অনলাইন ডেস্ক : কিশোরগঞ্জের ভৈরবে কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস গোধূলির সঙ্গে একটি কন্টেইনার ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি বগি যাত্রীসহ উল্টে যায়। এই সংঘর্ষের ঘটনায় একে একে বেরিয়ে আসছে রক্তাক্ত মরদেহ। সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলিম হোসেন শিকদার জানান, সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা এগারোসিন্ধুর গোধূলি ট্রেনের সঙ্গে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রেলওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি। ফায়ার সার্ভিস জানায়, দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও অনেক মরদেহ ট্রেনের নিচে চাপা পড়ে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানায়, ঢাকা থেকে একটি কন্টেইনারবাহী ট্রেন ভৈরব স্টেশনে প্রবেশ করছিল। তার আগ মুহূর্তে ভৈরব থেকে এগারসিন্দুর ট্রেন ঢাকার দিকে রওনা হয়েছিল। জগন্নাথপুর রেল ক্রসিং এলাকায় এগারসিন্দুর ট্রেনের শেষের দুই-তিনটি বগিতে কন্টেইনারবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন আঘাত করে। মূলত সিগনালের কোনো জটিলতার কারণে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান জানান, কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার ঘটনায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনের লোকমাস্টার, সহকারী লোকোমাস্টার ও গার্ডকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ঢাকা বিভাগীয় তদন্ত কমিটিকে তিন কর্মদিবস এবং চট্টগ্রাম জোনের তদন্ত কমিটিকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আফছার উদ্দিন জানান, উদ্ধার কাজের জন্য রিলিফ ট্রেন রওনা হয়েছে। উদ্ধার কাজ শেষ হলে তারপর ট্রেন চলাচল শুরু হবে। এদিকে ট্রেন দুর্ঘটনার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটসহ আরও একাধিক রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।