ঢাকা , শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাগুরার সেই শিশুটির অবস্থার অবনতি

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৩:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
  • 24

সিনিয়র রিপোর্টার

মাগুরার শিশুটির শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হয়েছে। বুধবার ( ১২ মার্চ ) সকালে শিশুটির দুবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ (আকর্ষিকভাবে হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়া) হয়েছে।

শিশুটি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) শিশু বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (পিআইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে আছে। তার চিকিৎসা সংক্রান্ত সূত্র এ কথা জানিয়েছে।

১ মার্চ মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া আট বছরের শিশুটিকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন তার মা। এই মামলায় শিশুটির ভগ্নিপতি, বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

শিশুটির চিকিৎসায় সিএমএইচের চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের এক সদস্য বুধবার সকালে বলেন, তার (শিশুটি) অবস্থা আরো জটিল হয়েছে। সে এখন জটিল পরিস্থিতির সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে। বুধবার সকাল আটটার দিকে প্রথমবার তার হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়। চিকিৎসায় তার হৃৎস্পন্দন ফিরে আসে। 

পরে দ্বিতীয়বার তার হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়। সেবারও চিকিৎসায় তা ফিরে আসে। তার মস্তিষ্ক প্রতিক্রিয়াহীন অবস্থায় আছে। তার গ্লাসগো কোমা স্কেল (জিসিএস) ৩। মস্তিষ্কের আঘাতের কারণে কোনো ব্যক্তির চেতনার মাত্রা হলো জিসিএস। মানুষের স্বাভাবিক মাত্রা হলো ১৫। জিসিএস ৩ অবস্থাকে মস্তিষ্কের প্রতিক্রিয়াহীন অবস্থা বলে বিবেচনা করা হয়।

এই চিকিৎসক আরো বলেন, ঘটনার সময় শিশুটিকে যখন ফাঁস দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়, তখন তার মস্তিষ্কে অক্সিজেনের ঘাটতি হয়। পরদিন বেলা ১১টায় হাসপাতালে নেওয়ার আগপর্যন্ত এই অবস্থায় তাকে ফেলে রাখা হয়েছিল। 

এ কারণে দীর্ঘ সময় অক্সিজেন না পেয়ে মস্তিষ্কের বড় ক্ষতি হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে অক্সিজেন দিলে মস্তিষ্কের এত ক্ষতি হতো না বলে মন্তব্য করেন চিকিৎসক।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

প্রতারক চক্রের খপ্পরে দুই অনলাইন শাড়ী ব্যবসায়ী : শাড়ী উদ্ধারসহ প্রতারক চক্রের চার সদস্য গ্রেপ্তার

মাগুরার সেই শিশুটির অবস্থার অবনতি

আপডেট সময় ০৩:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

সিনিয়র রিপোর্টার

মাগুরার শিশুটির শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হয়েছে। বুধবার ( ১২ মার্চ ) সকালে শিশুটির দুবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ (আকর্ষিকভাবে হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়া) হয়েছে।

শিশুটি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) শিশু বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (পিআইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে আছে। তার চিকিৎসা সংক্রান্ত সূত্র এ কথা জানিয়েছে।

১ মার্চ মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া আট বছরের শিশুটিকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন তার মা। এই মামলায় শিশুটির ভগ্নিপতি, বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

শিশুটির চিকিৎসায় সিএমএইচের চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের এক সদস্য বুধবার সকালে বলেন, তার (শিশুটি) অবস্থা আরো জটিল হয়েছে। সে এখন জটিল পরিস্থিতির সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে। বুধবার সকাল আটটার দিকে প্রথমবার তার হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়। চিকিৎসায় তার হৃৎস্পন্দন ফিরে আসে। 

পরে দ্বিতীয়বার তার হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়। সেবারও চিকিৎসায় তা ফিরে আসে। তার মস্তিষ্ক প্রতিক্রিয়াহীন অবস্থায় আছে। তার গ্লাসগো কোমা স্কেল (জিসিএস) ৩। মস্তিষ্কের আঘাতের কারণে কোনো ব্যক্তির চেতনার মাত্রা হলো জিসিএস। মানুষের স্বাভাবিক মাত্রা হলো ১৫। জিসিএস ৩ অবস্থাকে মস্তিষ্কের প্রতিক্রিয়াহীন অবস্থা বলে বিবেচনা করা হয়।

এই চিকিৎসক আরো বলেন, ঘটনার সময় শিশুটিকে যখন ফাঁস দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়, তখন তার মস্তিষ্কে অক্সিজেনের ঘাটতি হয়। পরদিন বেলা ১১টায় হাসপাতালে নেওয়ার আগপর্যন্ত এই অবস্থায় তাকে ফেলে রাখা হয়েছিল। 

এ কারণে দীর্ঘ সময় অক্সিজেন না পেয়ে মস্তিষ্কের বড় ক্ষতি হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে অক্সিজেন দিলে মস্তিষ্কের এত ক্ষতি হতো না বলে মন্তব্য করেন চিকিৎসক।