কোনো স্লট বুকিং করা যাচ্ছে না। এ জন্য আগামী কয়েক দিন পর আমদানি বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

আমাদের দিনাজপুর, সাতক্ষীরা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধির পাঠানো খবর-

দিনাজপুর

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরন দিয়ে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় ভারত থেকে পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক প্রবেশের মধ্য দিয়ে অন্যান্য পণ্যের আমদানি শুরু হয়। দুপুর দুইটা থেকে শুরু হয় আলু আমদানি। 

জানা যায়, বুধবার সকালে ১৫ ট্রাকে ৪০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ও চার ট্রাকে ১১০ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে। বন্দর সূত্রে জানা গেছে, রবিবার ১৪ ট্রাকে ৩৯৬ মেট্রিকটন পেঁয়াজ এবং ৭২ ট্রাকে দুই হাজার ৩৯ মেট্রিক টন আলু আমদানি হলেও সোমবার দুই ট্রাক ৭২ মেট্রিকটন আলু আমদানি হয়।

এ বিষয়ে হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকর সাহাবুল বলেন, দাম বৃদ্ধির অজুহাতে গত রবিবার হঠাৎ করেই পশ্চিমবঙ্গ সরকার পেঁয়াজ ও আলুর স্লট বুকিং বন্ধ করে দেয়। ওইদিন বন্দর দিয়ে পূর্বের স্লটে পেঁয়াজ ও আলু রপ্তানি চালু ছিল। কিন্তু নতুন করে স্লট বুকিং না দেওয়ায় সোমবার ও মঙ্গলবার কোনো পেঁয়াজ, আলু প্রবেশ করেনি। দুদিন ধরে পেঁয়াজ ও আলু আমদানি করতে না পারায় সেগুলোতে পচন ধরে লোকশানের আশঙ্কায় রয়েছি আমরা। আমার নিজের ২০ ট্রাক আলু আছে সেগুলো নতুন। আলুর ট্রাকগুলো বাংলাদেশে প্রবেশ করার পরে বুঝা যাবে কী পরিনাম হবে।

হিলি স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ফেরদৌস রহমান বলেন, ভারতীয় রপ্তানিকারী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে যতটুকু জানা গেছে, কয়েক দফা বৈঠকের পর পশ্চিমবঙ্গের কোনো আলু রপ্তানি করবেন না মর্মে জিম্মা দেওয়ার শর্তে মঙ্গলবার রাতে আবারো স্লট বুকিং চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

তিনি বলেন, বুধবার থেকে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ ও আলুসহ সকল পণ্যের আমদানি শুরু হয়েছে। আগামী শনিবার পর্যন্ত ৩০০ ট্রাক আলুর স্লট দেবেন। এরপরে আবারো আলু বন্ধ হবে তবে পেঁয়াজ রপ্তানি অব্যাহত থাকবে।

ভারতের হিলি স্থল বন্দরের এক্সপোর্টার পাপ্পু আগরয়াল ও বাবই দে জানান, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরকে না জানিয়ে সেখান থেকে অন্য রাজ্যে এবং বাংলাদেশে আলু রপ্তানি করা হচ্ছিল। ফলে সেখানে আলুসহ পেঁয়াজের দাম হু-হু করে বাড়ছে। এমন অভিযোগ তুলে গত ২১ নভেম্বর নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে আলু রপ্তানি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত ভিন রাজ্যসহ বাংলাদেশে আপাতত আলু রপ্তানি বন্ধ থাকার সিদ্ধান্ত হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতের একজন রপ্তানিকারক বলেন, সিদ্ধান্ত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে নয় অন্য রাজ্য থেকে আলু রপ্তানি করলে পশ্চিমবঙ্গ বাধা দিবে না, কিন্তু পেঁয়াজের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। যে কোনো রাজ্য থেকে আমদানি-রপ্তানি করা যাবে। এমন সিদ্ধান্তে বুধবার সকাল থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ-আলু রপ্তানি শুরু হয়েছে।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বলেন, স্লট জটিলতায় দুদিন পেঁয়াজ আলু আমদানিতে কিছুটা প্রভাব পড়েছিল। বুধবার সকাল থেকে আবার আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।

সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ ও আলু আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে।

বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে সাত ট্রাক পেঁয়াজ ও ১৫ ট্রাক আলু প্রবেশ করছে। এ ছাড়া ভারতীয় অংশে ঘোজাডাঙা বন্দরে ৩০ ট্রাক পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় ছিল। সন্ধ্যার আগে সেগুলো বাংলাদেশে প্রবেশ করে। 

বন্দরের আলু ও পেঁয়াজ আমদানিককারক মো. মোহসিন বলেন, সকাল থেকে ভোমরা বন্দরে ২২ ট্রাকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এ ছাড়া ভারতীয় অংশে ঘোজাডাঙা বন্দরে ৩০ ট্রাক পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় ছিল। সন্ধ্যার আগে এগুলো বাংলাদেশে ঢুকে।

ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা গণমাধ্যমকে বলেন, এখন পর্যন্ত ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক পেঁয়াজ ও আলু রপ্তানি বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ ছাড়া এলসি খোলার ক্ষেত্রেও কোনো সমস্যা নেই। তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক নতুন করে স্লট বুকিং বন্ধ রাখায় আমদানিতে প্রভাব পড়তে পারে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ

 ভারত রপ্তানি বন্ধ ঘোষণার পরও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় আলু ও পেঁয়াজ এসেছে। বুধবার সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ১০ ট্রাক আলু ও পেঁয়াজ এসেছে।

সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেডের পোর্ট ম্যানেজার মাঈনুল ইসলাম এবং সোনামসজিদ উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক সমীর চন্দ্র ঘোষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরিশা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আলমগীর জুয়েল বলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ ও আলুভর্তি কোনো ট্রাক প্রবেশ করেনি। কারণ আলু ও পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। বুধবার থেকে আবারো আমদানি শুরু হয়েছে। তাই আমদানি শুরু হওয়ায় দাম কিছুটা কমবে বলে আশাও করেন তিনি।

সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেডের পোর্ট ম্যানেজার মাঈনুল ইসলাম জানান, দুপুর ২টা পর্যন্ত আট থেকে ১০ ট্রাক আলু ও পেঁয়াজ সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশ করেছে। প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে আরো আনুমানিক ২০০ ট্রাক পেঁয়াজ ও আলু। তবে মোট কত ট্রাক পেঁয়াজ ও আলু প্রবেশ করছে তা রাতে বিস্তারিত জানানো যাবে।

সোনামসজিদ উদ্ভিদ সংনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক সমীর চন্দ্র ঘোষ বলেন, মঙ্গলবার এই স্থলবন্দর দিয়ে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকলেও বুধবার আবার আলু ও পেঁয়াজের ট্রাক প্রবেশ করতে শুরু করেছে। 

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

আমদানির ভারতীয় আলু ও পেঁয়াজ আসা শুরু

আপডেট সময় ০৫:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক  

গত দুদিন দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। দেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়ে। বুধবার (২৭ নভেম্বর) আবারো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দুটি আমদানি শুরু হয়েছে। এ ছাড়া অন্য অনেক আমদানি পণ্য আসতে শুরু করেছে। 

সংশ্লিষ্টরা বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কিছু বিধি-নিষেধের কারণে গত দুদিন আমদানি বন্ধ ছিল। তবে সাতক্ষীরার আমদানি সংশ্লিষ্টরা জানান, ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি বন্ধ ছিল না। শুধু আগে থেকে এলসি করা ও স্লট বুকিং করা পণ্য আমদানি হচ্ছে। চলতি সপ্তাহ থেকে নতুন কোনো স্লট বুকিং করা যাচ্ছে না। এ জন্য আগামী কয়েক দিন পর আমদানি বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

আমাদের দিনাজপুর, সাতক্ষীরা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধির পাঠানো খবর-

দিনাজপুর

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরন দিয়ে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় ভারত থেকে পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক প্রবেশের মধ্য দিয়ে অন্যান্য পণ্যের আমদানি শুরু হয়। দুপুর দুইটা থেকে শুরু হয় আলু আমদানি। 

জানা যায়, বুধবার সকালে ১৫ ট্রাকে ৪০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ও চার ট্রাকে ১১০ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে। বন্দর সূত্রে জানা গেছে, রবিবার ১৪ ট্রাকে ৩৯৬ মেট্রিকটন পেঁয়াজ এবং ৭২ ট্রাকে দুই হাজার ৩৯ মেট্রিক টন আলু আমদানি হলেও সোমবার দুই ট্রাক ৭২ মেট্রিকটন আলু আমদানি হয়।

এ বিষয়ে হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকর সাহাবুল বলেন, দাম বৃদ্ধির অজুহাতে গত রবিবার হঠাৎ করেই পশ্চিমবঙ্গ সরকার পেঁয়াজ ও আলুর স্লট বুকিং বন্ধ করে দেয়। ওইদিন বন্দর দিয়ে পূর্বের স্লটে পেঁয়াজ ও আলু রপ্তানি চালু ছিল। কিন্তু নতুন করে স্লট বুকিং না দেওয়ায় সোমবার ও মঙ্গলবার কোনো পেঁয়াজ, আলু প্রবেশ করেনি। দুদিন ধরে পেঁয়াজ ও আলু আমদানি করতে না পারায় সেগুলোতে পচন ধরে লোকশানের আশঙ্কায় রয়েছি আমরা। আমার নিজের ২০ ট্রাক আলু আছে সেগুলো নতুন। আলুর ট্রাকগুলো বাংলাদেশে প্রবেশ করার পরে বুঝা যাবে কী পরিনাম হবে।

হিলি স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ফেরদৌস রহমান বলেন, ভারতীয় রপ্তানিকারী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে যতটুকু জানা গেছে, কয়েক দফা বৈঠকের পর পশ্চিমবঙ্গের কোনো আলু রপ্তানি করবেন না মর্মে জিম্মা দেওয়ার শর্তে মঙ্গলবার রাতে আবারো স্লট বুকিং চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

তিনি বলেন, বুধবার থেকে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ ও আলুসহ সকল পণ্যের আমদানি শুরু হয়েছে। আগামী শনিবার পর্যন্ত ৩০০ ট্রাক আলুর স্লট দেবেন। এরপরে আবারো আলু বন্ধ হবে তবে পেঁয়াজ রপ্তানি অব্যাহত থাকবে।

ভারতের হিলি স্থল বন্দরের এক্সপোর্টার পাপ্পু আগরয়াল ও বাবই দে জানান, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরকে না জানিয়ে সেখান থেকে অন্য রাজ্যে এবং বাংলাদেশে আলু রপ্তানি করা হচ্ছিল। ফলে সেখানে আলুসহ পেঁয়াজের দাম হু-হু করে বাড়ছে। এমন অভিযোগ তুলে গত ২১ নভেম্বর নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে আলু রপ্তানি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত ভিন রাজ্যসহ বাংলাদেশে আপাতত আলু রপ্তানি বন্ধ থাকার সিদ্ধান্ত হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতের একজন রপ্তানিকারক বলেন, সিদ্ধান্ত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে নয় অন্য রাজ্য থেকে আলু রপ্তানি করলে পশ্চিমবঙ্গ বাধা দিবে না, কিন্তু পেঁয়াজের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। যে কোনো রাজ্য থেকে আমদানি-রপ্তানি করা যাবে। এমন সিদ্ধান্তে বুধবার সকাল থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ-আলু রপ্তানি শুরু হয়েছে।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বলেন, স্লট জটিলতায় দুদিন পেঁয়াজ আলু আমদানিতে কিছুটা প্রভাব পড়েছিল। বুধবার সকাল থেকে আবার আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।

সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ ও আলু আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে।

বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে সাত ট্রাক পেঁয়াজ ও ১৫ ট্রাক আলু প্রবেশ করছে। এ ছাড়া ভারতীয় অংশে ঘোজাডাঙা বন্দরে ৩০ ট্রাক পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় ছিল। সন্ধ্যার আগে সেগুলো বাংলাদেশে প্রবেশ করে। 

বন্দরের আলু ও পেঁয়াজ আমদানিককারক মো. মোহসিন বলেন, সকাল থেকে ভোমরা বন্দরে ২২ ট্রাকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এ ছাড়া ভারতীয় অংশে ঘোজাডাঙা বন্দরে ৩০ ট্রাক পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় ছিল। সন্ধ্যার আগে এগুলো বাংলাদেশে ঢুকে।

ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা গণমাধ্যমকে বলেন, এখন পর্যন্ত ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক পেঁয়াজ ও আলু রপ্তানি বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ ছাড়া এলসি খোলার ক্ষেত্রেও কোনো সমস্যা নেই। তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক নতুন করে স্লট বুকিং বন্ধ রাখায় আমদানিতে প্রভাব পড়তে পারে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ

 ভারত রপ্তানি বন্ধ ঘোষণার পরও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় আলু ও পেঁয়াজ এসেছে। বুধবার সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ১০ ট্রাক আলু ও পেঁয়াজ এসেছে।

সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেডের পোর্ট ম্যানেজার মাঈনুল ইসলাম এবং সোনামসজিদ উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক সমীর চন্দ্র ঘোষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরিশা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আলমগীর জুয়েল বলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ ও আলুভর্তি কোনো ট্রাক প্রবেশ করেনি। কারণ আলু ও পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। বুধবার থেকে আবারো আমদানি শুরু হয়েছে। তাই আমদানি শুরু হওয়ায় দাম কিছুটা কমবে বলে আশাও করেন তিনি।

সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেডের পোর্ট ম্যানেজার মাঈনুল ইসলাম জানান, দুপুর ২টা পর্যন্ত আট থেকে ১০ ট্রাক আলু ও পেঁয়াজ সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশ করেছে। প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে আরো আনুমানিক ২০০ ট্রাক পেঁয়াজ ও আলু। তবে মোট কত ট্রাক পেঁয়াজ ও আলু প্রবেশ করছে তা রাতে বিস্তারিত জানানো যাবে।

সোনামসজিদ উদ্ভিদ সংনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক সমীর চন্দ্র ঘোষ বলেন, মঙ্গলবার এই স্থলবন্দর দিয়ে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকলেও বুধবার আবার আলু ও পেঁয়াজের ট্রাক প্রবেশ করতে শুরু করেছে।