ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিগেস্ট ট্যুরিজম ফেস্টিভ্যাল আয়োজন করলো বাংলাদেশ অনলাইন ট্যুরিজম এসোসিয়েশন

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৯:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩
  • 180

অনলাইন ডেস্ক : দেশের পর্যটন খাতের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন ট্রাভেল গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে। এরই মধ্যে তারা গঠন করেন ট্রাভেল কমিনিউটি। বাংলাদেশ অনলাইন ট্যুরিজম এসোসিয়েশন আয়োজনে বৈচিত্র্যময় এক উৎসব-আনন্দে মেতে উঠেছিল ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স (আইডিইবি ভবন) মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি অডিটোরিয়ামে। মঙ্গলবার দুপুর ২ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত বিগেস্ট ট্যুরিজম ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠানে আনন্দ-উৎসবে মেতে ছিলেন  ২০০শ সংগঠনের নিবন্ধিত ৫০০ সদস্য।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ট্যুর অপারেটরস্ এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক) সভাপতি মোঃ তোফায়েল আহমেদ,  ট্যুর অপারেটরস্ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি মোঃ শিবলুল আজম কোরেশী, ই-ট্যুরিজম এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইটাব) সভাপতি ইমরানুল আলম, দৈনিক গণমুক্তির সম্পাদক ও প্রকাশক শাহাদাত হোসেন শাহীন, রয়েল বীচ রিসোটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ নুরুল আনোয়ার প্রমূখ।
অতিথি বক্তারা জানান, বাংলাদেশের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে বিদেশি পর্যটক খুব একটা দেখা না গেলেও অভ্যন্তরীণ পর্যটকের সংখ্যা খুব একটা কম নয়। ট্যুর অপারেটরসহ নানা সংস্থার হিসেবে স্বাভাবিক সময় বছরে ৭০/৮০ লাখ পর্যটক দেশের মধ্যেই ভ্রমণ করে বা বেড়াতে যায় তাদের পছন্দের জায়গাগুলোতে। যার শীর্ষে আছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এবং কুয়াকাটা। বিপুল সম্ভাবনাময় এ শিল্প শুধু উন্নত দেশই নয়; বরং অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। তরুণ প্রজন্ম যেভাবে পর্যটন নিয়ে কাজ করছে সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। আশা রাখি এই খাতকে আপনাদের মাধ্যমে অনেকদূর পর্যন্ত এগিয়ে যাবে।  
বিগেস্ট ট্যুরিজম ফেস্টিভ্যালে আসা পর্যটকপ্রেমীরা বলেন, এরকম আয়োজন প্রতি বছরই করা প্রয়োজন। তাহলে মানুষের ভ্রমণের ওপর ভীতি কাটবে। তথ্য জানবে খোলামনে। আর এতে দেশের পর্যটন স্পটগুলোতেও তারা সহজে ঘুরতে যেতে চাইবে।
ভ্রমন প্রিয় পর্যটকের এডমিন ও আয়োজক কমিটির আহবায়ক রমজান দেওয়ান বাবু বলেন, বাংলাদেশে অনলাইন ট্যুরিজমের সবচেয়ে বড় সংগঠন এটি। আমরা যারা অনলাইনে ট্যুরিজম নিয়ে কাজ করি বেশিরভাগ গ্রুপই আজকে অংশগ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশের ট্যুরিজমকে বিশ্ব দরবারে পৌছে দেয়ার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
বাংলাদেশ ট্যুরিজমের এডমিন ও আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব হাসান মাহমুদ বাপ্পী বলেন, বিগেস্ট ট্যুরিজম ফেস্টিভ্যাল আয়োজন করার মূল উদ্দেশ্য হলো সকলকে একতাবদ্ধ করা। সবাইকে সাথে নিয়ে কাজ করা। সকলের সহযোগিতায় মাধ্যমে এগিয়ে যাবে বহুদুর। যারা ট্যুরিজম নিয়ে কাজ করে অনেক সময় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সবাই মিলে একটা প্লাটফর্মে থাকলে যে কোন সমস্যা দ্রুতই সমাধান করা সম্ভব হবে।
তেপান্তর ট্যুর এন্ড ট্রাভেলস এর ফাউন্ডার এডমিন আবুল হোসেন সাব্বির বলেন, প্রাকৃতিক সুন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশ। এখানে রয়েছে অসংখ্য পাহাড়, নদী, বিল, হাওর, বন, ধর্মীয় স্থান ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত ও ম্যানগ্রোভ। অনেকের ভ্রমণের ইচ্ছা থাকা সত্বেও ভালো যোগাযোগ না থাকায় ভ্রমণে যেতে পারেন না। যারা ভ্রমণপ্রিয় মানুষ তাদের জন্যই আমরা কাজ করে থাকি।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

বিগেস্ট ট্যুরিজম ফেস্টিভ্যাল আয়োজন করলো বাংলাদেশ অনলাইন ট্যুরিজম এসোসিয়েশন

আপডেট সময় ০৯:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক : দেশের পর্যটন খাতের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন ট্রাভেল গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে। এরই মধ্যে তারা গঠন করেন ট্রাভেল কমিনিউটি। বাংলাদেশ অনলাইন ট্যুরিজম এসোসিয়েশন আয়োজনে বৈচিত্র্যময় এক উৎসব-আনন্দে মেতে উঠেছিল ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স (আইডিইবি ভবন) মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি অডিটোরিয়ামে। মঙ্গলবার দুপুর ২ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত বিগেস্ট ট্যুরিজম ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠানে আনন্দ-উৎসবে মেতে ছিলেন  ২০০শ সংগঠনের নিবন্ধিত ৫০০ সদস্য।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ট্যুর অপারেটরস্ এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক) সভাপতি মোঃ তোফায়েল আহমেদ,  ট্যুর অপারেটরস্ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি মোঃ শিবলুল আজম কোরেশী, ই-ট্যুরিজম এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইটাব) সভাপতি ইমরানুল আলম, দৈনিক গণমুক্তির সম্পাদক ও প্রকাশক শাহাদাত হোসেন শাহীন, রয়েল বীচ রিসোটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ নুরুল আনোয়ার প্রমূখ।
অতিথি বক্তারা জানান, বাংলাদেশের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে বিদেশি পর্যটক খুব একটা দেখা না গেলেও অভ্যন্তরীণ পর্যটকের সংখ্যা খুব একটা কম নয়। ট্যুর অপারেটরসহ নানা সংস্থার হিসেবে স্বাভাবিক সময় বছরে ৭০/৮০ লাখ পর্যটক দেশের মধ্যেই ভ্রমণ করে বা বেড়াতে যায় তাদের পছন্দের জায়গাগুলোতে। যার শীর্ষে আছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এবং কুয়াকাটা। বিপুল সম্ভাবনাময় এ শিল্প শুধু উন্নত দেশই নয়; বরং অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। তরুণ প্রজন্ম যেভাবে পর্যটন নিয়ে কাজ করছে সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। আশা রাখি এই খাতকে আপনাদের মাধ্যমে অনেকদূর পর্যন্ত এগিয়ে যাবে।  
বিগেস্ট ট্যুরিজম ফেস্টিভ্যালে আসা পর্যটকপ্রেমীরা বলেন, এরকম আয়োজন প্রতি বছরই করা প্রয়োজন। তাহলে মানুষের ভ্রমণের ওপর ভীতি কাটবে। তথ্য জানবে খোলামনে। আর এতে দেশের পর্যটন স্পটগুলোতেও তারা সহজে ঘুরতে যেতে চাইবে।
ভ্রমন প্রিয় পর্যটকের এডমিন ও আয়োজক কমিটির আহবায়ক রমজান দেওয়ান বাবু বলেন, বাংলাদেশে অনলাইন ট্যুরিজমের সবচেয়ে বড় সংগঠন এটি। আমরা যারা অনলাইনে ট্যুরিজম নিয়ে কাজ করি বেশিরভাগ গ্রুপই আজকে অংশগ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশের ট্যুরিজমকে বিশ্ব দরবারে পৌছে দেয়ার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
বাংলাদেশ ট্যুরিজমের এডমিন ও আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব হাসান মাহমুদ বাপ্পী বলেন, বিগেস্ট ট্যুরিজম ফেস্টিভ্যাল আয়োজন করার মূল উদ্দেশ্য হলো সকলকে একতাবদ্ধ করা। সবাইকে সাথে নিয়ে কাজ করা। সকলের সহযোগিতায় মাধ্যমে এগিয়ে যাবে বহুদুর। যারা ট্যুরিজম নিয়ে কাজ করে অনেক সময় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সবাই মিলে একটা প্লাটফর্মে থাকলে যে কোন সমস্যা দ্রুতই সমাধান করা সম্ভব হবে।
তেপান্তর ট্যুর এন্ড ট্রাভেলস এর ফাউন্ডার এডমিন আবুল হোসেন সাব্বির বলেন, প্রাকৃতিক সুন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশ। এখানে রয়েছে অসংখ্য পাহাড়, নদী, বিল, হাওর, বন, ধর্মীয় স্থান ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত ও ম্যানগ্রোভ। অনেকের ভ্রমণের ইচ্ছা থাকা সত্বেও ভালো যোগাযোগ না থাকায় ভ্রমণে যেতে পারেন না। যারা ভ্রমণপ্রিয় মানুষ তাদের জন্যই আমরা কাজ করে থাকি।