ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রাম আদালতের খোয়া যাওয়া নথি মিলল ভাঙারির দোকানে

চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রাম আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটরের কক্ষের সামনের বারান্দা থেকে নিখোঁজ হওয়া মামলার নথি ভাঙারির দোকান থেকে উদ্ধার করেছে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ভোররাতে হারিয়ে যাওয়া নয় বস্তা নথি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম।

পুলিশ জানায়, চুরি যাওয়া নথিগুলো পাথরঘাটা এলাকার একটি ভাঙ্গারির দোকানে কেজি দরে বিক্রি করা হয়। গত দুই দিনের আদালতের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করে। আটক ব্যক্তি আদালত চত্বরে চা বিক্রি করতেন।

জানা যায়, চট্টগ্রাম মহানগর পিপি কার্যালয়ের বাইরে রাখা ৩০টি আদালতের এক হাজার ৯১১ মামলার নথি (কেস ডকেট বা সিডি) চুরি হয়। মহানগর পিপি অফিসে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় অফিসটির বাইরে এসব সিডি রাখা হয়েছিল। আদালতের অবকাশকালীন সময়ের মধ্যে গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মামলার এসব নথি উধাও হয়। এ ঘটনায় নগরীর কোতোয়ালী থানায় একটি জেনারেল ডায়েরি (জিডি) করা হয়।

চট্টগ্রাম মহানগর পিপি মফিজুল হক ভূঁইয়া জিডিটি করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, মহানগর দায়রা জজের অধীন ৩০টি মহানগর দায়রা জজ আদালতের এক হাজার ৯১১টি মামলার নথি গায়েব হয়ে গেছে। ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে মহানগর পিপি কার্যালয়ের সামনে রাখা ছিল এসব নথি। নথিগুলো পলিথিনে মোড়ানো ছিল। মূলত পিপি অফিসে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় বাধ্য হয়ে নথিগুলো আদালতের বারান্দায় রাখা হয়। হত্যা, ডাকাতি, মাদক থেকে শুরু বিস্ফোরক মামলা, চোরাচালান মামলার সিডি ছিল।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রাম আদালতের খোয়া যাওয়া নথি মিলল ভাঙারির দোকানে

আপডেট সময় ৩ ঘন্টা আগে
চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রাম আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটরের কক্ষের সামনের বারান্দা থেকে নিখোঁজ হওয়া মামলার নথি ভাঙারির দোকান থেকে উদ্ধার করেছে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ভোররাতে হারিয়ে যাওয়া নয় বস্তা নথি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম।

পুলিশ জানায়, চুরি যাওয়া নথিগুলো পাথরঘাটা এলাকার একটি ভাঙ্গারির দোকানে কেজি দরে বিক্রি করা হয়। গত দুই দিনের আদালতের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করে। আটক ব্যক্তি আদালত চত্বরে চা বিক্রি করতেন।

জানা যায়, চট্টগ্রাম মহানগর পিপি কার্যালয়ের বাইরে রাখা ৩০টি আদালতের এক হাজার ৯১১ মামলার নথি (কেস ডকেট বা সিডি) চুরি হয়। মহানগর পিপি অফিসে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় অফিসটির বাইরে এসব সিডি রাখা হয়েছিল। আদালতের অবকাশকালীন সময়ের মধ্যে গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মামলার এসব নথি উধাও হয়। এ ঘটনায় নগরীর কোতোয়ালী থানায় একটি জেনারেল ডায়েরি (জিডি) করা হয়।

চট্টগ্রাম মহানগর পিপি মফিজুল হক ভূঁইয়া জিডিটি করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, মহানগর দায়রা জজের অধীন ৩০টি মহানগর দায়রা জজ আদালতের এক হাজার ৯১১টি মামলার নথি গায়েব হয়ে গেছে। ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে মহানগর পিপি কার্যালয়ের সামনে রাখা ছিল এসব নথি। নথিগুলো পলিথিনে মোড়ানো ছিল। মূলত পিপি অফিসে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় বাধ্য হয়ে নথিগুলো আদালতের বারান্দায় রাখা হয়। হত্যা, ডাকাতি, মাদক থেকে শুরু বিস্ফোরক মামলা, চোরাচালান মামলার সিডি ছিল।