ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অর্থ আত্মসাৎ : সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসারের ১৭ বছরের কারাদণ্ড

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৪:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৩
  • 52

সিনিয়র রিপোর্টার : প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার মো. নাইমুল ইসলামসহ চারজনকে  বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ে আসামি নাইমুল ইসলামকে  পৃথক দুই ধারায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়াও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অপর তিন আসামির প্রত্যেককে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড এবং  প্রত্যেক আসামিকে ৮১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন- সোনালী ব্যাংকের হিসাবধারী রফিকুল ইসলাম, মো. আল আমিন ও মোছা. লিপি বেগম।

মঙ্গলবার কারাগারে আটক থাকা আসামি নাইমুল ও রফিকুলকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় জামিনে থাকা আসামি আল আমিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। তবে আসামি মোছা. লিপি বেগম উপস্থিত না থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।

মামলার অভিযোগে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ২১ জুন পর্যন্ত আসামিরা বিভিন্ন তারিখে এক কোটি ১৯ লাখ ১৯ হাজার ২০৪ টাকা নির্ধারিত হিসাবে জমা না করে চারটি হিসাবে পরস্পর যোগসাজশে স্থানান্তর করে প্রতারণাভাবে আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ২৩ জুন সোনালী ব্যাংকের ওয়াপদা ভবন করপোরেট শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় মামলা করেন। ২০২০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরবর্তী ২০২২ সালের ৮ মার্চ আসামিদের বিচার শুরু হয়। মামলাটির বিচার চলাকালে বিভিন্ন সময়ে ১৭ জন সাক্ষ্য দেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

আহতদের দেখতে শনিবার পঙ্গু হাসপাতালে গেলেন প্রধানমন্ত্রী

অর্থ আত্মসাৎ : সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসারের ১৭ বছরের কারাদণ্ড

আপডেট সময় ০৪:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৩

সিনিয়র রিপোর্টার : প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার মো. নাইমুল ইসলামসহ চারজনকে  বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ে আসামি নাইমুল ইসলামকে  পৃথক দুই ধারায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়াও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অপর তিন আসামির প্রত্যেককে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড এবং  প্রত্যেক আসামিকে ৮১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন- সোনালী ব্যাংকের হিসাবধারী রফিকুল ইসলাম, মো. আল আমিন ও মোছা. লিপি বেগম।

মঙ্গলবার কারাগারে আটক থাকা আসামি নাইমুল ও রফিকুলকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় জামিনে থাকা আসামি আল আমিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। তবে আসামি মোছা. লিপি বেগম উপস্থিত না থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।

মামলার অভিযোগে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ২১ জুন পর্যন্ত আসামিরা বিভিন্ন তারিখে এক কোটি ১৯ লাখ ১৯ হাজার ২০৪ টাকা নির্ধারিত হিসাবে জমা না করে চারটি হিসাবে পরস্পর যোগসাজশে স্থানান্তর করে প্রতারণাভাবে আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ২৩ জুন সোনালী ব্যাংকের ওয়াপদা ভবন করপোরেট শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় মামলা করেন। ২০২০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরবর্তী ২০২২ সালের ৮ মার্চ আসামিদের বিচার শুরু হয়। মামলাটির বিচার চলাকালে বিভিন্ন সময়ে ১৭ জন সাক্ষ্য দেন।