অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ-ভারতের দুপক্ষের স্বার্থ রক্ষা করে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে দিল্লি কাজ করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। সোমবার পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। এ সময় বিক্রম জানান, দুদেশের জনগণের মধ্যে সুসম্পর্ক চায় ভারত। তবে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ইস্যুতে উদ্বেগ জানিয়েছে দিল্লি। ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও কূটনৈতিক স্থাপনার হামলার ঘটনা নিয়েও আলোচনা হয়েছে, এ ব্যাপারে বাংলাদেশের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি আশা করে দিল্লি বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চলমান টানাপোড়েনের মধ্যেই শুরু হয় দুই দেশের সচিব পর্যায়ের বৈঠক। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সোমবার বেলা সোয়া ১১টার কিছু সময় পর এ বৈঠক শুরু হয়। ফরেন অফিস কনসালটেশনে (এফওসি) বাংলাদেশের হয়ে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন এবং ভারতের হয়ে বিক্রম মিশ্র। এর আগে সোমবার সকালে ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান ভারতের পররাষ্ট্র সচিব। এটিই তার প্রথম বাংলাদেশ সফর। রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছিলেন, আমরা আশা করি বৈঠক ফলপ্রসূ হবে। যে কোনো সমস্যার সমাধান করতে হলে আগে স্বীকার করতে হবে সমস্যাটি আছে। আমাদের স্বীকার করতে হবে যে, ৫ আগস্টের পরে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের নিশ্চয়ই গুণগত পরিবর্তন হয়েছে। এটা মেনে নিয়েই সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
আজই পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে মিশ্রির। রাতেই দিল্লি ফিরে যাবেন তিনি। আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও পতাকা পোড়ানের ঘটনায় দুদেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে। এমতাবস্থায় ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা। এমন আবহে ঢাকা সফরে এলেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব। সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার ভারতে আশ্রয় ও অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর এটাই ভারতের বড় কোনো কূটনীতিকের ঢাকা সফর।