সিনিয়র রিপোর্টার
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। সোমবার (৩ মার্চ) সকালে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এর আগে রবিবার হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আবেদনের শুনানির দিন সোমবার ধার্য করেন আদালত।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আসিফ হোসাইন এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক। খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল প্রমুখ।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট ঢাকার তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি করে দুদক। এতে ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ করা হয়।
২০১৮ সালের ১৯ অক্টোবর ওই মামলায় রায় দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। রায়ে খালেদা জিয়াসহ তিন আসামিকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়। অপর তিন আসামি হলেন– খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব প্রয়াত হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও সাবেক মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। পরে হারিছ চৌধুরী ছাড়া অন্যরা হাইকোর্টে আপিল করেন।
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর এই মামলায় গত ২৭ নভেম্বর খালেদা জিয়াকে খালাস দেন হাইকোর্ট। এরই ধারাবাহিকতায় ওই রায়ের বিরুদ্ধে সম্প্রতি আপিল দায়ের করে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ।