সিনিয়র রিপোর্টার
পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের হওয়া পুরানো মামলাটির অধিকতর তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন।
দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন বলেন, ‘২০১২ সালের ১৭ ডিসেম্বর পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা দায়ের করে দুদক। ওই সময় এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়ার মতো দালিলিক প্রমাণ ছিল না। এ কারণে প্রায় দুই বছর তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়। কিন্তু বর্তমানে পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে নতুন করে কিছু তথ্য উঠে এসেছে। ফলে দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে মামলাটির অধিকতর তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’
আক্তার হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সাবেক সচিব ও নির্বাহী পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদাউস, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রিয়াজ আহমেদ জাবের, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড প্লানিং কনসালটেন্ট লিমিটেডের (ইপিসি) মোহাম্মদ মোস্তফা, সাবেক প্রজেক্ট ডিরেক্টর মোহাম্মদ ইসমাইল, আন্তর্জাতিক প্রকল্প বিভাগের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মি. রমেশ শাহ এবং মি. কেভিন ওয়ালেস পরস্পর যোগসাজসে ঘুষ লেনদেন ও ষড়যন্ত্রমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্মাণকাজে পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্মাণ তদারকী পরামর্শক নিয়োগ সংক্রান্ত দরপত্রের অন্যতম দরদাতা লাভালিন ইন্টারন্যাশনাল ইনককে (এসএনসি) কার্যাদেশ পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করার অভিপ্রায়ে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করেছেন। যে কারণে তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারার অপরাধ সংঘটনের ষড়যন্ত্রের দায়ে দণ্ডবিধির ১২০ (বি) ধারায় বনানী থানায় ২০১২ সালে মামলা করা হয়। তদন্ত শেষে আদালতে এফআরটি দাখিল করা হয় ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেবর।