ঢাকা , বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রধান উপদেষ্টার সাবেক সহকর্মী পরিচয়ে অভিনব প্রতারণা ও চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তার ১

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৬:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • 8

সিনিয়র ‍রিপোর্টার

প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে কামাল খান ওরফে শাহ কামাল খান (৪৬) নামে এক পেশাদার প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির ডেমরা থানা পুলিশ । তিনি নিজেকে কখনো প্রধান উপদেষ্টার সাবেক সহকর্মী, কখনো সাংবাদিক আবার কখনো গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তি পরিচয় দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন মানুষের সাথে অভিনব উপায়ে প্রতারণা ও চাঁদাবাজি করে আসছিলেন।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি)  দুপুর সাড়ে বারোটার সময়  ট্রাফিক ডেমরা জোন পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডেমরা থানা সূত্রে জানা যায়, পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যান) জি এম মুসা কালিমুল্লাহ ট্রাফিক ডেমরা জোনে কর্মরত। তিনি গত ১৬ জানুয়ারি দুপুর ১২টা ৫১ মিনিটের দিকে ডেমরা থানার রাণীমহল এলাকায় সরকারি দায়িত্ব পালন করছিলেন। ওই সময় গ্রেপ্তার কামাল তার মোবাইল নম্বরে ফোন করে নিজেকে প্রধান উপদেষ্টার সাবেক সহকর্মী, সাংবাদিক ও  রাজনৈতিক ব্যক্তি পরিচয়ে তার কোছে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত টাকা না দিলে তার বিরুদ্ধে আইজিপি কমপ্লেইন সেল, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করবে বলে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ হুমকি প্রদান করেন।

পুলিশ কর্মকর্তা  তার সহকর্মীদের সাথে এই বিষয়ে কথা বলে জানতে পারে উক্ত ব্যক্তি অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের কাছেওে এই পরিচয়ে বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবি করে আসছে। পরবর্তীতে গত ১৮ জানুয়ারি  দুপুর ১২টা ৩৫মিনিটের দিকে ডেমরা ট্রাফিক জোন পুলিশের সহায়তায় প্রতারক কামালকে কৌশলে ডেমরা থানার মাতুয়াইল ইউলুপ এলাকায় নিয়ে আসা হয় এবং তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ পরিদর্শক ( শহর ও যান) জি এম মুসা কালিমুল্লাহ বাদী হয়ে গ্রেপ্তার কামালের বিরুদ্ধে ডেমরা থানায় একটি প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মামলা রুজু করেন।

কামাল একজন পেশাদার প্রতারক। সে নিজেকে প্রধান উপদেষ্টার সাবেক সহকর্মী, বিভিন্ন স্বনামধন্য পত্রিকার সাংবাদিক ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব পরিচয় দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন মানুষের সাথে প্রতারণা ও চাঁদাবাজি করে আসছে মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাদে স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

ট্যাগস

ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার

প্রধান উপদেষ্টার সাবেক সহকর্মী পরিচয়ে অভিনব প্রতারণা ও চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তার ১

আপডেট সময় ০৬:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

সিনিয়র ‍রিপোর্টার

প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে কামাল খান ওরফে শাহ কামাল খান (৪৬) নামে এক পেশাদার প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির ডেমরা থানা পুলিশ । তিনি নিজেকে কখনো প্রধান উপদেষ্টার সাবেক সহকর্মী, কখনো সাংবাদিক আবার কখনো গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তি পরিচয় দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন মানুষের সাথে অভিনব উপায়ে প্রতারণা ও চাঁদাবাজি করে আসছিলেন।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি)  দুপুর সাড়ে বারোটার সময়  ট্রাফিক ডেমরা জোন পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডেমরা থানা সূত্রে জানা যায়, পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যান) জি এম মুসা কালিমুল্লাহ ট্রাফিক ডেমরা জোনে কর্মরত। তিনি গত ১৬ জানুয়ারি দুপুর ১২টা ৫১ মিনিটের দিকে ডেমরা থানার রাণীমহল এলাকায় সরকারি দায়িত্ব পালন করছিলেন। ওই সময় গ্রেপ্তার কামাল তার মোবাইল নম্বরে ফোন করে নিজেকে প্রধান উপদেষ্টার সাবেক সহকর্মী, সাংবাদিক ও  রাজনৈতিক ব্যক্তি পরিচয়ে তার কোছে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত টাকা না দিলে তার বিরুদ্ধে আইজিপি কমপ্লেইন সেল, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করবে বলে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ হুমকি প্রদান করেন।

পুলিশ কর্মকর্তা  তার সহকর্মীদের সাথে এই বিষয়ে কথা বলে জানতে পারে উক্ত ব্যক্তি অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের কাছেওে এই পরিচয়ে বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবি করে আসছে। পরবর্তীতে গত ১৮ জানুয়ারি  দুপুর ১২টা ৩৫মিনিটের দিকে ডেমরা ট্রাফিক জোন পুলিশের সহায়তায় প্রতারক কামালকে কৌশলে ডেমরা থানার মাতুয়াইল ইউলুপ এলাকায় নিয়ে আসা হয় এবং তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ পরিদর্শক ( শহর ও যান) জি এম মুসা কালিমুল্লাহ বাদী হয়ে গ্রেপ্তার কামালের বিরুদ্ধে ডেমরা থানায় একটি প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মামলা রুজু করেন।

কামাল একজন পেশাদার প্রতারক। সে নিজেকে প্রধান উপদেষ্টার সাবেক সহকর্মী, বিভিন্ন স্বনামধন্য পত্রিকার সাংবাদিক ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব পরিচয় দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন মানুষের সাথে প্রতারণা ও চাঁদাবাজি করে আসছে মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাদে স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।