ঢাকা , শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এক্সপ্রেসওয়েতে উঠলে ইউরোপ, নিচে নামলেই গরিব : কাদের

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ১২:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩
  • 69

সিনিয়র রিপোর্টার : এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠলে ঢাকাকে ইউরোপ আর নিচে নামলেই গরিব মনে হয় এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এয়ারপোর্ট থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠলে ঢাকাকে মনে হয় ইউরোপ। আর নামলেই আমাদের বাসগুলো দেখলে মনে হয় গরিব গরিব চেহারা।

গতকাল রোববার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ আয়োজিত নিরাপদ সড়ক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

গণপরিবহনের অবস্থার সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জীর্ণ মুড়ির টিন চলছে। অথচ বাসগুলোর গায়ে লেখা ‘আল্লাহর নামে চলিলাম’। আর যেতে যেতে খাদের মধ্যে অথবা পাশের আইল্যান্ডের ওপর। মালিক সমিতিকে বলব, এসব গাড়ি কীভাবে চলে ঢাকা শহরে?’

বাসমালিকদের উপর কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাসমালিকদের বাসগুলোকে মেরামত করে সুন্দর রাখার কথা কতবার বললাম। কী লাভ হলো? কথা অনেক বলেছি। কথা কাজে পরিণত না হলে মূল্য থাকে না। সড়ক পরিবহন আইন করলাম। কিন্তু, বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া এত বিলম্বিত, যা দুঃখজনক। আইন আছে, প্রয়োগ নাই- এমন আইনের দরকার কী?’

লোড কন্ট্রোল স্টেশন না থাকায় কোটি কোটি টাকায় নির্মিত সড়ক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘২৭টি লোড কন্ট্রোল স্টেশন প্রকল্পে আছে। এগুলো করা প্রথম দায়িত্ব। কয়টা হয়েছে?’তখন নিজের আসন থেকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, ‘১২টির কাজ শেষ হয়েছে।’ এর জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কাজ শেষ, কার্যকর তো হচ্ছে না। মানুষ সুফল না পেলে ১২টি হয়ে লাভ কী?’

আদালত ২২টি সড়কে ইজিবাইক, নছিমন-করিমন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিলেও তা বন্ধ হয়নি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বেশিরভাগ জায়গায় এটি বন্ধ হয়নি। আমি ভিজিটে গেলে ইজিবাইক চলাচল বন্ধ হয়, চলে এলেই শুরু হয়ে যায়। নছিমন-করিমন ছোট যান, বন্ধ করতে গেলে জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে বাধা আসে। জনপ্রতিনিধিরা বলেন, গরিব মানুষ যাবে কোথায়? ভোটের রাজনীতিতে কেউ ভোট নষ্ট করতে চায় না।’

ড্রাইভিং লাইসেন্সের সমস্যা সমাধান প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এগুলো বেসিক, এর সমাধান করতে হবে।’ এ সময় তিনি বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারের দিকে তাকিয়ে হাস্যরস করে বলেন, ‘চেয়ারম্যানের একটা প্রমোশন দরকার। প্রমোশন না হওয়ায় সে ডিপ্রেশড থাকে। এই জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিলম্ব হচ্ছে।’

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীর সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান, বাংলাদেশ হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি শাহাবুদ্দিন খান, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ প্রমুখ।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

আরব আমিরাতে মিটল ১০ বছরের আক্ষেপ : জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু বাংলাদেশের

এক্সপ্রেসওয়েতে উঠলে ইউরোপ, নিচে নামলেই গরিব : কাদের

আপডেট সময় ১২:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩

সিনিয়র রিপোর্টার : এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠলে ঢাকাকে ইউরোপ আর নিচে নামলেই গরিব মনে হয় এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এয়ারপোর্ট থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠলে ঢাকাকে মনে হয় ইউরোপ। আর নামলেই আমাদের বাসগুলো দেখলে মনে হয় গরিব গরিব চেহারা।

গতকাল রোববার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ আয়োজিত নিরাপদ সড়ক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

গণপরিবহনের অবস্থার সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জীর্ণ মুড়ির টিন চলছে। অথচ বাসগুলোর গায়ে লেখা ‘আল্লাহর নামে চলিলাম’। আর যেতে যেতে খাদের মধ্যে অথবা পাশের আইল্যান্ডের ওপর। মালিক সমিতিকে বলব, এসব গাড়ি কীভাবে চলে ঢাকা শহরে?’

বাসমালিকদের উপর কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাসমালিকদের বাসগুলোকে মেরামত করে সুন্দর রাখার কথা কতবার বললাম। কী লাভ হলো? কথা অনেক বলেছি। কথা কাজে পরিণত না হলে মূল্য থাকে না। সড়ক পরিবহন আইন করলাম। কিন্তু, বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া এত বিলম্বিত, যা দুঃখজনক। আইন আছে, প্রয়োগ নাই- এমন আইনের দরকার কী?’

লোড কন্ট্রোল স্টেশন না থাকায় কোটি কোটি টাকায় নির্মিত সড়ক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘২৭টি লোড কন্ট্রোল স্টেশন প্রকল্পে আছে। এগুলো করা প্রথম দায়িত্ব। কয়টা হয়েছে?’তখন নিজের আসন থেকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, ‘১২টির কাজ শেষ হয়েছে।’ এর জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কাজ শেষ, কার্যকর তো হচ্ছে না। মানুষ সুফল না পেলে ১২টি হয়ে লাভ কী?’

আদালত ২২টি সড়কে ইজিবাইক, নছিমন-করিমন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিলেও তা বন্ধ হয়নি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বেশিরভাগ জায়গায় এটি বন্ধ হয়নি। আমি ভিজিটে গেলে ইজিবাইক চলাচল বন্ধ হয়, চলে এলেই শুরু হয়ে যায়। নছিমন-করিমন ছোট যান, বন্ধ করতে গেলে জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে বাধা আসে। জনপ্রতিনিধিরা বলেন, গরিব মানুষ যাবে কোথায়? ভোটের রাজনীতিতে কেউ ভোট নষ্ট করতে চায় না।’

ড্রাইভিং লাইসেন্সের সমস্যা সমাধান প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এগুলো বেসিক, এর সমাধান করতে হবে।’ এ সময় তিনি বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারের দিকে তাকিয়ে হাস্যরস করে বলেন, ‘চেয়ারম্যানের একটা প্রমোশন দরকার। প্রমোশন না হওয়ায় সে ডিপ্রেশড থাকে। এই জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিলম্ব হচ্ছে।’

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীর সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান, বাংলাদেশ হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি শাহাবুদ্দিন খান, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ প্রমুখ।