ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খালেদা জিয়া ইস্যুতে আদালতের সিদ্ধান্ত ছাড়া বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই : ওবায়দুল কাদের

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৭:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অক্টোবর ২০২৩
  • 78

 

সিনিয়র রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আদালতের সিদ্ধান্ত ব্যতিরেকে খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। খালেদা জিয়ার পরিবার উন্নত চিকিৎসার
জন্য তাকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলছেন। কিন্তু এই অবস্থায় খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে হলে সংবিধান, প্রচলিত আইন, সরকারি কোনো কর্তৃযক্ষ কিংবা নির্বাহী বিভাগের হাতে কোনো ক্ষমতা প্রদান করেনি।’

রবিবার (১ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ শাখা ও ঢাকার আশপাশের জেলা শাখা এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন ।

সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে বিদেশে পাঠানোর নজির দেশে-বিদেশে নেই দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনাদের মনে আছে পাকিস্তানের সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ সেদেশে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, দুর্নীতির দায়ে তার সাত বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। তিনিও লাহোর হাইকোর্টের আদেশে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্য যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। অনেকে আ স ম আব্দুর রবের কথা বলেছেন। আপনাদের মনে রাখতে হবে। আ স ম রবের বিচার হয়েছিলো সামরিক আদালতে। প্রচলিত আদালতে নয়। দেশে তখন কোনো সাংবিধানিক সরকার ব্যবস্থা চালু ছিলো না। আ স ম আব্দুর রব, কর্নেল তাহেরের সাথে একই মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন।

পরবর্তীতে দেশের উচ্চ আদালত কর্নেল তাহেরের সেই প্রহসনের বিচার সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী,সপ্তম সংশোধনীকে বেআইনী, অসাংবিধানিক ও অবৈধ বলে ঘোষনা করেছে। সে কারনে আ স ম রবের বিদেশ যাওয়ার বিষয়টি কোনো প্রকার উদাহরন হিসেবে এই প্রসঙ্গে বিবেচিত হতে পারে না। দেশের উচ্চ আদালত সম্প্রতি সংসদ সদস্য হাজী সেলিমকে একমাসের মধ্যে আত্মসমর্পনের নির্দেশ প্রদান করেছে। হাজী সেলিম তিনি ৩০ দিনের মধ্যেই বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরে আসেন। আদালতের রায়ে তার পাসপোর্ট বাতিল কিংবা ৩০ দিনের মধ্যে বিদেশে যাওয়ার কোনো প্রকার নিষেধাজ্ঞা না থাকায় এক্ষেত্রে আইনের কোনো
ব্যত্যয় ঘটেনি।’

খালেদা জিয়ার সার্বিক অবস্থা নিয়ে আওয়ামী লীগ সংবেদনশীল উল্লেখ করে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়ার প্রতি সর্বোচ্চ উদারতা ও মানবিকতা দেখিয়েছে। দেশের প্রচলিত আইন সংবিধান ফৌজধারী কার্যবিধি যতোটুকু ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিয়েছে তার সর্বোচ্চটুকু তিনি খালেদা জিয়াকে সাজা স্থগিত করে নিজ বাসায় থেকে দেশের সর্বাধুনিক হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার সেবা গ্রহনের সুযোগ করে দিয়েছেন। মানবিকতার এমন নজির পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি দেখানো খুবই কঠিন।’

বিএনপির আচরন নিয়ে তিনি বলেন, ‘যেখানে একজন রাষ্ট্রনায়ক তার প্রধান প্রতিপক্ষের প্রতি এমন আচরন। এটা এমন এক প্রতিপক্ষ যেই প্রতিপক্ষ আমাদের প্রতিপক্ষ ভাবে না। আমাদের শত্রুপক্ষ ভাবে। আমাদের পিতা জাতির পিতা হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত, যারা একুশে আগস্ট স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হত্যার পরিকল্পনাকারী এবং তাকে হত্যা করার জন্য গ্রেনেড বিস্ফোরন ঘটিয়েছিলো। যা আমার মনে হয় এসব বিষয় আমাদের দরদ দেখানোর মানবিকতা দেখানো আমাদের নিজেদের প্রতি তাদের আচরনটাও মনে করা উচিত।

ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য শুনেছেন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আইনমন্ত্রীর সঙ্গেও বিস্তারিত কথা বলেছি। আইনের ব্যাখ্যা চেয়েছি। শুধু দেশের জনগণ নয় আমাদেরও এটা জানা উচিত। এটাই আমাদের পার্টির বক্তব্য, দৃষ্টিভঙ্গি, এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত। এই বিষয়ে আমাদের পার্টির সিদ্ধান্ত মেনে বক্তব্য বিবৃতি দিতে হবে।

 

ট্যাগস

আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারো নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

খালেদা জিয়া ইস্যুতে আদালতের সিদ্ধান্ত ছাড়া বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই : ওবায়দুল কাদের

আপডেট সময় ০৭:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অক্টোবর ২০২৩

 

সিনিয়র রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আদালতের সিদ্ধান্ত ব্যতিরেকে খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। খালেদা জিয়ার পরিবার উন্নত চিকিৎসার
জন্য তাকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলছেন। কিন্তু এই অবস্থায় খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে হলে সংবিধান, প্রচলিত আইন, সরকারি কোনো কর্তৃযক্ষ কিংবা নির্বাহী বিভাগের হাতে কোনো ক্ষমতা প্রদান করেনি।’

রবিবার (১ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ শাখা ও ঢাকার আশপাশের জেলা শাখা এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন ।

সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে বিদেশে পাঠানোর নজির দেশে-বিদেশে নেই দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনাদের মনে আছে পাকিস্তানের সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ সেদেশে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, দুর্নীতির দায়ে তার সাত বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। তিনিও লাহোর হাইকোর্টের আদেশে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্য যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। অনেকে আ স ম আব্দুর রবের কথা বলেছেন। আপনাদের মনে রাখতে হবে। আ স ম রবের বিচার হয়েছিলো সামরিক আদালতে। প্রচলিত আদালতে নয়। দেশে তখন কোনো সাংবিধানিক সরকার ব্যবস্থা চালু ছিলো না। আ স ম আব্দুর রব, কর্নেল তাহেরের সাথে একই মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন।

পরবর্তীতে দেশের উচ্চ আদালত কর্নেল তাহেরের সেই প্রহসনের বিচার সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী,সপ্তম সংশোধনীকে বেআইনী, অসাংবিধানিক ও অবৈধ বলে ঘোষনা করেছে। সে কারনে আ স ম রবের বিদেশ যাওয়ার বিষয়টি কোনো প্রকার উদাহরন হিসেবে এই প্রসঙ্গে বিবেচিত হতে পারে না। দেশের উচ্চ আদালত সম্প্রতি সংসদ সদস্য হাজী সেলিমকে একমাসের মধ্যে আত্মসমর্পনের নির্দেশ প্রদান করেছে। হাজী সেলিম তিনি ৩০ দিনের মধ্যেই বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরে আসেন। আদালতের রায়ে তার পাসপোর্ট বাতিল কিংবা ৩০ দিনের মধ্যে বিদেশে যাওয়ার কোনো প্রকার নিষেধাজ্ঞা না থাকায় এক্ষেত্রে আইনের কোনো
ব্যত্যয় ঘটেনি।’

খালেদা জিয়ার সার্বিক অবস্থা নিয়ে আওয়ামী লীগ সংবেদনশীল উল্লেখ করে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়ার প্রতি সর্বোচ্চ উদারতা ও মানবিকতা দেখিয়েছে। দেশের প্রচলিত আইন সংবিধান ফৌজধারী কার্যবিধি যতোটুকু ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিয়েছে তার সর্বোচ্চটুকু তিনি খালেদা জিয়াকে সাজা স্থগিত করে নিজ বাসায় থেকে দেশের সর্বাধুনিক হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার সেবা গ্রহনের সুযোগ করে দিয়েছেন। মানবিকতার এমন নজির পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি দেখানো খুবই কঠিন।’

বিএনপির আচরন নিয়ে তিনি বলেন, ‘যেখানে একজন রাষ্ট্রনায়ক তার প্রধান প্রতিপক্ষের প্রতি এমন আচরন। এটা এমন এক প্রতিপক্ষ যেই প্রতিপক্ষ আমাদের প্রতিপক্ষ ভাবে না। আমাদের শত্রুপক্ষ ভাবে। আমাদের পিতা জাতির পিতা হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত, যারা একুশে আগস্ট স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হত্যার পরিকল্পনাকারী এবং তাকে হত্যা করার জন্য গ্রেনেড বিস্ফোরন ঘটিয়েছিলো। যা আমার মনে হয় এসব বিষয় আমাদের দরদ দেখানোর মানবিকতা দেখানো আমাদের নিজেদের প্রতি তাদের আচরনটাও মনে করা উচিত।

ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য শুনেছেন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আইনমন্ত্রীর সঙ্গেও বিস্তারিত কথা বলেছি। আইনের ব্যাখ্যা চেয়েছি। শুধু দেশের জনগণ নয় আমাদেরও এটা জানা উচিত। এটাই আমাদের পার্টির বক্তব্য, দৃষ্টিভঙ্গি, এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত। এই বিষয়ে আমাদের পার্টির সিদ্ধান্ত মেনে বক্তব্য বিবৃতি দিতে হবে।