ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফখরুল সাহেব ছাড়া সব নেতা পালিয়েছে, অবরোধ করবে কে?

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৩:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩
  • 55

সিনিয়র রিপোর্টার : বিএনপির ডাকা তিন দিনের অবরোধের নেতৃত্ব দেবে কে? এমন প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির বেঁধে দেওয়া ২৮ ও ২৯ অক্টোবর গেল, আজ ৩০ অক্টোবর আমরা কিন্তু আছি। বিএনপি বলেছিল, তারা এদিন নতুন সরকার গঠন করবে। ফখরুল সাহেব ছাড়া বিএনপির সব নেতা পালিয়ে আছে। তাদের খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। এখন অবরোধ করবে কে? 

সোমবার (৩০ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের দলীয় সংসদ সদস্য এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে এ যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বিদেশিদের কাছে বলছে তারা সমাবেশে করলে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ করে। বিএনপির অবরোধের সঙ্গে পাল্টা কোনো কর্মসূচি দেবে না সরকার। পূর্বঘোষিত শান্তি সমাবেশ অব্যাহত থাকবে। তাদের নেতা-কর্মীরা সমাবেশ থেকে ফিরে গিয়ে বলছেন, এই দল ভুয়া। তাই তাদের নেতা-কর্মীরা দল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। বিএনপির নেতারা বলছেন, তারেক রহমান ভুয়া, ফখরুল ভুয়া। কেউ কেউ কান ধরে দলে ছাড়ার কথা বলছেন। বিএনপির সবকিছু ভুয়া।

পুলিশ সদস্যের হত্যার কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পুলিশের একজন সদস্যকে কীভাবে হত্যা করেছে। এটা দেখুন। কত ভয়ংকর তারা। এটাই হলো তাদের আসল চেহারা। গাজায় যা হচ্ছে, তার চেয়ে ভয়ংকর। বিএনপি সাংবাদিকদের ওপর হামলা করছে, কিন্তু এটা কেন? সাংবাদিকদের ওপর বিএনপি খেপল কেন। সাংবাদিক যা দেখেন, তা লেখেন। যারাই নিরপেক্ষভাবে সংবাদ লেখেন, তারাই বিএনপির চোখে অপরাধী।

নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কেউ ধৈর্য হারাবেন না। শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে সবাই শান্তভাবে ছিল। ২৮ তারিখে রাত দশটার পরে মাঠে ছিলেন। সেদিন আমরা বিজয়ের মতো পরিবেশেই ছিলাম। সামনে নির্বাচন, আমরা বিজয়ের দিকে যাচ্ছি। টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করবে আওয়ামী লীগ। আমাদের নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ পরাজিত করতে পারবে না। গত কয়েকদিন ধরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের যে স্পিরিট ছিল এটা থাকলে আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত।

নভেম্বরে নির্বাচনের ট্রেন ছেড়ে দেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপিবিহীন নির্বাচন করব, এটা আমরা চাই না। নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন হবে। তবে কে এল, আর কে এল না, তার জন্য নির্বাচন থেমে থাকবে না। বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে চায়। যারা নির্বাচন চায়, তারা কখনো এমন সংঘাতের পথ বেছে নিতে পারে না।

নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সক্রিয়ভাবে মাঠে থাকার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ চলমান থাকবে। এ সময় মনোনয়প্রত্যাশীদের ব্যাপারে তিনি বলেন, যারাই দলের মনোনয়ন চাইবে তাদের সকলের আমলনামা শেখ হাসিনার কাছে আছে। তিনি মনোনয়ন দেবেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সহদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

নুর-গোলাম পরওয়ারসহ ৩০২ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত

ফখরুল সাহেব ছাড়া সব নেতা পালিয়েছে, অবরোধ করবে কে?

আপডেট সময় ০৩:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩

সিনিয়র রিপোর্টার : বিএনপির ডাকা তিন দিনের অবরোধের নেতৃত্ব দেবে কে? এমন প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির বেঁধে দেওয়া ২৮ ও ২৯ অক্টোবর গেল, আজ ৩০ অক্টোবর আমরা কিন্তু আছি। বিএনপি বলেছিল, তারা এদিন নতুন সরকার গঠন করবে। ফখরুল সাহেব ছাড়া বিএনপির সব নেতা পালিয়ে আছে। তাদের খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। এখন অবরোধ করবে কে? 

সোমবার (৩০ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের দলীয় সংসদ সদস্য এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে এ যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বিদেশিদের কাছে বলছে তারা সমাবেশে করলে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ করে। বিএনপির অবরোধের সঙ্গে পাল্টা কোনো কর্মসূচি দেবে না সরকার। পূর্বঘোষিত শান্তি সমাবেশ অব্যাহত থাকবে। তাদের নেতা-কর্মীরা সমাবেশ থেকে ফিরে গিয়ে বলছেন, এই দল ভুয়া। তাই তাদের নেতা-কর্মীরা দল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। বিএনপির নেতারা বলছেন, তারেক রহমান ভুয়া, ফখরুল ভুয়া। কেউ কেউ কান ধরে দলে ছাড়ার কথা বলছেন। বিএনপির সবকিছু ভুয়া।

পুলিশ সদস্যের হত্যার কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পুলিশের একজন সদস্যকে কীভাবে হত্যা করেছে। এটা দেখুন। কত ভয়ংকর তারা। এটাই হলো তাদের আসল চেহারা। গাজায় যা হচ্ছে, তার চেয়ে ভয়ংকর। বিএনপি সাংবাদিকদের ওপর হামলা করছে, কিন্তু এটা কেন? সাংবাদিকদের ওপর বিএনপি খেপল কেন। সাংবাদিক যা দেখেন, তা লেখেন। যারাই নিরপেক্ষভাবে সংবাদ লেখেন, তারাই বিএনপির চোখে অপরাধী।

নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কেউ ধৈর্য হারাবেন না। শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে সবাই শান্তভাবে ছিল। ২৮ তারিখে রাত দশটার পরে মাঠে ছিলেন। সেদিন আমরা বিজয়ের মতো পরিবেশেই ছিলাম। সামনে নির্বাচন, আমরা বিজয়ের দিকে যাচ্ছি। টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করবে আওয়ামী লীগ। আমাদের নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ পরাজিত করতে পারবে না। গত কয়েকদিন ধরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের যে স্পিরিট ছিল এটা থাকলে আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত।

নভেম্বরে নির্বাচনের ট্রেন ছেড়ে দেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপিবিহীন নির্বাচন করব, এটা আমরা চাই না। নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন হবে। তবে কে এল, আর কে এল না, তার জন্য নির্বাচন থেমে থাকবে না। বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে চায়। যারা নির্বাচন চায়, তারা কখনো এমন সংঘাতের পথ বেছে নিতে পারে না।

নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সক্রিয়ভাবে মাঠে থাকার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ চলমান থাকবে। এ সময় মনোনয়প্রত্যাশীদের ব্যাপারে তিনি বলেন, যারাই দলের মনোনয়ন চাইবে তাদের সকলের আমলনামা শেখ হাসিনার কাছে আছে। তিনি মনোনয়ন দেবেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সহদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।