ঢাকা , রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে রাজধানীতে হেযবুত তওহীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৬:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
  • 6

স্টাফ রিপোর্টার

‘ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ করো, করতে হবে -এই স্লোগানকে সামনে রেখে ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদ।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

হেযবুত তওহীদের ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন ঢাকা বিভাগীয় আমির ডা. মাহবুব আলম মাহফুজ। এ সময় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির নারী বিষয়ক সম্পাদক রুফায়দাহ পন্নী।

বক্তব্যে রুফায়দাহ পন্নী বলেন, ৭৫ বছরের হত্যাযজ্ঞের পরে এবার ইসরায়েল চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, গাজায় একজন মুসলমানকেও থাকতে দেওয়া হবে না। এ হৃদয়বিদারক, ন্যাক্কারজনক এবং পৈশাচিক ঘটনার সাক্ষী সমগ্র বিশ্ব। এমন একটি পরিস্থিতিতেও গোটা মুসলিম বিশ্বের সরকারগুলো, বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা, জাতিসংঘ, ওআইসি, আরব লীগ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানগুলো নীরব।

প্রতিবেশী আরব রাষ্ট্রগুলোও যেন চোখে ঠুলি পরে আছে। মুসলিম জাতি ছিল এক ঐক্যবদ্ধ জাতি। যখনই আমরা ক্ষমতার দ্বন্দ্বে বিভক্ত হলাম ফেরকা-মাজহাবে খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে দুর্বল হলাম তখনই আমাদের উপরে দুর্গতি নেমে এলো। Ñ মন্তব্য করেন হেযবুত তওহীদের এই নারী নেত্রী।

মুসলিম বিশ্বের প্রতি ঐক্যের ডাক দিয়ে পন্নী বলেন, গাজার গণহত্যাসহ বিশ্বের সকল মুসলমানদের এই দুর্গতি থেকে রক্ষা করতে এক নেতার নেতৃত্বে আল্লাহর তওহীদের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠন করতে হবে। এ সময় ফিলিস্তিনে ইসরায়েলিদের বর্বর গণহত্যা বন্ধে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, হেযবুত তওহীদের তথ্য সম্পাদক এসএম সামসুল হুদা, মোখলেছুর রহমান সুমন, বিভাগীয় নারী নেত্রী তাসলিমা ইসলাম, কেন্দ্রীয় যুগ্ম নারী বিষয়ক সম্পাদক আয়েশা সিদ্দিকা, নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের আমির আরিফ উদ্দিন প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিভাগীয় সহ-সভাপতি আল আমিন সবুজ।

মানববন্ধনে উপস্থিত নারী ও পুরুষদের হাতে বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড শোভা পায়। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এ সময় ‘ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ করো – করতে হবে’, ‘ফিলিস্তিনে হামলা কেন- জাতিসংঘ জবাব চাই’ ইত্যাদি স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে রাজপথ।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

পথ নবজাতক দিবস ঘোষণার দাবি

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে রাজধানীতে হেযবুত তওহীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

আপডেট সময় ০৬:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার

‘ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ করো, করতে হবে -এই স্লোগানকে সামনে রেখে ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদ।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

হেযবুত তওহীদের ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন ঢাকা বিভাগীয় আমির ডা. মাহবুব আলম মাহফুজ। এ সময় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির নারী বিষয়ক সম্পাদক রুফায়দাহ পন্নী।

বক্তব্যে রুফায়দাহ পন্নী বলেন, ৭৫ বছরের হত্যাযজ্ঞের পরে এবার ইসরায়েল চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, গাজায় একজন মুসলমানকেও থাকতে দেওয়া হবে না। এ হৃদয়বিদারক, ন্যাক্কারজনক এবং পৈশাচিক ঘটনার সাক্ষী সমগ্র বিশ্ব। এমন একটি পরিস্থিতিতেও গোটা মুসলিম বিশ্বের সরকারগুলো, বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা, জাতিসংঘ, ওআইসি, আরব লীগ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানগুলো নীরব।

প্রতিবেশী আরব রাষ্ট্রগুলোও যেন চোখে ঠুলি পরে আছে। মুসলিম জাতি ছিল এক ঐক্যবদ্ধ জাতি। যখনই আমরা ক্ষমতার দ্বন্দ্বে বিভক্ত হলাম ফেরকা-মাজহাবে খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে দুর্বল হলাম তখনই আমাদের উপরে দুর্গতি নেমে এলো। Ñ মন্তব্য করেন হেযবুত তওহীদের এই নারী নেত্রী।

মুসলিম বিশ্বের প্রতি ঐক্যের ডাক দিয়ে পন্নী বলেন, গাজার গণহত্যাসহ বিশ্বের সকল মুসলমানদের এই দুর্গতি থেকে রক্ষা করতে এক নেতার নেতৃত্বে আল্লাহর তওহীদের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠন করতে হবে। এ সময় ফিলিস্তিনে ইসরায়েলিদের বর্বর গণহত্যা বন্ধে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, হেযবুত তওহীদের তথ্য সম্পাদক এসএম সামসুল হুদা, মোখলেছুর রহমান সুমন, বিভাগীয় নারী নেত্রী তাসলিমা ইসলাম, কেন্দ্রীয় যুগ্ম নারী বিষয়ক সম্পাদক আয়েশা সিদ্দিকা, নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের আমির আরিফ উদ্দিন প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিভাগীয় সহ-সভাপতি আল আমিন সবুজ।

মানববন্ধনে উপস্থিত নারী ও পুরুষদের হাতে বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড শোভা পায়। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এ সময় ‘ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ করো – করতে হবে’, ‘ফিলিস্তিনে হামলা কেন- জাতিসংঘ জবাব চাই’ ইত্যাদি স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে রাজপথ।