ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপি-জামায়াতনির্বাচন বানচাল করতে উঠেপড়ে লেগেছে : অ্যাডভোকেট আনিসুল হক

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ১০:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৩
  • 51

সিনিয়র রিপোর্টার : আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, বর্তমান সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশ এখন সারা বিশ্বে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত। বিএনপি-জামায়াতের তা সহ্য হচ্ছে না। তাই বিএনপি-জামায়াত এখন জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। এ দেশের জনগণ তাদের ষড়যন্ত্র সফল হতে দেবে না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সচেতন থাকবেন, ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করতে হবে।’

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে আখাউড়া পৌর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় ট্রেনে ঢাকা থেকে আখাউড়ায় পৌঁছান আইনমন্ত্রী।

আনিসুল হক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন নির্বাচন হবে। ইনশাআল্লাহ সুষ্ঠ, সুন্দর, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচন কেউ ব্যাহত করার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মুখে বুড়ো আঙুল দিয়ে বসে থাকবে না। বাংলাদেশে যারা অশান্তি সৃষ্টি করবে জনগণ তাদেরকে সঠিক জবাব দেবে। সেজন্য আওয়ামী লীগ ছাড়া জনগণের কোনো গতি নাই। তাই আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে আবারও নির্বাচিত করতে হবে।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘কে নির্বাচনে আসবে, আর আসবে না তা বিবেচ্য বিষয় নয়, জনগণ যাতে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে ভোটকেন্দ্রে যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যারা পাকিস্তানকে ভালোবাসে তারা দেশের উন্নয়ন করবে না। এ সময় তিনি নেতা-কর্মীদের আইনমন্ত্রীর পক্ষ হয়ে জনগণের কাছে ভোট চাইতে বলেন।’

আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের লোকজন বলেছিল, আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে মসজিদে উলুধ্বনি হবে। উনারা কিন্তু ১৯৭৫ থেকে শুরু করে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ছিল। আবার ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ছিল। উনারা কিন্তু মসজিদ-মাদরাসা করেনি। উনারা লুটপাট করতে ব্যস্ত ছিল। নিরীহ মানুষ মারতে ব্যস্ত ছিল। আর জননেত্রী শেখ হাসিনা সাত হাজার কোটি টাকা খরচ করে প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ তৈরি করে দিয়েছেন।

২৮ অক্টোবরের কর্মসূচি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘২৮ অক্টোবর বিএনপি তেলেসমাতি দেখাবে। আমরা তো পাকিস্তান আর্মির তেলেসমাতি দেখেছি। উনাদের (বিএনপি) তেলেসমাতি আর কি দেখব? উনাদের নেতারা তো আইছে আর গেছে।’

এর আগে আইনমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ২৫ হাজার চারা বিতরণ করেন।

সভায় আখাউড়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল্লা ভুঁইয়া বাদলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন-উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল প্রমুখ। অন্যদের মধ্যে ছিলেন- আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

নুর-গোলাম পরওয়ারসহ ৩০২ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত

বিএনপি-জামায়াতনির্বাচন বানচাল করতে উঠেপড়ে লেগেছে : অ্যাডভোকেট আনিসুল হক

আপডেট সময় ১০:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৩

সিনিয়র রিপোর্টার : আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, বর্তমান সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশ এখন সারা বিশ্বে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত। বিএনপি-জামায়াতের তা সহ্য হচ্ছে না। তাই বিএনপি-জামায়াত এখন জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। এ দেশের জনগণ তাদের ষড়যন্ত্র সফল হতে দেবে না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সচেতন থাকবেন, ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করতে হবে।’

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে আখাউড়া পৌর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় ট্রেনে ঢাকা থেকে আখাউড়ায় পৌঁছান আইনমন্ত্রী।

আনিসুল হক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন নির্বাচন হবে। ইনশাআল্লাহ সুষ্ঠ, সুন্দর, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচন কেউ ব্যাহত করার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মুখে বুড়ো আঙুল দিয়ে বসে থাকবে না। বাংলাদেশে যারা অশান্তি সৃষ্টি করবে জনগণ তাদেরকে সঠিক জবাব দেবে। সেজন্য আওয়ামী লীগ ছাড়া জনগণের কোনো গতি নাই। তাই আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে আবারও নির্বাচিত করতে হবে।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘কে নির্বাচনে আসবে, আর আসবে না তা বিবেচ্য বিষয় নয়, জনগণ যাতে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে ভোটকেন্দ্রে যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যারা পাকিস্তানকে ভালোবাসে তারা দেশের উন্নয়ন করবে না। এ সময় তিনি নেতা-কর্মীদের আইনমন্ত্রীর পক্ষ হয়ে জনগণের কাছে ভোট চাইতে বলেন।’

আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের লোকজন বলেছিল, আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে মসজিদে উলুধ্বনি হবে। উনারা কিন্তু ১৯৭৫ থেকে শুরু করে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ছিল। আবার ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ছিল। উনারা কিন্তু মসজিদ-মাদরাসা করেনি। উনারা লুটপাট করতে ব্যস্ত ছিল। নিরীহ মানুষ মারতে ব্যস্ত ছিল। আর জননেত্রী শেখ হাসিনা সাত হাজার কোটি টাকা খরচ করে প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ তৈরি করে দিয়েছেন।

২৮ অক্টোবরের কর্মসূচি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘২৮ অক্টোবর বিএনপি তেলেসমাতি দেখাবে। আমরা তো পাকিস্তান আর্মির তেলেসমাতি দেখেছি। উনাদের (বিএনপি) তেলেসমাতি আর কি দেখব? উনাদের নেতারা তো আইছে আর গেছে।’

এর আগে আইনমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ২৫ হাজার চারা বিতরণ করেন।

সভায় আখাউড়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল্লা ভুঁইয়া বাদলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন-উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল প্রমুখ। অন্যদের মধ্যে ছিলেন- আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।