ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারত ও চীনের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক জানতে চেয়েছে মার্কিন প্রতিনিধিরা

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৪:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৩
  • 118

সিনিয়র রিপোর্টার : ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের পররাষ্ট্রনীতি জানতে চেয়েছে ঢাকায় সফররত ইউএস ইনস্টিটিউট ফর পিস (ইউএসআইপি) প্রতিনিধি দল। বিশেষ করে প্রতিবেশী ভারত ও চীনের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক কেমন, তা জানতে চেয়েছে তারা। এ সময় আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কথা হয়নি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

গত শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ইউএস ইনস্টিটিউট ফর পিস (ইউএসআইপি)-এর তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল।

আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলে ছিলেন- দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইনাম আহমেদ চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, আন্তর্জাতিক উপ কমিটির সদস্য খালেদ মাসুদ আহমেদ প্রমুখ। মার্কিন প্রতিনিধি দলে ছিলেন- ইউএস ইনস্টিটিউট ফর পিস (ইউএসআইপি)-এর প্রতিনিধি জেফরি ম্যাগডোনাল্ড, ডেন মার্কি ও ইশা গুপ্তা।

বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ বলেন, ‘বৈঠকে বাংলাদেশের ফরেন পলিসি এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই উপমহাদেশে যে রাজনৈতিক টানাপোড়েন আন্তর্জাতিক পর্যায়েও যাচ্ছে এসব বিষয়ে বাংলাদেশের ভূমিকা কী, আওয়ামী লীগ কী চিন্তা করছে- এগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা (ইউএসআইপি প্রতিনিধিরা) জানতে চেয়েছে, ইন্ডিয়ার সঙ্গে (সরকারের সম্পর্ক) কেমন? চীনের সঙ্গে (সরকারের সম্পর্ক) কেমন? উপমহাদেশের যে দেশগুলো আছে, তাদের সঙ্গে আমাদের রিলেশন (সম্পর্ক) কেমন? আমরা আমাদের বিষয়গুলো জানিয়েছি। বাংলাদেশে পররাষ্ট্রনীতি, আমাদের জাতির পিতা যেটা দিয়ে গেছেন, ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব-কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’, এটাই ফোকাস করা হয়েছে।’

ভারত-চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক জানতে চেয়েছে উল্লেখ করে শাম্মী আহমেদ বলেন, তারা (ইউএসআইপি প্রতিনিধিরা) নিজেরাও স্বীকার করেছে, চীন একটি ইকোনমিক পাওয়ার। চীন আমাদের অর্থনৈতিক পার্টনার। তারা জানতে চাচ্ছে, ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কেমন? আমরা জানিয়েছি, ইন্ডিয়া আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। আমাদের দুর্দিনে, ১৯৭১ সালে ভারত যেভাবে আমাদের পাশে ছিল, সেটাকে আমরা সম্মানের চোখেই দেখি।

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার আমাদের উপর ১০ লাখের উপর রোহিঙ্গা চাপিয়ে দিয়েছে। তারপরও আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছি। শুধু আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ নয়, গ্লোবাল ভিলেজে আমরা আলোচনা মাধ্যমে সবগুলো সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করি। অন্য কোনভাবে আমরা করি না। তাদের আগ্রহ ছিল ইন্দো-চায়না রিলেশন নিয়ে, ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে একটা ব্যাপার ছিল, একই সঙ্গে ইউরোপ, আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের রিলেশন নিয়ে আলোচনার বিষয় ছিল। ভারতের হিন্দুত্ববাদ জাগরণ নিয়ে তাো একটা প্রশ্ন করেছে। আমরা উত্তর দিয়েছি- আমরা কারও ইন্টারনাল বিষয় নিয়ে হস্তক্ষেপ করি না। আমার অন্য দেশের মতাবাদকে সম্মান দেই। ইন্ডিয়াতে কি হচ্ছে না হচ্ছে, চায়নাতে কি হচ্ছে না হচ্ছে,এটা তাদের দেশের জনগণের বিষয়। আমাদের দেখার বিষয় না ‘

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ইউএসআইপি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কোনও কথা হয়নি উল্লেখ করে শাম্মী আহমেদ বলেন,এ বিষয়ে তারা কোন প্রশ্ন করেনি, আমরাও কোন উত্তর দেইনি।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

ভারত ও চীনের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক জানতে চেয়েছে মার্কিন প্রতিনিধিরা

আপডেট সময় ০৪:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৩

সিনিয়র রিপোর্টার : ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের পররাষ্ট্রনীতি জানতে চেয়েছে ঢাকায় সফররত ইউএস ইনস্টিটিউট ফর পিস (ইউএসআইপি) প্রতিনিধি দল। বিশেষ করে প্রতিবেশী ভারত ও চীনের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক কেমন, তা জানতে চেয়েছে তারা। এ সময় আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কথা হয়নি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

গত শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ইউএস ইনস্টিটিউট ফর পিস (ইউএসআইপি)-এর তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল।

আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলে ছিলেন- দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইনাম আহমেদ চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, আন্তর্জাতিক উপ কমিটির সদস্য খালেদ মাসুদ আহমেদ প্রমুখ। মার্কিন প্রতিনিধি দলে ছিলেন- ইউএস ইনস্টিটিউট ফর পিস (ইউএসআইপি)-এর প্রতিনিধি জেফরি ম্যাগডোনাল্ড, ডেন মার্কি ও ইশা গুপ্তা।

বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ বলেন, ‘বৈঠকে বাংলাদেশের ফরেন পলিসি এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই উপমহাদেশে যে রাজনৈতিক টানাপোড়েন আন্তর্জাতিক পর্যায়েও যাচ্ছে এসব বিষয়ে বাংলাদেশের ভূমিকা কী, আওয়ামী লীগ কী চিন্তা করছে- এগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা (ইউএসআইপি প্রতিনিধিরা) জানতে চেয়েছে, ইন্ডিয়ার সঙ্গে (সরকারের সম্পর্ক) কেমন? চীনের সঙ্গে (সরকারের সম্পর্ক) কেমন? উপমহাদেশের যে দেশগুলো আছে, তাদের সঙ্গে আমাদের রিলেশন (সম্পর্ক) কেমন? আমরা আমাদের বিষয়গুলো জানিয়েছি। বাংলাদেশে পররাষ্ট্রনীতি, আমাদের জাতির পিতা যেটা দিয়ে গেছেন, ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব-কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’, এটাই ফোকাস করা হয়েছে।’

ভারত-চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক জানতে চেয়েছে উল্লেখ করে শাম্মী আহমেদ বলেন, তারা (ইউএসআইপি প্রতিনিধিরা) নিজেরাও স্বীকার করেছে, চীন একটি ইকোনমিক পাওয়ার। চীন আমাদের অর্থনৈতিক পার্টনার। তারা জানতে চাচ্ছে, ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কেমন? আমরা জানিয়েছি, ইন্ডিয়া আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। আমাদের দুর্দিনে, ১৯৭১ সালে ভারত যেভাবে আমাদের পাশে ছিল, সেটাকে আমরা সম্মানের চোখেই দেখি।

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার আমাদের উপর ১০ লাখের উপর রোহিঙ্গা চাপিয়ে দিয়েছে। তারপরও আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছি। শুধু আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ নয়, গ্লোবাল ভিলেজে আমরা আলোচনা মাধ্যমে সবগুলো সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করি। অন্য কোনভাবে আমরা করি না। তাদের আগ্রহ ছিল ইন্দো-চায়না রিলেশন নিয়ে, ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে একটা ব্যাপার ছিল, একই সঙ্গে ইউরোপ, আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের রিলেশন নিয়ে আলোচনার বিষয় ছিল। ভারতের হিন্দুত্ববাদ জাগরণ নিয়ে তাো একটা প্রশ্ন করেছে। আমরা উত্তর দিয়েছি- আমরা কারও ইন্টারনাল বিষয় নিয়ে হস্তক্ষেপ করি না। আমার অন্য দেশের মতাবাদকে সম্মান দেই। ইন্ডিয়াতে কি হচ্ছে না হচ্ছে, চায়নাতে কি হচ্ছে না হচ্ছে,এটা তাদের দেশের জনগণের বিষয়। আমাদের দেখার বিষয় না ‘

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ইউএসআইপি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কোনও কথা হয়নি উল্লেখ করে শাম্মী আহমেদ বলেন,এ বিষয়ে তারা কোন প্রশ্ন করেনি, আমরাও কোন উত্তর দেইনি।