ঢাকা , সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অশুভ খেলার পরিকল্পনা বিএনপির, অভিযোগ ওবায়দুল কাদেরের

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ১০:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৩
  • 143

সিনিয়র রিপোর্টার : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদেরকে সার্বক্ষণিক সতর্ক পাহারায় থাকতে হবে। তাদের (বিএনপি) দুরভিসন্ধি আছে। সাম্প্রদায়িকতাসহ তাদের অশুভ খেলার পরিকল্পনা আছে। বিএনপির নেতা-কর্মীরা আমাদের বিদেশি বন্ধুদের কাছে আমাদেরকে অপমান করেছে। আমাদের আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য যদি জীবন দিতে হয়, আমরা পথ ছাড়বো না। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে শান্তি সমাবেশ করে দেখিয়ে দেবো, আমরা অশান্তির বিরুদ্ধে।’

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

নির্বাচন সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। কাজেই আমরা অশান্তি করতে চাই না। অশান্তি কারা চায়? যারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, যারা দেশের নির্বাচনকে অস্থিতিশীল করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করতে হবে। আজকে ফ্রি-ফেয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি নিচ্ছে। যারা বাংলাদেশের উন্নয়ন চান না, যারা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ থেকে দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় নিয়ে যেতে চায়, তারা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নিয়ে বিএনপি নেতাদের আস্ফালন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে স্থায়ী করেছিলাম। বিএনপি তা বিতর্কিত করেছে। ২০০১ সালে এবং ২০০৬ সালে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে বিতর্কিত করেছে। সংবিধানকে কচুকাটা করেছে বিএনপি। আমরা যা অর্জন করেছিম তাকে অবমাননা করা, ছোট করা, খাটো করা, পক্ষান্তরে আমাদের দেশকে ছোট করা- যে কাজটি বিএনপি করতে চেয়েছে। তাদেরকে আমাদের প্রতিহত করতে হবে।’

বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘অপচেষ্টার বিরুদ্ধে যে চ্যালেঞ্জ তারা নিচ্ছে, আমাদের তার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। দেশ স্বাধীনতার আদর্শ অনুযায়ী চলবে নাকি ‘৪৭-এর দ্বিজাতি তত্ত্বের মাধ্যমে চলবে? তাদের কার্যকলাপ, তাদের মুখের ভাষা, প্রধানমন্ত্রীকে কবরস্থানে পাঠানোর ঘোষণা দেয় তারা, যে দল ‘৭৫-এর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার- শ্লোগান দেয়, তারা কখনও দেশের উন্নয়ন চাইতে পারে না। এই অপশক্তিকে মাথা তুলে দাঁড়াতে দেওয়া যাবে না। চিরতরে এই অপশক্তিকে অবসান করতে হবে। এ জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো ভয় নেই। কিন্তু মানুষ তাদের ভয় পাচ্ছে। কারণ তারা হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। মানুষ মনে করছে, আবার ‘১৪ সালের মতো তারা (বিএনপি নেতাকর্মী) নাশকতা করবে কিনা। আমরা বলতে চাই, আওয়ামী লীগ নেতারা বেঁচে থাকতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিসর্জন দিতে দেবো না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামে অনির্বাচিতদের হাতে কোনোভাবেই ক্ষমতা ছেড়ে দিতে পারি না আমরা। আমাদের প্রতিজ্ঞা, আমরা তাদেরকে প্রতিহত করবো।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীরা কখন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন? বড় বড় কথা বলবেন না। তালিকাটা তৈরি করেন। তারা ডাহা মিথ্যা কথা সাজাচ্ছে। মির্জা ফখরুল আজকে ডাহা মিথ্যাচার করেছে, তিনি বলেছেন, বিএনপিকে নাকি মঞ্চ তৈরি করতে দেওয়া হয় না। আপনারা আসেন, দেখে যান। আপনারা সবাই নিজে নিজের দায়িত্ব নেবেন। এ যুদ্ধ আমাদের সবার। এটা আমাদের বাংলাদেশের আরেক মুক্তিযুদ্ধ। আমরা শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে পারবো। যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ক মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শাজাহান খান, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ফারুক খান, খায়রুজ্জামান লিটন, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফাজাল হোসেন, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, কার্যনির্বাহী সদস্য ও তারানা হালিম।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

এক জোড়া লাল জুতা নিলামে বিক্রি ৩৩৫ কোটিতে

অশুভ খেলার পরিকল্পনা বিএনপির, অভিযোগ ওবায়দুল কাদেরের

আপডেট সময় ১০:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৩

সিনিয়র রিপোর্টার : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদেরকে সার্বক্ষণিক সতর্ক পাহারায় থাকতে হবে। তাদের (বিএনপি) দুরভিসন্ধি আছে। সাম্প্রদায়িকতাসহ তাদের অশুভ খেলার পরিকল্পনা আছে। বিএনপির নেতা-কর্মীরা আমাদের বিদেশি বন্ধুদের কাছে আমাদেরকে অপমান করেছে। আমাদের আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য যদি জীবন দিতে হয়, আমরা পথ ছাড়বো না। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে শান্তি সমাবেশ করে দেখিয়ে দেবো, আমরা অশান্তির বিরুদ্ধে।’

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

নির্বাচন সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। কাজেই আমরা অশান্তি করতে চাই না। অশান্তি কারা চায়? যারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, যারা দেশের নির্বাচনকে অস্থিতিশীল করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করতে হবে। আজকে ফ্রি-ফেয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি নিচ্ছে। যারা বাংলাদেশের উন্নয়ন চান না, যারা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ থেকে দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় নিয়ে যেতে চায়, তারা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নিয়ে বিএনপি নেতাদের আস্ফালন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে স্থায়ী করেছিলাম। বিএনপি তা বিতর্কিত করেছে। ২০০১ সালে এবং ২০০৬ সালে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে বিতর্কিত করেছে। সংবিধানকে কচুকাটা করেছে বিএনপি। আমরা যা অর্জন করেছিম তাকে অবমাননা করা, ছোট করা, খাটো করা, পক্ষান্তরে আমাদের দেশকে ছোট করা- যে কাজটি বিএনপি করতে চেয়েছে। তাদেরকে আমাদের প্রতিহত করতে হবে।’

বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘অপচেষ্টার বিরুদ্ধে যে চ্যালেঞ্জ তারা নিচ্ছে, আমাদের তার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। দেশ স্বাধীনতার আদর্শ অনুযায়ী চলবে নাকি ‘৪৭-এর দ্বিজাতি তত্ত্বের মাধ্যমে চলবে? তাদের কার্যকলাপ, তাদের মুখের ভাষা, প্রধানমন্ত্রীকে কবরস্থানে পাঠানোর ঘোষণা দেয় তারা, যে দল ‘৭৫-এর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার- শ্লোগান দেয়, তারা কখনও দেশের উন্নয়ন চাইতে পারে না। এই অপশক্তিকে মাথা তুলে দাঁড়াতে দেওয়া যাবে না। চিরতরে এই অপশক্তিকে অবসান করতে হবে। এ জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো ভয় নেই। কিন্তু মানুষ তাদের ভয় পাচ্ছে। কারণ তারা হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। মানুষ মনে করছে, আবার ‘১৪ সালের মতো তারা (বিএনপি নেতাকর্মী) নাশকতা করবে কিনা। আমরা বলতে চাই, আওয়ামী লীগ নেতারা বেঁচে থাকতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিসর্জন দিতে দেবো না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামে অনির্বাচিতদের হাতে কোনোভাবেই ক্ষমতা ছেড়ে দিতে পারি না আমরা। আমাদের প্রতিজ্ঞা, আমরা তাদেরকে প্রতিহত করবো।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীরা কখন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন? বড় বড় কথা বলবেন না। তালিকাটা তৈরি করেন। তারা ডাহা মিথ্যা কথা সাজাচ্ছে। মির্জা ফখরুল আজকে ডাহা মিথ্যাচার করেছে, তিনি বলেছেন, বিএনপিকে নাকি মঞ্চ তৈরি করতে দেওয়া হয় না। আপনারা আসেন, দেখে যান। আপনারা সবাই নিজে নিজের দায়িত্ব নেবেন। এ যুদ্ধ আমাদের সবার। এটা আমাদের বাংলাদেশের আরেক মুক্তিযুদ্ধ। আমরা শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে পারবো। যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ক মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শাজাহান খান, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ফারুক খান, খায়রুজ্জামান লিটন, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফাজাল হোসেন, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, কার্যনির্বাহী সদস্য ও তারানা হালিম।