ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন চায় জাপান

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৩:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ অক্টোবর ২০২৩
  • 52

অনলাইন ডেস্ক : জাপানের পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় উপমন্ত্রী কোমুরা মাসাহিরো বলেছেন, তার দেশ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন চায়।

রোববার (৮ অক্টোবর) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

কোমুরার বক্তব্য উদ্ধৃত করে ইহসানুল করিম বলেন, ‘জাপান বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন চায়। কক্সবাজারে মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের কারণে স্থানীয় বাংলাদেশিরা নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, তাদেরও সহায়তা করতে চায় জাপান।’

জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক যারা এখন বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছেন তাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের টেকসই সমাধানের অব্যাহত প্রচেষ্টার জন্য প্রধানমন্ত্রী জাপানকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় জাপানের সহায়তায় বাস্তবায়িত মাতারবাড়ি পাওয়ার প্ল্যান্ট, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল ও ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্পের মতো বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের উন্নয়নে জাপানের অবদানের প্রশংসা করেন।

জবাবে জাপানের উপমন্ত্রী বলেন, নবনির্মিত তৃতীয় টার্মিনাল বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার ক্ষেত্রে অনেক অবদান রাখবে। তিনি বলেন, টোকিও ‘বিগ-বি’ সহযোগিতার আওতায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা অব্যাহত এবং জাপানের সহযোগিতায় নির্মিত মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও গভীর সমুদ্রবন্দর বাংলাদেশের পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব ভারতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

দুই দেশের জনগণের যোগাযোগের ওপর গুরুত্বারোপ করে জাপানের উপমন্ত্রী বলেন, এ লক্ষ্যে ঢাকা ও নারিতার মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ পুনঃস্থাপন করা হয়েছে।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাপানকে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল দিয়েছে, যেখানে জাপানি উদ্যোক্তারা পারস্পরিক সুবিধার জন্য বিনিয়োগ করছেন।

গত এপ্রিলে জাপানে তার সরকারি সফরের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই সফর ঢাকা ও টোকিওর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত করেছে।

১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাপান সফরের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, এটি দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের ভিত্তি স্থাপন করেছিল। জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল কৃষিভিত্তিক বাংলাদেশকে শিল্পভিত্তিক অর্থনীতিতে রূপান্তর করা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।

এর আগে শনিবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন জাপানের পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী। দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় অবস্থান করছেন তিনি। থার্ড টার্মিনাল উদ্বোধন উপলক্ষে ঢাকায় এলেও জাপানের এই উপমন্ত্রী বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেন। তিনি আজ কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প সফরে যাবেন বলেও জানা গেছে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

নুর-গোলাম পরওয়ারসহ ৩০২ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন চায় জাপান

আপডেট সময় ০৩:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ অক্টোবর ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক : জাপানের পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় উপমন্ত্রী কোমুরা মাসাহিরো বলেছেন, তার দেশ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন চায়।

রোববার (৮ অক্টোবর) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

কোমুরার বক্তব্য উদ্ধৃত করে ইহসানুল করিম বলেন, ‘জাপান বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন চায়। কক্সবাজারে মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের কারণে স্থানীয় বাংলাদেশিরা নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, তাদেরও সহায়তা করতে চায় জাপান।’

জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক যারা এখন বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছেন তাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের টেকসই সমাধানের অব্যাহত প্রচেষ্টার জন্য প্রধানমন্ত্রী জাপানকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় জাপানের সহায়তায় বাস্তবায়িত মাতারবাড়ি পাওয়ার প্ল্যান্ট, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল ও ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্পের মতো বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের উন্নয়নে জাপানের অবদানের প্রশংসা করেন।

জবাবে জাপানের উপমন্ত্রী বলেন, নবনির্মিত তৃতীয় টার্মিনাল বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার ক্ষেত্রে অনেক অবদান রাখবে। তিনি বলেন, টোকিও ‘বিগ-বি’ সহযোগিতার আওতায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা অব্যাহত এবং জাপানের সহযোগিতায় নির্মিত মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও গভীর সমুদ্রবন্দর বাংলাদেশের পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব ভারতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

দুই দেশের জনগণের যোগাযোগের ওপর গুরুত্বারোপ করে জাপানের উপমন্ত্রী বলেন, এ লক্ষ্যে ঢাকা ও নারিতার মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ পুনঃস্থাপন করা হয়েছে।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জাপানকে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল দিয়েছে, যেখানে জাপানি উদ্যোক্তারা পারস্পরিক সুবিধার জন্য বিনিয়োগ করছেন।

গত এপ্রিলে জাপানে তার সরকারি সফরের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই সফর ঢাকা ও টোকিওর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত করেছে।

১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাপান সফরের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, এটি দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের ভিত্তি স্থাপন করেছিল। জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল কৃষিভিত্তিক বাংলাদেশকে শিল্পভিত্তিক অর্থনীতিতে রূপান্তর করা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।

এর আগে শনিবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন জাপানের পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী। দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় অবস্থান করছেন তিনি। থার্ড টার্মিনাল উদ্বোধন উপলক্ষে ঢাকায় এলেও জাপানের এই উপমন্ত্রী বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেন। তিনি আজ কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প সফরে যাবেন বলেও জানা গেছে।