ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তুরাগে এসিড নিক্ষেপ করে চাঞ্চল্যকর ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেপ্তার এক

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৫:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 9

সিনিয়র রিপোর্টার

রাজধানীর তুরাগ থানাধীন কামারপাড়া এলাকায় এসিড নিক্ষেপ করে চাঞ্চল্যকর ছিনতাইয়ের ঘটনায় নাঈম ওরফে বাবু (১৯) নামে এক পেশাদার ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির তুরাগ থানা পুলিশ।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ছয়টার দিকে ময়মনসিংহ সদর থানার চরদুর্লভা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তুরাগ থানা সূত্রে জানা যায়,  গত ২১ নভেম্বর সকাল আনুমানিক সাড়ে দশটার দিকে জনৈক সাথী রানী (৩৬) ও তার শিশু সন্তান বিজু রানীকে (০২) নিয়ে  তুরাগ থানাধীন কামারপাড়া বাজার থেকে কামারপাড়া পুরাতন থানা রোডের তারা মার্কেটের কাছে তার ভাসুরের বাসায় যাচ্ছিল। বাসার গেইটের সামনে পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি সাথী রানীকে রহিম নামে কোন ব্যক্তিকে চিনে কিনা জিজ্ঞাসা করে। সাথী রানী কোন উত্তর দেওয়ার আগেই  অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তার সাথে থাকা একটি বোতল থেকে স্প্রে এর মাধ্যমে সাথী রানী এবং বিজু রানীর মুখ লক্ষ্য করে এসিড নিক্ষেপ করে। এতে সাথী রানীর মুখ মন্ডলের কিছু অংশ ঝলসে যায় ও বিজু রানীর শরীরের কিছু অংশ ঝলসে যায়।

এ সময় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিটি ভিকটিম সাথী রানীর গলায় থাকা স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তখন  সাথী রানী এবং বিজু রানী চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে তাদেরকে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য উত্তরার শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।

পরবর্তীতে তাদেরকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারী ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাসুর শ্রী চিবাস কুমার হালদারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২২ নভেম্বর তুরাগ থানায় একটি মামলা রুজু হয়।

মামলাটি তদন্তকালে ভিকটিম কর্তৃক দেয়া আসামীর বর্ণনা বিশ্লেষণ, ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িত নাঈমকে শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে তুরাগ থানার একটি দল বুধবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ সদর থানার চরদুর্লভা গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের প্রধান উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তার নাঈম একজন পেশাদার ছিনতাইকারী। সে দীর্ঘদিন ধরে তুরাগ এলাকায় ছিনতাইয়ের কাজে জড়িত। ঘটনার দিন সে ভিকটিমের গলার চেইন ছিনতাইয়ের উদ্দেশে ভিকটিম সাথী রানী এবং বিজু রানীকে এসিড নিক্ষেপ করে। গ্রেপ্তার নাঈমের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

বিশ্বে এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী-মসজিদের ইমাম একসঙ্গে পালিয়েছেন : দুদক চেয়ারম্যান

তুরাগে এসিড নিক্ষেপ করে চাঞ্চল্যকর ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেপ্তার এক

আপডেট সময় ০৫:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টার

রাজধানীর তুরাগ থানাধীন কামারপাড়া এলাকায় এসিড নিক্ষেপ করে চাঞ্চল্যকর ছিনতাইয়ের ঘটনায় নাঈম ওরফে বাবু (১৯) নামে এক পেশাদার ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির তুরাগ থানা পুলিশ।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ছয়টার দিকে ময়মনসিংহ সদর থানার চরদুর্লভা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তুরাগ থানা সূত্রে জানা যায়,  গত ২১ নভেম্বর সকাল আনুমানিক সাড়ে দশটার দিকে জনৈক সাথী রানী (৩৬) ও তার শিশু সন্তান বিজু রানীকে (০২) নিয়ে  তুরাগ থানাধীন কামারপাড়া বাজার থেকে কামারপাড়া পুরাতন থানা রোডের তারা মার্কেটের কাছে তার ভাসুরের বাসায় যাচ্ছিল। বাসার গেইটের সামনে পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি সাথী রানীকে রহিম নামে কোন ব্যক্তিকে চিনে কিনা জিজ্ঞাসা করে। সাথী রানী কোন উত্তর দেওয়ার আগেই  অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তার সাথে থাকা একটি বোতল থেকে স্প্রে এর মাধ্যমে সাথী রানী এবং বিজু রানীর মুখ লক্ষ্য করে এসিড নিক্ষেপ করে। এতে সাথী রানীর মুখ মন্ডলের কিছু অংশ ঝলসে যায় ও বিজু রানীর শরীরের কিছু অংশ ঝলসে যায়।

এ সময় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিটি ভিকটিম সাথী রানীর গলায় থাকা স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তখন  সাথী রানী এবং বিজু রানী চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে তাদেরকে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য উত্তরার শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।

পরবর্তীতে তাদেরকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারী ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাসুর শ্রী চিবাস কুমার হালদারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২২ নভেম্বর তুরাগ থানায় একটি মামলা রুজু হয়।

মামলাটি তদন্তকালে ভিকটিম কর্তৃক দেয়া আসামীর বর্ণনা বিশ্লেষণ, ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িত নাঈমকে শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে তুরাগ থানার একটি দল বুধবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ সদর থানার চরদুর্লভা গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের প্রধান উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তার নাঈম একজন পেশাদার ছিনতাইকারী। সে দীর্ঘদিন ধরে তুরাগ এলাকায় ছিনতাইয়ের কাজে জড়িত। ঘটনার দিন সে ভিকটিমের গলার চেইন ছিনতাইয়ের উদ্দেশে ভিকটিম সাথী রানী এবং বিজু রানীকে এসিড নিক্ষেপ করে। গ্রেপ্তার নাঈমের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।