অনলাইন ডেস্ক
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সব হোটেল বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্থানীয় হোটেল মালিকরা। রবিবার ত্রিপুরার হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর কথিত নির্যাতন এবং বাংলাদেশে ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননার প্রতিবাদে এই কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে হোটেল অ্যাসোসিয়েশন।
এ বিষয়ে অ্যাসোসিয়েশনের সচিব সৈকত ব্যান্যার্জী বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন এবং চিন্ময় প্রভুকে অকারণে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রাজ্যের সব হোটেল এবং রেস্তোরাঁয় বাংলাদেশি নাগরিকদের পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে। তবে, যারা আগে থেকে হোটেলের পরিষেবা নিচ্ছেন তাদের শুধু থাকতে দেওয়া হবে। অন্যদের পরিষেবা দেওয়া হবে না।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিপীড়নের অভিযোগ এবং সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সোমবার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, ভাঙচুর ও পতাকা নামিয়ে ছিঁড়ে ফেলার ঘটনাও ঘটেছে।
এছাড়া বাংলাদেশের পোড়া পতাকার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে থাকা বাংলাদেশের হাইকমিশন, ডেপুটি হাইকমিশন ও সহকারী হাইকমিশনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশে শান্তিবাহিনী পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার দুপুরে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে যোগ দিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে মমতা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি এ সময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতিসংঘের শান্তিসেনা পাঠানোর প্রস্তাব করেন। এ জন্য ভারত সরকারকে জাতিসংঘের সঙ্গে কথা বলার আর্জি জানান। সর্বশেষ ভারতের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আমদানি পণ্য আসতে দিচ্ছে না বিক্ষোভকারীরা। কলকাতাসহ অনেক শহরের হাসপাতালে বাংলাদেশিদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে না।
এদিকে ঢাকায় অবস্থিত ভারতের হাইকমিশনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর হঠাৎ করে ভারত-বাংলাদেশ মধুর সম্পর্কটি তিক্ত হতে শুরু করে।