ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিক্সন চৌধুরী ও তার স্ত্রী নামে দুদকের মামলা

সিনিয়র রিপোর্টার

ক্ষমতার অপব্যবহার করে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মুজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন চৌধুরী) ও তার স্ত্রী তারিন হোসেনের নামে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন চৌধুরী) সংসদ সদস্য পদে দায়িত্ব পালনকালে নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ১১ কোটি ২৩ লাখ ৬২ হাজার ৪৩৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনপূর্বক তা নিজের দখলে রেখে এবং নিজ নামীয় ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামীয় ৫৫টি ব্যাংক হিসাব ব্যবহার করে সর্বমোট ৭১৫ কোটি ৯৪ লাখ ১৭ হাজার ৪০৮ টাকা জমা এবং ৬৮৬ কোটি ৫৭ লাখ ৭১ হাজার ১৮৩ টাকা উত্তোলনসহ মোট এক হাজার ৪০২ কোটি ৫১ লাখ ৮৮ হাজার ৫৯১ টাকা অস্বাভাবিক লেনদেনের মাধ্যমে তার অপরাধলব্ধ অবৈধ অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে ছদ্ধাবরণ করতো: মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। বিধায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা; দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) (৩) ধারায় একটি মামলা রুজু করা হয়।

তিনি বলেন, নিক্সন চৌধুরীর স্ত্রী তারিন হোসেন স্বামীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় আট কোটি পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ৭০৮ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনপূর্বক তা নিজের দখলে রেখেছেন। একই সঙ্গে তিনি তার নিজ নামীয় ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামীয় ১৭টি ব্যাংক হিসাব ব্যবহার করে সর্বমোট ৮৮১ কোটি ৫৫ লাখ ৪২ হাজার ৫৫০ টাকা জমা এবং ৮৭৮ কোটি ৭৯ লাখ ৮ হাজার ৭৭০ টাকা উত্তোলনসহ মোট এক হাজার ৭৬০ কোটি ৩৪ লাখ ৫১ হাজার ৩২০ টাকা অস্বাভাবিক লেনদেনের মাধ্যমে তার অপরাধলব্ধ অবৈধ অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে ছদ্ধাবরণ করতো।

এদিকে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। বিধায় তারিন হোসেন ও তার স্বামী মুজিবুর রহমান চৌধুরীর (নিক্সন চৌধুরী) বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা: মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) (৩) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় একটি মামলা রুজু করা হয়।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

নিক্সন চৌধুরী ও তার স্ত্রী নামে দুদকের মামলা

আপডেট সময় ১৯ মিনিট আগে

সিনিয়র রিপোর্টার

ক্ষমতার অপব্যবহার করে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মুজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন চৌধুরী) ও তার স্ত্রী তারিন হোসেনের নামে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন চৌধুরী) সংসদ সদস্য পদে দায়িত্ব পালনকালে নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ১১ কোটি ২৩ লাখ ৬২ হাজার ৪৩৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনপূর্বক তা নিজের দখলে রেখে এবং নিজ নামীয় ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামীয় ৫৫টি ব্যাংক হিসাব ব্যবহার করে সর্বমোট ৭১৫ কোটি ৯৪ লাখ ১৭ হাজার ৪০৮ টাকা জমা এবং ৬৮৬ কোটি ৫৭ লাখ ৭১ হাজার ১৮৩ টাকা উত্তোলনসহ মোট এক হাজার ৪০২ কোটি ৫১ লাখ ৮৮ হাজার ৫৯১ টাকা অস্বাভাবিক লেনদেনের মাধ্যমে তার অপরাধলব্ধ অবৈধ অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে ছদ্ধাবরণ করতো: মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। বিধায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা; দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) (৩) ধারায় একটি মামলা রুজু করা হয়।

তিনি বলেন, নিক্সন চৌধুরীর স্ত্রী তারিন হোসেন স্বামীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় আট কোটি পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ৭০৮ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনপূর্বক তা নিজের দখলে রেখেছেন। একই সঙ্গে তিনি তার নিজ নামীয় ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামীয় ১৭টি ব্যাংক হিসাব ব্যবহার করে সর্বমোট ৮৮১ কোটি ৫৫ লাখ ৪২ হাজার ৫৫০ টাকা জমা এবং ৮৭৮ কোটি ৭৯ লাখ ৮ হাজার ৭৭০ টাকা উত্তোলনসহ মোট এক হাজার ৭৬০ কোটি ৩৪ লাখ ৫১ হাজার ৩২০ টাকা অস্বাভাবিক লেনদেনের মাধ্যমে তার অপরাধলব্ধ অবৈধ অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে ছদ্ধাবরণ করতো।

এদিকে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। বিধায় তারিন হোসেন ও তার স্বামী মুজিবুর রহমান চৌধুরীর (নিক্সন চৌধুরী) বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা: মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) (৩) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় একটি মামলা রুজু করা হয়।