সিনিয়র রিপোর্টার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসান বলেছেন, পুলিশ সমাজের একটি অবিচ্ছেদ্য ও গুরূত্বপূর্ণ অংশ।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকালে তেজগাঁও বিজি প্রেস খেলার মাঠে পুলিশ, ছাত্র-জনতা ও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকার সম্মানিত নাগরিকবৃন্দের সমন্বয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এদিন রাতে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, আপনারা জানেন ৫ আগস্টের পর থানা ও ট্রাফিক পুলিশ কেউই স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারেনি। যখন পুলিশ তাদের দৈনন্দিন কাজ করতে পারেনি তখন জনগণ কতটা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেছিলো। সারাদেশে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি বেড়ে গিয়েছিলো। তখন মানুষ পুলিশের প্রয়োজনীয়তা বুঝেছিলো। পুলিশ ছাড়া একটি সভ্য সমাজ কল্পনা করা যায় না। পুলিশ সমাজের সাধারণ মানুষেরই অংশ। পুলিশ সদস্যরা এ সমাজেরই সন্তান। তাই আপনাদের নিরাপত্তা দেওয়াটা যেমন পুলিশের কাজ তেমনি তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করাও আপনাদের কর্তব্য।
খোন্দকার নজমুল হাসান বলেন, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-এ পরিবহনের জরিমানার টাকা বৃদ্ধির উদ্দেশ্য ছিলো জরিমানা বেশি হলে মানুষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে, মানুষ আইন মেনে চলবে। কিন্তু বাস্তবে হয়েছে তার বিপরীত। আমাদের দেশের ৮০-৯০% লোক যারা সড়কে চলাফেরা করেন তারা হয়তো আইন জানেন না অথবা জানলে ও মানেন না। আমরা যারা শিক্ষিত তারাও আইন মানি না। সুতরাং আইন মানার জন্যই আমরা বিভিন্ন পরিবহনের উপর জরিমানা আরোপ করে থাকি। রাস্তার শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পুলিশ বেপারোয়া ও বিশৃঙ্খল যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা করে।
তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ রুহুল কবীর খান বলেন, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকা হলো ব্যবসা বান্ধব অঞ্চল। বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের হেড অফিস এখানে। আইনশৃঙ্খলা যদি ভালো না থাকে তাহলে ব্যবসা-বাণিজ্য কখনো ভালো হয় না। ব্যবসা-বাণিজ্য ও আইনশৃঙ্খলা একে অপরের পরিপূরক। কাভার্ড ভ্যান চুরি ছিলো এই এলাকার একটি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। কাভার্ড ভ্যান মালিক প্রতিনিধিদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুটি মামলায় চুরি হওয়া কাভার্ড ভ্যান ও মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। এভাবে যদি আপনারা পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন তাহলে আপনাদেরকে পুলিশী সেবা দেওয়া আরো সহজ হবে।
মতবিনিময় সভায় ছাত্র প্রতিনিধি হোসেন বলেন, এলাকা থেকে মাদক নির্মূল করতে পুলিশ ও ছাত্র-জনতা সমন্বয়ে কমিঠি গঠন করতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা সমাজ থেকে মাদক দূর করবো।
উক্ত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছাত্র-জনতা ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকার সম্মানিত নাগরিকবৃন্দ অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের কাছে তাদের বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন।
তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ রুহুল কবীর খানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- তেজগাঁও বিভাগের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাবৃন্দ, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ এবং ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।