ঢাকা , শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ট্রেনে পদ্মা সেতু পাড়ি দেবেন প্রধানমন্ত্রী, অপেক্ষায় মুন্সীগঞ্জবাসী

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৫:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩
  • 130

সিনিয়র রিপোর্টার : আগামীকাল মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) মুন্সীগঞ্জে পদ্মা সেতু রেল লিংক প্রকল্পের ঢাকা-ভাঙ্গা অংশের ৮২ কিলোমিটার পথ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এক সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর রেলে চড়ে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা যাওয়ার কথাও রয়েছে তার। আধুনিক সড়ক যোগাযোগের পর দ্রুতগতির রেলসেবার সূবর্ণ যাত্রায় আনন্দিত পদ্মাপারের মানুষ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এক বছর ৩ মাস আগে পদ্মা সেতুর সড়কপথ চালু হওয়ার পর রেলপথের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত থেকে ১৭২ কিলোমিটার রেলপথের ৮২ কিলোমিটারের প্রথম সেশনটির উদ্বোধনকে ঘিরে চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। এতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। মাওয়া স্টেশনের পাশে সুধী সমাবেশস্থলে প্যান্ডেল তৈরিতে চলছে দেড় শতাধিক শ্রমিকের নিরলস কর্মযজ্ঞ।

মাওয়া স্টেশনের প্রকৌশলী আবদুর রহমান বলেন, সব কাজ মোটামুটি শেষ। এখন শুধু ফিনিশিং চলছে। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে রেল সংযোগ হচ্ছে। খুবই আনন্দিত আমরা। দেশের বৃহত্তম একটি প্রকল্প এটি। বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য নতুন একটি দিগন্ত। এটা আমাদের প্রকৌশলীদের কাছেও অনেক বড় স্বপ্নের।

নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান বলেন, সুধী সমাবেশে ১০০০ থেকে ১২০০ মানুষ উপস্থিত থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

প্রকল্প ব্যবস্থাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর হক বলেন, আমরা চার-পাঁচ বছর ধরে এই রেল প্রকল্পের কাজ করছি। আমাদের বহুল প্রতীক্ষিত দিন আগামী ১০ অক্টোবর। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আমরা ট্রেনে চড়ে পদ্মা সেতু হয়ে ৪০ কিলোমিটার দূরে ভাঙ্গা স্টেশনে যাবো। সেখানে স্টেশন পরিদর্শন করে একটি জনসভায় যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। আমাদের মাওয়া স্টেশন সম্পূর্ণ প্রস্তুত। ভাঙ্গার কাজটি একটু পরে শুরু করেছি বিধায় সেখানে কিছু কাজ বাকি। ভাঙ্গা স্টেশনটি আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন। যাত্রীদের ব্যবহার উপযোগী সুন্দর একটি স্টেশন হচ্ছে। এ অবস্থায় আমরা প্রধানমন্ত্রীকে স্টেশনগুলো দেখাবো। রেল চলাচলের জন্য টেকনিক্যালি আমরা প্রস্তুত আছি। আমাদের স্টেশন রেডি। লাইন রেডি করাসহ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। অনেক দিন পর প্রধানমন্ত্রী এত বড় ট্রেন লাইনে যাত্রা করবেন। সব ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সবশেষ গেলো ১৫ সেপ্টেম্বর স্পিড টেস্টে সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার গতিতে চলে ট্রেন। পরের দিন ১৬ সেপ্টেম্বর পাথর নিয়ে চলে পরীক্ষামূলক মালবাহী ট্রেন। এই প্রকল্পের বাকি অংশের কাজ আগামী বছর জুনেই শেষ করে যশোর পর্যন্ত রেলপথ চালুর কথা রয়েছে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি ১২টি শৈত্যপ্রবাহ ও শিলাবৃষ্টি হতে পারে

ট্রেনে পদ্মা সেতু পাড়ি দেবেন প্রধানমন্ত্রী, অপেক্ষায় মুন্সীগঞ্জবাসী

আপডেট সময় ০৫:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩

সিনিয়র রিপোর্টার : আগামীকাল মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) মুন্সীগঞ্জে পদ্মা সেতু রেল লিংক প্রকল্পের ঢাকা-ভাঙ্গা অংশের ৮২ কিলোমিটার পথ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এক সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর রেলে চড়ে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা যাওয়ার কথাও রয়েছে তার। আধুনিক সড়ক যোগাযোগের পর দ্রুতগতির রেলসেবার সূবর্ণ যাত্রায় আনন্দিত পদ্মাপারের মানুষ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এক বছর ৩ মাস আগে পদ্মা সেতুর সড়কপথ চালু হওয়ার পর রেলপথের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত থেকে ১৭২ কিলোমিটার রেলপথের ৮২ কিলোমিটারের প্রথম সেশনটির উদ্বোধনকে ঘিরে চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। এতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। মাওয়া স্টেশনের পাশে সুধী সমাবেশস্থলে প্যান্ডেল তৈরিতে চলছে দেড় শতাধিক শ্রমিকের নিরলস কর্মযজ্ঞ।

মাওয়া স্টেশনের প্রকৌশলী আবদুর রহমান বলেন, সব কাজ মোটামুটি শেষ। এখন শুধু ফিনিশিং চলছে। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে রেল সংযোগ হচ্ছে। খুবই আনন্দিত আমরা। দেশের বৃহত্তম একটি প্রকল্প এটি। বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য নতুন একটি দিগন্ত। এটা আমাদের প্রকৌশলীদের কাছেও অনেক বড় স্বপ্নের।

নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান বলেন, সুধী সমাবেশে ১০০০ থেকে ১২০০ মানুষ উপস্থিত থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

প্রকল্প ব্যবস্থাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর হক বলেন, আমরা চার-পাঁচ বছর ধরে এই রেল প্রকল্পের কাজ করছি। আমাদের বহুল প্রতীক্ষিত দিন আগামী ১০ অক্টোবর। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আমরা ট্রেনে চড়ে পদ্মা সেতু হয়ে ৪০ কিলোমিটার দূরে ভাঙ্গা স্টেশনে যাবো। সেখানে স্টেশন পরিদর্শন করে একটি জনসভায় যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। আমাদের মাওয়া স্টেশন সম্পূর্ণ প্রস্তুত। ভাঙ্গার কাজটি একটু পরে শুরু করেছি বিধায় সেখানে কিছু কাজ বাকি। ভাঙ্গা স্টেশনটি আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন। যাত্রীদের ব্যবহার উপযোগী সুন্দর একটি স্টেশন হচ্ছে। এ অবস্থায় আমরা প্রধানমন্ত্রীকে স্টেশনগুলো দেখাবো। রেল চলাচলের জন্য টেকনিক্যালি আমরা প্রস্তুত আছি। আমাদের স্টেশন রেডি। লাইন রেডি করাসহ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। অনেক দিন পর প্রধানমন্ত্রী এত বড় ট্রেন লাইনে যাত্রা করবেন। সব ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সবশেষ গেলো ১৫ সেপ্টেম্বর স্পিড টেস্টে সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার গতিতে চলে ট্রেন। পরের দিন ১৬ সেপ্টেম্বর পাথর নিয়ে চলে পরীক্ষামূলক মালবাহী ট্রেন। এই প্রকল্পের বাকি অংশের কাজ আগামী বছর জুনেই শেষ করে যশোর পর্যন্ত রেলপথ চালুর কথা রয়েছে।