সিনিয়র রিপোর্টার : বিএনপি মহাসমাবেশে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা।
রোববার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত মানববন্ধনে এ আহ্বান জানানো হয়।
মানববন্ধনে জানানো হয়, ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে প্রায় ৩০ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। অনেক সাংবাদিকের গাড়ি, ক্যামেরা ও মোবাইল ভাঙচুর করা হয়েছে।
বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, ‘সাংবাদিকেরা কোনো দলের কর্মী না। আমরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে যাই। আপনারা (বিএনপি) দীর্ঘদিন সংসদে নেই, আপনাদের বাঁচিয়ে রেখেছে গণমাধ্যম। আপনারা এত অকৃতজ্ঞ, এখন সাংবাদিকদের টার্গেট করেছেন। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আপনাদের ক্ষমা চাইতে হবে। ক্ষমা না চাইলে বিএনপির কোনো নেতাকে প্রেসক্লাবে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।’
বিএফইউজে সাধারণ সম্পাদক দীপ আজাদ বলেন, ‘সাংবাদিকেরা জীবন বাজি রেখে সংবাদ সংগ্রহ করে। তারা কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে যায়নি। তাহলে কেন বিশেষ রাজনৈতিক দলের টার্গেটে পরিণত হয়েছে। তাদের সংবাদ সংগ্রহ করতে এতজন সাংবাদিক আহত হয়েছে, বিএনপি এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি।’
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিএনপি বিবৃতি দিয়ে ক্ষমা না চাইলে সংবাদ বর্জনের বিষয় আমরা বিবেচনা করব।’
জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, ‘বিএনপির রাজনৈতিক সমাবেশে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা নজিরবিহীন। আকস্মিকভাবে এই হামলা ছিল পরিকল্পিত। হামলায় জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত সাংবাদিকদের সহযোগিতা করার জন্য দাঁড়াতে হবে। ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে।’
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিএফইউজের কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, সহ–সভাপতি মানিক লাল ঘোষ, কোষাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক শাকিলা পারভীন, টেলিভিশন ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের সদস্যসচিব শাকিল আহমেদ প্রমুখ।