সিনিয়র রিপোর্টার
বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে লাগা আগুনের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, এই আগুন নাশকতা কিনা, তা তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না। আগুন লাগার কারণসহ সব বিষয়ে তদন্তে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি হচ্ছে। কমিটির সদস্য পাঁচ থেকে ১১ জন হতে পারে। এই কমিটির তদন্তের পর সবকিছু বলা যাবে।
সচিবালয়ের মতো সুরক্ষিত জায়গায় আগুনের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘দুর্ঘটনা যে কোনো জায়গাতেই হতে পারে।’তিনি জানান, প্রথমে ভবনের ৬ তলায় আগুনের সূত্রপাত। পরে তা উপর দিকে উঠে। আগুনের উৎস অনুসন্ধানেও তদন্ত কমিটি হবে।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) মধ্যরাত ১টা ৫২ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিটের চেষ্টায় বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
সকাল পৌনে ৭টার দিকে সচিবালয়ের সামনে বিফ্রিংয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেন, রাত ১টা ৫২ মিনিটে আমরা মেসেজ পাই সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন লেগেছে। ১টা ৫৪ মিনিটের মধ্যে আমাদের ইউনিট পৌঁছে যায়।
এখানে ১৯টি ইউনিট কাজ করেছে। এর মধ্যে ১০টি ইউনিট সরাসরি কাজ করেছে। এখানে গাড়ি প্রবেশে কিছুটা সীমাবদ্ধতা আছে। বিশেষ করে বড় গাড়িগুলো ঢোকানো কঠিন ছিল।জাহেদ কামাল বলেন, কী কারণে আগুনের সূত্রপাত তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিকে আগুন লাগার পর পানির পাইপের সংযোগ দিতে রাস্তা পার হচ্ছিলেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্য সোহানুজ্জামান। একটি ট্রাক তাকে ধাক্কা দেয়। আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।
সর্বশেষ সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রবেশের জন্য একটি ফটক খুলে দেওয়া হয়েছে। এর আগে নিরাপত্তার স্বার্থে সচিবালয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছিল না কোনো কর্মকর্তা ও কর্মচারিকে।