ঢাকা , বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুরে জাহাজে ৭ খুন, ঘুমের ওষুধ খাইয়ে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ইরফান : র‌্যাব

সিনিয়র রিপোর্টার

চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে সারবহনকারী এমভি আল বাখেরা জাহাজে সাত জনকে খুনের ঘটনায় সন্দেহভাজন আকাশ মণ্ডল ওরফে ইরফানকে বাগেরহাটের চিতলমারী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন হয়েছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস গণমাধ্যমকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বেতন ভাতা না পাওয়া ও দুর্ব্যবহারের ক্ষোভ থেকে আকাশ মন্ডল ইরফান জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়াসহ সবাইকে হত্যা করেন। ইরফান জাহজের সুকানির সঙ্গে ইঞ্জিনরুমে কাজ করতেন।

খুন হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- মাস্টার গোলাম কিবরিয়া, গ্রিজার সজিবুল ইসলাম, লস্কর মাজেদুল ইসলাম, শেখ সবুজ, আমিনুর মুন্সী, ইঞ্জিন চালক সালাউদ্দিন ও বাবুর্চি রানা কাজী। আহত ব্যক্তি হলেন- সুকানি জুয়েল।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইরফানের দেওয়া তথ্য মতে র‌্যাব দাবি করে, জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়া দীর্ঘ আট মাস ধরে কোনো প্রকার বেতন ভাতা দিতেন না এমনকি তিনি দুর্ব্যবহারও করতেন। এসবের ক্ষোভ থেকে এবং ঘটনা যাতে জানাজানি না হয় সে জন্য আকাশ মন্ডল ইরফান মাস্টারসহ সবাইকে হত্যা করেন।

জাহাজের বাজার করার জন্য ইরফান পাবনার একটি বাজারে নেমেছিলেন। সেখান থেকে তিনি তিন পাতা ঘুমের ওষুধ কেনেন। আর যে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে সবাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় সেটি আগেই জাহাজেই ছিল। কুড়ালটি জাহাজের নিরাপত্তার জন্য রাখা হয়েছিল। আগের দিন রাতের খাবার রান্নার সময় ইরফান জাহাজের বাবুর্চির অগোচরে খাবারের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেন। সেই খাবার খেয়ে সবাই অচেতন হয়ে পড়লে হাতে গ্লাভস পড়ে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে মাস্টারসহ সবাইকে হত্যা করেন ইরফান।

এর আগে,  ইরফান যখন সবাইকে কুপিয়ে হত্যা করে তখন জাহাজ মাঝ নদীতে নোঙ্গর করা ছিল। পরে সবার মৃত্যু নিশ্চিত করে নিজে জাহাজ চালিয়ে হাইমচর এলাকায় এসে অন্য ট্রলার দিয়ে পালিয়ে যান।

চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডে মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে জেলার হাইমচর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেছেন এমভি আল বাখেরা কার্গো জাহাজের মালিক মাহবুব মোর্শেদ। মামলায় সংবাদদাতা অপর জাহাজ এমভি মুগনির মাস্টার বাচ্চু মিয়াসহ নয় জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

মামলার বাদী মাহবুব মোর্শেদ তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত রবিবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় চট্টগ্রামের কাফকো সার কারখানার জেটি থেকে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ির উদ্দেশে ইউরিয়া সার নিয়ে মোট নয় জন রওয়ানা হন। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকালে জাহাজটি গন্তব্যে পৌঁছার কথা ছিল। কিন্তু সোমবার সকাল থেকে জাহাজের মাস্টার মো. সালাহউদ্দিনসহ আরো কয়েকজন স্টাফকে মোবাইল ফোনে কল দিয়েও সাড়া পাননি তিনি।

এ সময় তার মালিকানাধীন অপর জাহাজ এমভি মুগনি একই পথ পাড়ি দিচ্ছিল। এর মাস্টার বাচ্চু মিয়াকে খোঁজ রাখতে মোবাইল ফোনে জানান। এরইমধ্যে দুপুর ১২টায় চাঁদপুরে হাইমচর উপজেলার মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ে ঈশানবালা খালের মুখে সার বোঝাই এমভি আল বাখেরাকে অবস্থান করতে দেখেন মাস্টার বাচ্চু মিয়া।

এরপর ওই জাহাজের কাছে পৌঁছে বাচ্চু মিয়া তাতে উঠে দেখতে পান এমভি আল বাখেরার প্রায় সব স্টাফ মৃত ও অর্ধমৃত অবস্থায় পড়ে আছেন। বিষয়টি মাহবুব মোর্শেদকে জানানো হলে তিনি জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানোর অনুরোধ করেন।

একপর্যায়ে কোস্ট গার্ড ও নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গ্রিজার ও সুকানি রুমে তিন জনকে মৃত, ব্রিজ রুমে তিন জনকে রক্তাক্ত এবং ড্রাইভার ও মাস্টার রুমে আরো দুই জনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এদের মধ্যে রক্তাক্ত যে তিন জন ছিলেন তারমধ্যে এখন কেবল জুয়েল নামে একজন বেঁচে আছেন। যাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রত্যেকের মাথা, গলা ও মুখমণ্ডল রক্তাক্ত জখম ছিল। তবে আট জনের এমন করুণ পরিণতি হলেও ইরফান রহস্যজনক কারণে নিখোঁজ ছিলেন।

মামলা সম্পর্কে হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন সুমন জানান, অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা এই মামলার তদন্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে চাঁদপুর সদরের হরিণাঘাট নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে।

অন্যদিকে খুনের ঘটনা তদন্ত করতে এরইমধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় এবং চাঁদপুর জেলা প্রশাসন, কোস্ট গার্ড জেলা ও নৌ পুলিশের সমন্বয়ে আলাদাভাবে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঘটনার শিকার কার্গো জাহাজ এমভি আল বাখেরা ঘটনাস্থলে পড়ে আছে। সেখানে নিরাপত্তার জন্য নৌ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহগুলো পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ছাড়া দাফন সম্পন্ন করার জন্য জেলা প্রশাসন ২০ হাজার এবং নৌ পুলিশ ১০ হাজার টাকার সহায়তা দেয়। নিহতদের মধ্যে দুজনের বাড়ি ফরিদপুর, দুজনের নড়াইল, দুজনের মাগুরা এবং একজনের বাড়ি মুন্সীগঞ্জে।

এদিকে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন তাদের সহকর্মীদের হত্যায় জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে। এই জন্য তারা আগামী (২৬ ডিসেম্বর) মধ্যরাত পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। একই সঙ্গে প্রতি পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা করে দেওয়ারও দাবি জানানো হয়।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

প্রেমিকের আত্মহত্যার খবরে প্রেমিকাও?

চাঁদপুরে জাহাজে ৭ খুন, ঘুমের ওষুধ খাইয়ে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ইরফান : র‌্যাব

আপডেট সময় ১০ মিনিট আগে

সিনিয়র রিপোর্টার

চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে সারবহনকারী এমভি আল বাখেরা জাহাজে সাত জনকে খুনের ঘটনায় সন্দেহভাজন আকাশ মণ্ডল ওরফে ইরফানকে বাগেরহাটের চিতলমারী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন হয়েছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস গণমাধ্যমকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বেতন ভাতা না পাওয়া ও দুর্ব্যবহারের ক্ষোভ থেকে আকাশ মন্ডল ইরফান জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়াসহ সবাইকে হত্যা করেন। ইরফান জাহজের সুকানির সঙ্গে ইঞ্জিনরুমে কাজ করতেন।

খুন হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- মাস্টার গোলাম কিবরিয়া, গ্রিজার সজিবুল ইসলাম, লস্কর মাজেদুল ইসলাম, শেখ সবুজ, আমিনুর মুন্সী, ইঞ্জিন চালক সালাউদ্দিন ও বাবুর্চি রানা কাজী। আহত ব্যক্তি হলেন- সুকানি জুয়েল।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইরফানের দেওয়া তথ্য মতে র‌্যাব দাবি করে, জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়া দীর্ঘ আট মাস ধরে কোনো প্রকার বেতন ভাতা দিতেন না এমনকি তিনি দুর্ব্যবহারও করতেন। এসবের ক্ষোভ থেকে এবং ঘটনা যাতে জানাজানি না হয় সে জন্য আকাশ মন্ডল ইরফান মাস্টারসহ সবাইকে হত্যা করেন।

জাহাজের বাজার করার জন্য ইরফান পাবনার একটি বাজারে নেমেছিলেন। সেখান থেকে তিনি তিন পাতা ঘুমের ওষুধ কেনেন। আর যে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে সবাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় সেটি আগেই জাহাজেই ছিল। কুড়ালটি জাহাজের নিরাপত্তার জন্য রাখা হয়েছিল। আগের দিন রাতের খাবার রান্নার সময় ইরফান জাহাজের বাবুর্চির অগোচরে খাবারের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেন। সেই খাবার খেয়ে সবাই অচেতন হয়ে পড়লে হাতে গ্লাভস পড়ে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে মাস্টারসহ সবাইকে হত্যা করেন ইরফান।

এর আগে,  ইরফান যখন সবাইকে কুপিয়ে হত্যা করে তখন জাহাজ মাঝ নদীতে নোঙ্গর করা ছিল। পরে সবার মৃত্যু নিশ্চিত করে নিজে জাহাজ চালিয়ে হাইমচর এলাকায় এসে অন্য ট্রলার দিয়ে পালিয়ে যান।

চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডে মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে জেলার হাইমচর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেছেন এমভি আল বাখেরা কার্গো জাহাজের মালিক মাহবুব মোর্শেদ। মামলায় সংবাদদাতা অপর জাহাজ এমভি মুগনির মাস্টার বাচ্চু মিয়াসহ নয় জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

মামলার বাদী মাহবুব মোর্শেদ তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত রবিবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় চট্টগ্রামের কাফকো সার কারখানার জেটি থেকে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ির উদ্দেশে ইউরিয়া সার নিয়ে মোট নয় জন রওয়ানা হন। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকালে জাহাজটি গন্তব্যে পৌঁছার কথা ছিল। কিন্তু সোমবার সকাল থেকে জাহাজের মাস্টার মো. সালাহউদ্দিনসহ আরো কয়েকজন স্টাফকে মোবাইল ফোনে কল দিয়েও সাড়া পাননি তিনি।

এ সময় তার মালিকানাধীন অপর জাহাজ এমভি মুগনি একই পথ পাড়ি দিচ্ছিল। এর মাস্টার বাচ্চু মিয়াকে খোঁজ রাখতে মোবাইল ফোনে জানান। এরইমধ্যে দুপুর ১২টায় চাঁদপুরে হাইমচর উপজেলার মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ে ঈশানবালা খালের মুখে সার বোঝাই এমভি আল বাখেরাকে অবস্থান করতে দেখেন মাস্টার বাচ্চু মিয়া।

এরপর ওই জাহাজের কাছে পৌঁছে বাচ্চু মিয়া তাতে উঠে দেখতে পান এমভি আল বাখেরার প্রায় সব স্টাফ মৃত ও অর্ধমৃত অবস্থায় পড়ে আছেন। বিষয়টি মাহবুব মোর্শেদকে জানানো হলে তিনি জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানোর অনুরোধ করেন।

একপর্যায়ে কোস্ট গার্ড ও নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গ্রিজার ও সুকানি রুমে তিন জনকে মৃত, ব্রিজ রুমে তিন জনকে রক্তাক্ত এবং ড্রাইভার ও মাস্টার রুমে আরো দুই জনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এদের মধ্যে রক্তাক্ত যে তিন জন ছিলেন তারমধ্যে এখন কেবল জুয়েল নামে একজন বেঁচে আছেন। যাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রত্যেকের মাথা, গলা ও মুখমণ্ডল রক্তাক্ত জখম ছিল। তবে আট জনের এমন করুণ পরিণতি হলেও ইরফান রহস্যজনক কারণে নিখোঁজ ছিলেন।

মামলা সম্পর্কে হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন সুমন জানান, অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা এই মামলার তদন্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে চাঁদপুর সদরের হরিণাঘাট নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে।

অন্যদিকে খুনের ঘটনা তদন্ত করতে এরইমধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় এবং চাঁদপুর জেলা প্রশাসন, কোস্ট গার্ড জেলা ও নৌ পুলিশের সমন্বয়ে আলাদাভাবে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঘটনার শিকার কার্গো জাহাজ এমভি আল বাখেরা ঘটনাস্থলে পড়ে আছে। সেখানে নিরাপত্তার জন্য নৌ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহগুলো পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ছাড়া দাফন সম্পন্ন করার জন্য জেলা প্রশাসন ২০ হাজার এবং নৌ পুলিশ ১০ হাজার টাকার সহায়তা দেয়। নিহতদের মধ্যে দুজনের বাড়ি ফরিদপুর, দুজনের নড়াইল, দুজনের মাগুরা এবং একজনের বাড়ি মুন্সীগঞ্জে।

এদিকে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন তাদের সহকর্মীদের হত্যায় জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে। এই জন্য তারা আগামী (২৬ ডিসেম্বর) মধ্যরাত পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। একই সঙ্গে প্রতি পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা করে দেওয়ারও দাবি জানানো হয়।