ঢাকা , শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্ব বসতি দিবস আজ

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৪:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩
  • 113

সিনিয়র রিপোর্টার : আজ আজ (৪ অক্টোবর) সোমবার বিশ্ব বসতি দিবস।  বাসযোগ্য ও নিরাপদ আবাসস্থলের বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯৮৫ সালে জাতিসংঘ বিশ্ব বসতি দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। পরে ১৯৮৬ সাল থেকে সারা বিশ্বে অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার বিশ্ব বসতি দিবস পালিত হয়ে আসছে। সে হিসেবেই প্রতি বছরের মত এবারও বাংলাদেশে জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব বসতি দিবস উদযাপিত হচ্ছে। এ বছর এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘নগরীয় কর্মপন্থা প্রয়োগ করি কার্বন মুক্ত বিশ্ব গড়ি’। 

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, আগামী প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও বাসযোগ্য দেশ গঠনে পরিকল্পিত নগরায়নের বিকল্প নেই। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় পরিকল্পিত নগরায়নের পাশাপাশি গ্রীনহাউজ গ্যাসসমূহের নিঃসরণ কমানো অত্যন্ত জরুরী। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের  স্বপ্নের পথ ধরে বাংলাদেশ আজ সারা-বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হয়ে উঠেছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সাথে সাথে বাংলাদেশের শহরগুলোও দ্রুত বদলে যাচ্ছে। শহর এলাকায় জনঘনত্ব যেমন বেড়েই চলেছে, তেমনি বেড়ে চলেছে যানবাহন, ভবন এবং যন্ত্রপাতি থেকে কার্বন নিঃসরণের মাত্রাও। মেগা শহরের পাশাপাশি জেলা, উপজেলায় পরিকল্পিত নগরায়নের মাধ্যমে গ্রীনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানো সম্ভব বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। নগর ও গ্রামাঞ্চলের জীবন-যাত্রার মানের বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে সরকার নানামুখী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করছে। ইতোমধ্যে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সুবিধা ৮ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যে অনুশাসন দেয়া হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়নের ফলে সরকারি চাকুরিজীবীদের আবাসন সুবিধা ইতোমধ্যে ২৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। চলমান প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়িত হলে ২০২৩ সালে এ আবাসন সুবিধা ২৮ শতাংশে উন্নীত হবে। এ সকল বহুতল আবাসন প্রকল্পে জমির ন্যূনতম দুই তৃতীয়াংশ স্থান উন্মুক্ত রাখা অথবা জলাধারের সংস্থান এবং টেকসই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে নাগরিক জীবনে কার্বন নিঃসরণ বহুলাংশে কমে যাবে।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি উপলক্ষ্যে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বেলা ১১টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব বসতি দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকারের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী মো. শরীফ আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন।

দিবসটির ওপর আলোচনায় অংশ নিবেন নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক ড. খুরশীদ জাবিন হোসেন তৌফিক, প্রধান স্থপতি মীর মঞ্জুর রহমান, হাউজ বিল্ডিং অ্যান্ড রিসার্স ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. আশরাফুল আলম, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. শামীম আখতার। এছাড়াও বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখবেন ইউএনডিপির কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদিপ্ত মুখার্জী।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি ১২টি শৈত্যপ্রবাহ ও শিলাবৃষ্টি হতে পারে

বিশ্ব বসতি দিবস আজ

আপডেট সময় ০৪:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩

সিনিয়র রিপোর্টার : আজ আজ (৪ অক্টোবর) সোমবার বিশ্ব বসতি দিবস।  বাসযোগ্য ও নিরাপদ আবাসস্থলের বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯৮৫ সালে জাতিসংঘ বিশ্ব বসতি দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। পরে ১৯৮৬ সাল থেকে সারা বিশ্বে অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার বিশ্ব বসতি দিবস পালিত হয়ে আসছে। সে হিসেবেই প্রতি বছরের মত এবারও বাংলাদেশে জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব বসতি দিবস উদযাপিত হচ্ছে। এ বছর এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘নগরীয় কর্মপন্থা প্রয়োগ করি কার্বন মুক্ত বিশ্ব গড়ি’। 

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, আগামী প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও বাসযোগ্য দেশ গঠনে পরিকল্পিত নগরায়নের বিকল্প নেই। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় পরিকল্পিত নগরায়নের পাশাপাশি গ্রীনহাউজ গ্যাসসমূহের নিঃসরণ কমানো অত্যন্ত জরুরী। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের  স্বপ্নের পথ ধরে বাংলাদেশ আজ সারা-বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হয়ে উঠেছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সাথে সাথে বাংলাদেশের শহরগুলোও দ্রুত বদলে যাচ্ছে। শহর এলাকায় জনঘনত্ব যেমন বেড়েই চলেছে, তেমনি বেড়ে চলেছে যানবাহন, ভবন এবং যন্ত্রপাতি থেকে কার্বন নিঃসরণের মাত্রাও। মেগা শহরের পাশাপাশি জেলা, উপজেলায় পরিকল্পিত নগরায়নের মাধ্যমে গ্রীনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানো সম্ভব বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। নগর ও গ্রামাঞ্চলের জীবন-যাত্রার মানের বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে সরকার নানামুখী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করছে। ইতোমধ্যে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সুবিধা ৮ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যে অনুশাসন দেয়া হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়নের ফলে সরকারি চাকুরিজীবীদের আবাসন সুবিধা ইতোমধ্যে ২৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। চলমান প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়িত হলে ২০২৩ সালে এ আবাসন সুবিধা ২৮ শতাংশে উন্নীত হবে। এ সকল বহুতল আবাসন প্রকল্পে জমির ন্যূনতম দুই তৃতীয়াংশ স্থান উন্মুক্ত রাখা অথবা জলাধারের সংস্থান এবং টেকসই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে নাগরিক জীবনে কার্বন নিঃসরণ বহুলাংশে কমে যাবে।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি উপলক্ষ্যে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বেলা ১১টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব বসতি দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকারের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী মো. শরীফ আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন।

দিবসটির ওপর আলোচনায় অংশ নিবেন নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক ড. খুরশীদ জাবিন হোসেন তৌফিক, প্রধান স্থপতি মীর মঞ্জুর রহমান, হাউজ বিল্ডিং অ্যান্ড রিসার্স ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. আশরাফুল আলম, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. শামীম আখতার। এছাড়াও বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখবেন ইউএনডিপির কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদিপ্ত মুখার্জী।