ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার অভিযান আরও জোরদারের সিদ্ধান্ত : উপদেষ্টা

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৭:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 11

অনলাইন ডেস্ক  :  আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নানা অপতৎপরতার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের গ্রেফতার অভিযান আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভা শেষে এ কথা জানান তিনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ব্রিফিংয়ের সময় তিনি নিজেও আসিফ মাহমুদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং সামনে যে ইভেন্টগুলো আছে, সেগুলো সুষ্ঠুভাবে ও শৃঙ্খলা বজায় রেখে শেষ করা যায়, সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ভালো আলোচনা হয়েছে, আশা করি সামনের ইভেন্টগুলো খুব শান্তিপূর্ণভাবে করা যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে কিছু অ্যাক্টিভিটি লক্ষ্য করছি। তার ভিত্তিতে সারাদেশে গ্রেফতার অভিযান আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর ফলাফল হয়ত শিগগিরই দেখতে পাবেন।’

আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের যারা বাইরে আছেন, তারা এখনও নানাভাবে ভিন্ন গোষ্ঠীকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা করছেন, ফান্ডিং করছেন এবং মিছিল করার চেষ্টা করছেন। গতকালও কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে এবং সুস্পষ্ট অভিযোগও রয়েছে, তাদের গ্রেফতার করা হবে।’

নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ফিরে আসা প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, ‘গতকাল যে ছবি পেয়েছি, তার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা থেকে তথ্য এসেছে, এটি পুরনো ছবি অথবা সেখানে যে ‘ছাত্রলীগ’ লেখা ছিল তা এডিট করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখেছি যে তারা (আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ) আগামীকাল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এর আগে বিভিন্ন সময় কর্মসূচি ঘোষণা করলেও সেগুলো বাস্তবায়িত হয়নি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ বিষয়ে সতর্ক রয়েছে।’ এক প্রশ্নের জবাবে, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ যেকোনো সময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে, সেই সম্ভাবনা রয়েছে, যতক্ষণ না তারা পুরোপুরি এলিমিনেটেড (নিষ্ক্রিয়) না হয়।’

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

রাতে মিশর যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা : ১১তম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার অভিযান আরও জোরদারের সিদ্ধান্ত : উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৭:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক  :  আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নানা অপতৎপরতার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের গ্রেফতার অভিযান আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভা শেষে এ কথা জানান তিনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ব্রিফিংয়ের সময় তিনি নিজেও আসিফ মাহমুদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং সামনে যে ইভেন্টগুলো আছে, সেগুলো সুষ্ঠুভাবে ও শৃঙ্খলা বজায় রেখে শেষ করা যায়, সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ভালো আলোচনা হয়েছে, আশা করি সামনের ইভেন্টগুলো খুব শান্তিপূর্ণভাবে করা যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে কিছু অ্যাক্টিভিটি লক্ষ্য করছি। তার ভিত্তিতে সারাদেশে গ্রেফতার অভিযান আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর ফলাফল হয়ত শিগগিরই দেখতে পাবেন।’

আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের যারা বাইরে আছেন, তারা এখনও নানাভাবে ভিন্ন গোষ্ঠীকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা করছেন, ফান্ডিং করছেন এবং মিছিল করার চেষ্টা করছেন। গতকালও কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে এবং সুস্পষ্ট অভিযোগও রয়েছে, তাদের গ্রেফতার করা হবে।’

নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ফিরে আসা প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, ‘গতকাল যে ছবি পেয়েছি, তার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা থেকে তথ্য এসেছে, এটি পুরনো ছবি অথবা সেখানে যে ‘ছাত্রলীগ’ লেখা ছিল তা এডিট করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখেছি যে তারা (আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ) আগামীকাল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এর আগে বিভিন্ন সময় কর্মসূচি ঘোষণা করলেও সেগুলো বাস্তবায়িত হয়নি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ বিষয়ে সতর্ক রয়েছে।’ এক প্রশ্নের জবাবে, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ যেকোনো সময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে, সেই সম্ভাবনা রয়েছে, যতক্ষণ না তারা পুরোপুরি এলিমিনেটেড (নিষ্ক্রিয়) না হয়।’