আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অবরোধের কারণে সেখানে খাবার, জ্বালানি বা কোনো ধরনের ওষুধ সরবরাহ করা যাচ্ছে না। সেখানে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে অবরোধ চলছে।
অপরদিকে গাজার দ্বিতীয় দফার যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কাতারের রাজধানী দোহায় হামাসের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। খবর আল জাজিরার।
দোহায় যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের কাছে গাজার জন্য মিশরের নেতৃত্বাধীন পুনর্গঠন পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছে পাঁচ আরব রাষ্ট্র। গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক উচ্ছেদের যে আহ্বান জানানো হয়েছিল তা থেকে সরে এসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। সে সময় ইসরায়েলে ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হয় এবং আরো দুই শতাধিক মানুষকে জিম্মি হিসেবে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই হামলার পরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। সেখানে অভিযানের নামের নির্বিচারে নারী, পুরুষ এবং শিশুদের হত্যা করেছে দখলদার বাহিনী। গাজায় ৪৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে।
গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে ৪৮ হাজার ৫১৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরো এক লাখ ১১ হাজার ৯৪১ জন। হতাহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু।
গাজার গভর্নমেন্ট মিডিয়া অফিস তাদের হালনাগাদ তথ্যে জানিয়েছে, ৬১ হাজার ৭০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি এখন আর বেঁচে নেই বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।