ঢাকা , বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দীর্ঘ ১২ বছর পর কারামুক্ত হলেন ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমীন

অনলাইন ডেস্ক  দীর্ঘ ১২ বছর পর কারামুক্ত হলেন ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমীন। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান। আদালতে মুক্তির আদেশ দেওয়ার পরই এ খবর ছড়িয়ে পড়ে। বিকাল থেকেই ডেসটিনির সদস্যরা কারাফটকে ভিড় জমাতে থাকেন। সন্ধ্যার পর মুক্ত হয়েই ডেসটিনির এমডি ছাদখোলা প্রাইভেট কার থেকে প্রতিষ্ঠানটির সদস্য ও কর্মীদের হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান। 

এর আগে, ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাতের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনসহ ১৯ জনকে ১২ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের ৪ হাজার ৫১৫ কোটি ৫৭ লাখ ৫৪ হাজার ৪৫৪ টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।

তবে, রফিকুল আমীন বিগত ১২ বছর ধরে কারাগারে আছেন। রায়ে আদালত বলেছেন, কারাগারে থাকার সময় সাজা থেকে বাদ যাবে। সেক্ষেত্রে এমডি রফিকুল আমীনের সাজা হয়ে গেছে। এখন তার বিরুদ্ধে আর কোনও মামলা আছে কি না, তা যাচাই করা হবে।

দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- ডেসটিনির পরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হারুনুর রশিদ, প্রধান কার্যালয়ের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ গোফরানুল হক, সাইদ-উর রহমান, মেজবাহ উদ্দিন স্বপন, ইঞ্জিনিয়ার শেখ তৈয়েবুর রহমান ও গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস, পরিচালক সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, ইরফান আহমেদ সানী, ফারহা দিবা ও জামসেদ আরা চৌধুরী, প্রফিট শেয়ারিং ডিস্ট্রিবিউটর জসিম উদ্দীন ভূঁইয়া, ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ও সদস্য আবুল কালাম আজাদ, ডায়মন্ড এক্সিকিউটিভ এস এম আহসানুল কবির বিপ্লব, জোবায়ের সোহেল ও আব্দুল মান্নান এবং ক্রাউন এক্সিকিউটিভ মোসাদ্দেক আলী খান।

আসামিপক্ষের আইনজীবী এহসানুল মাহবুব সমাজী বলেন, ১৯ আসামির মধ্যে কারাগারে থাকা রফিকুল আমীন, তার স্ত্রী ফারহা দিবা ও মোহাম্মদ হোসেনকে এদিন আদালতে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা হারুনুর রশিদও আদালতে ছিলেন। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পলাতক বাকি ১৫ আসামির বিরুদ্ধে সাজা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন বিচারক।

আইনজীবী এহসানুল মাহবুব সমাজী বলেন, তিনজন ১২ বছর ধরে কারাগারে আছেন। রায়ে আদালত বলেছেন, কারাগারে থাকার সময় সাজা থেকে বাদ যাবে। সেক্ষেত্রে তাদের সাজা হয়ে গেছে। ২০২২ সালের ১২ মে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ এবং বেআইনিভাবে অর্থ পাচারের দায়ে রফিকুল আমীনকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া হারুন অর রশীদসহ ৪৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এদিকে, আইন ও বিধি লঙ্ঘন করে ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের শীর্ষ কর্মকর্তারা গাছ বিক্রির নামে ২ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। এর মধ্যে ঋণপত্র (এলসি) হিসেবে ৫৬ কোটি ১৯ লাখ ১৯ হাজার ৪০ টাকা এবং পাচারের আরও ২ লাখ ৬ হাজার ডলার রয়েছে।

 

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

দীর্ঘ ১২ বছর পর কারামুক্ত হলেন ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমীন

দীর্ঘ ১২ বছর পর কারামুক্ত হলেন ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমীন

আপডেট সময় এই মাত্র

অনলাইন ডেস্ক  দীর্ঘ ১২ বছর পর কারামুক্ত হলেন ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমীন। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান। আদালতে মুক্তির আদেশ দেওয়ার পরই এ খবর ছড়িয়ে পড়ে। বিকাল থেকেই ডেসটিনির সদস্যরা কারাফটকে ভিড় জমাতে থাকেন। সন্ধ্যার পর মুক্ত হয়েই ডেসটিনির এমডি ছাদখোলা প্রাইভেট কার থেকে প্রতিষ্ঠানটির সদস্য ও কর্মীদের হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান। 

এর আগে, ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাতের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনসহ ১৯ জনকে ১২ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের ৪ হাজার ৫১৫ কোটি ৫৭ লাখ ৫৪ হাজার ৪৫৪ টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।

তবে, রফিকুল আমীন বিগত ১২ বছর ধরে কারাগারে আছেন। রায়ে আদালত বলেছেন, কারাগারে থাকার সময় সাজা থেকে বাদ যাবে। সেক্ষেত্রে এমডি রফিকুল আমীনের সাজা হয়ে গেছে। এখন তার বিরুদ্ধে আর কোনও মামলা আছে কি না, তা যাচাই করা হবে।

দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- ডেসটিনির পরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হারুনুর রশিদ, প্রধান কার্যালয়ের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ গোফরানুল হক, সাইদ-উর রহমান, মেজবাহ উদ্দিন স্বপন, ইঞ্জিনিয়ার শেখ তৈয়েবুর রহমান ও গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস, পরিচালক সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, ইরফান আহমেদ সানী, ফারহা দিবা ও জামসেদ আরা চৌধুরী, প্রফিট শেয়ারিং ডিস্ট্রিবিউটর জসিম উদ্দীন ভূঁইয়া, ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ও সদস্য আবুল কালাম আজাদ, ডায়মন্ড এক্সিকিউটিভ এস এম আহসানুল কবির বিপ্লব, জোবায়ের সোহেল ও আব্দুল মান্নান এবং ক্রাউন এক্সিকিউটিভ মোসাদ্দেক আলী খান।

আসামিপক্ষের আইনজীবী এহসানুল মাহবুব সমাজী বলেন, ১৯ আসামির মধ্যে কারাগারে থাকা রফিকুল আমীন, তার স্ত্রী ফারহা দিবা ও মোহাম্মদ হোসেনকে এদিন আদালতে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা হারুনুর রশিদও আদালতে ছিলেন। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পলাতক বাকি ১৫ আসামির বিরুদ্ধে সাজা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন বিচারক।

আইনজীবী এহসানুল মাহবুব সমাজী বলেন, তিনজন ১২ বছর ধরে কারাগারে আছেন। রায়ে আদালত বলেছেন, কারাগারে থাকার সময় সাজা থেকে বাদ যাবে। সেক্ষেত্রে তাদের সাজা হয়ে গেছে। ২০২২ সালের ১২ মে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ এবং বেআইনিভাবে অর্থ পাচারের দায়ে রফিকুল আমীনকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া হারুন অর রশীদসহ ৪৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এদিকে, আইন ও বিধি লঙ্ঘন করে ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের শীর্ষ কর্মকর্তারা গাছ বিক্রির নামে ২ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। এর মধ্যে ঋণপত্র (এলসি) হিসেবে ৫৬ কোটি ১৯ লাখ ১৯ হাজার ৪০ টাকা এবং পাচারের আরও ২ লাখ ৬ হাজার ডলার রয়েছে।