সিনিয়র রিপোর্টার
রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ বিভাগের তত্ত্বাবধানে গত ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া জুলাই অভ্যুত্থানকে উপজীব্য করে ভাস্কর্য কর্মশালা গত সোমবার শেষ হয়েছে। ব্রোঞ্জ কাস্টিং মাধ্যমে অভ্যুত্থানের বিভিন্ন মুহূর্ত ভাস্কর্যে প্রতিস্থাপন করেছেন ভাস্কর হাবীবা আখতার পাপিয়ার নেতৃত্বে এক ঝাঁক ভাস্কর।
কর্মশালা নিয়ে নিজের সন্তুষ্টি প্রকাশ করে ভাস্কর পাপিয়া বলেন, আমি এই কর্মশালা খুব খুশী। আমরা সবাই মিলে অভ্যুত্থানকে স্মরণীয় করে রাখার চেষ্টা করেছি। আন্দোলনের বিভিন্ন ফুটেজ এবং স্থিরচিত্র থেকে আমরা ড্রয়িং বের করেছি। সেগুলোকে প্রাথমিকভাবে ওয়াক্স ফরম্যাটে প্রতিস্থাপন করেছি। অংশগ্রহণকারী নবীন ভাস্করদের মধ্যে যে শৈল্পিক স্পৃহা দেখেছি এতে আমি আপ্লুত।
আশুলিয়া গণহত্যা, লাশ পুড়িয়ে ফেলার দৃশ্য, সাহসী রিকশাওয়ালা, পুলিশের গাড়ি রুখে দেওয়া, নারী-পুরুষের মুষ্টিবদ্ধ হাত, স্লোগানের ভঙ্গি, শহীদ আবু সাঈদের আত্মদান- এসব ঘটনাকে উপজীব্য করে ভাস্কর্য তৈরী করা হয়েছে। প্রশিক্ষক হাবীবা আখতার পাপিয়া নিজেও একাধিক কাজ করেছেন। অংশগ্রহণকারী সকল ভাস্করের সৃষ্টিতে ভাস্কর পাপিয়ার কাজের টেকনিক এবং স্টাইল ধরা পড়েছে।
শিল্পকলা একাডেমির এই অনন্য উদ্যোগ দেশের শিল্পপ্রেমীদের মাঝে বিপুল সাড়া জাগিয়েছে। শিল্পকলা একাডেমির বিভাগীয় পরিচালক কামরুন নাহার সৃষ্টি এবং মুস্তফা জামান মিঠু প্রশিক্ষক হাবীবা আখতার পাপিয়াকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন সেটি সঠিকভাবে পালিত হয়েছে বলে
অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা জানান। অভ্যুত্থানকে ভাস্কর্যে ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন তারা। বিগত দুই সপ্তাহ গভীর মনোযোগের সাথে তারা ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে ফুটিয়ে তুলেছেন।
কর্মশালা শেষে এখন শিল্পকর্মগুলো কাস্টিংয়ে যাবে। এরপর একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করবে শিল্পকলা একাডেমি।
কর্মশালা নিয়ে নিজের সন্তুষ্টি প্রকাশ করে ভাস্কর পাপিয়া বলেন, আমি এই কর্মশালা খুব খুশী।