সিনিয়র রিপোর্টার
গাজীপুরের সোহাগ পল্লী পিকনিক স্পটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. জলিল উদ্দিনের নামে তিন কোটি টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও পৌনে এক কোটি টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির তদন্তে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
সোমবার দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
সূত্র জানিয়েছে, দুদকের দায়ের করা মামলা এক বছরের বেশি সময় তদন্ত শেষে চার্জশিট অনুমোদন করেছে কমিশন। ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান ওই চার্জশিট জমা দেন। শিগগির অভিযোগপত্রটি আদালতে দাখিল করা হবে।
আসামি মো. জলিল উদ্দিনের নামে তদন্তকালে আইডিএলসি লিমিটেড ঋণ পরিশোধের ব্যয়কৃত সুদ ও পারিবারিক ব্যয়সহ তার নামে অর্জিত সম্পদের পরিমাণ ৮ কোটি ৩ লাখ ২৮ হাজার ৬২০ টাকার অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। অর্জিত সম্পদের বিপরীতে গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ৪ কোটি ৮৭ লাখ ১৬ হাজার ৩৪ টাকা। অর্থাৎ অর্জিত সম্পদ ও গ্রহণযোগ্য আয়ের পার্থক্য পাওয়া যায় ৩ কোটি ১৫ লাখ ৫৫ হাজার ৫৫ টাকা।
দুদক বলছে, তিনি স্থাবর সম্পদের মধ্যে পার্ক নির্মাণ বাবদ ৮৪ লাখ ৯৯ হাজার ২৭৪ টাকা গোপন করেন। উক্ত সম্পদ অর্জনের বিপরীতে আয়ের উৎস সম্পর্কে তিনি কোনো রেকর্ডপত্র প্রদর্শন করতে পারেননি। উক্ত সম্পদ তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ বলে প্রমাণ হয়।
এছাড়া মো. জলিল উদ্দিনের নামে ৩ কোটি ২০ লাখ ৪৫ হাজার ৭৭৪ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর ৩ কোটি ৫৬ লাখ ৯১ হাজার ৯২ টাকাসহ মোট ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩৬ হাজার ৮৬৬ টাকর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে তার গ্রহণযোগ্য দায়-দেনা পাওয়া যায় ৪২ লাখ ৭ হাজার ৯০৭ টাকা।
কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে আসামি মো. জলিল উদ্দিন ৫ কোটি ৪৪ লাখ ১১ হাজার ৭৪ টাকার মিথ্যা তথ্য প্রদান ও ৩ কোটি ১৫ লাখ ৫৫ হাজার ৫৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬৮ (২) ৩২৭ (১) শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলাটি দায়ের করেন।