অনলাইন ডেস্ক : জাতিসংঘের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী সংস্থাটিকে জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজার উত্তরাঞ্চলে বসবাসরত সব মানুষ গাজার দক্ষিণাঞ্চলে সরানো হোক।জাতিসংঘ বলছে, ওই এলাকায় প্রায় ১১ লাখ মানুষ বসবাস করে, যা পুরো গাজা উপত্যকায় বসবাসরত মানুষের প্রায় অর্ধেক। এই অঞ্চলের মধ্যে ঘনবসতিপূর্ণ গাজা শহরও রয়েছে।
এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ বলে, জাতিসংঘ মনে করে, মারাত্মক মানবিক বিপর্যয় ছাড়া এ ধরনের স্থানান্তর সম্ভব নয়। ইসরায়েল একটি স্থল অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর অংশ হিসেবে গাজা সীমান্তে সেনা মোতায়েন, ভারী আর্টিলারি এবং ট্যাংক জড়ো করেছে তারা। গত শনিবার ইসরায়েলে হামাসের সশস্ত্র সদস্যরা অতর্কিত হামলা চালানোর পর থেকে গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল।
জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের কূটনীতিক গিলাদ এরদান, গাজা থেকে বাসিন্দাদের স্থানান্তরের বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলের স্থানান্তরের নির্দেশ নিয়ে আন্তর্জাতিক এই সংগঠনটির বিবৃতি লজ্জাজনক।
তিনি বলেন,অনেক বছর ধরে জাতিসংঘ হামাসের সশস্ত্র হয়ে ওঠা, গাজা উপত্যকায় বেসামরিক নাগরিক ও স্থাপনাকে পালানোর আশ্রয় এবং অস্ত্র ও হত্যা লুকানোর আশ্রয় হিসেবে ব্যবহারের বিষয়টি এড়িয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, আর এখন ইসরায়েলের পাশে দাঁড়ানোর পরিবর্তে, যাদের নাগরিকের হামাসের সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে…ইসরায়েলকে কথা শোনাচ্ছে।
জাতিসংঘ বলেছে, গাজায় শোচনীয় অবস্থা চলছে কারণ খাবার এবং পানি দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া প্রায় ৫০ হাজার গর্ভবতী নারী প্রয়োজনীয় কোন সেবা গ্রহণ করতে পারছে না।