ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পোশাক কারখানা বন্ধের হুমকি দিলেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৮:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩
  • 124

অনলাইন ডেস্ক :  পোশাক শ্রমিকরা আন্দোলনের নামে কারখানা ভাঙচুর ও বিক্ষোভ অব্যাহত রাখলে তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) উত্তরায় বিজিএমইএর নিজস্ব ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণে মালিক শ্রমিক ও সরকারের অংশীজনেরা কাজ করে যাচ্ছেন। এই অবস্থায় তৈরি পোশাক কারখানা ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের কোনো কারণ নাই। তারপরও যদি এই ঘটনাগুলো অব্যাহত থাকে, তাহলে মালিকপক্ষ জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে কারখানা বন্ধ করে দিতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা গভীরভাবে লক্ষ্য করছি যে বহিরাগতদের উসকানিতে গত এক সপ্তাহ ধরে শ্রমিক ভাই-বোনেরা কাজ না করে কারখানা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। শ্রমিকেরা কারখানা ভাঙচুর করছে। ফলে অনেকে বাধ্য হচ্ছে কারখানা বন্ধ করে দিতে।’ ফারুক হাসান বলেন, ‘আমি শ্রমিক ভাই-বোনদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই-আপনাদের অবদানের কারণে তৈরি পোশাকশিল্প এ পর্যায়ে আসতে পেরেছে। আপনারা এমন কিছু করবেন না, যাতে তৈরি পোশাক শিল্পের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এবং ক্রেতাদের আস্থা বিনষ্ট হয়।’

তিনি বলেন, ‘শ্রম আইনের ১৩/১ ব্যবহার করে মালিকপক্ষ পোশাক কারখানা বন্ধ করে দিতে পারে। শ্রম আইনের এই ধারায় কারখানা বন্ধ থাকলে শ্রমিকদের বেতন পাওয়ার বিধান নেই।’ এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী, বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি শহিদ উল্লাহ আজিম এবং এস এম মান্নান কচিসহ পোশাক খাতের মালিকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

পোশাক কারখানা বন্ধের হুমকি দিলেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান

আপডেট সময় ০৮:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক :  পোশাক শ্রমিকরা আন্দোলনের নামে কারখানা ভাঙচুর ও বিক্ষোভ অব্যাহত রাখলে তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) উত্তরায় বিজিএমইএর নিজস্ব ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণে মালিক শ্রমিক ও সরকারের অংশীজনেরা কাজ করে যাচ্ছেন। এই অবস্থায় তৈরি পোশাক কারখানা ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের কোনো কারণ নাই। তারপরও যদি এই ঘটনাগুলো অব্যাহত থাকে, তাহলে মালিকপক্ষ জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে কারখানা বন্ধ করে দিতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা গভীরভাবে লক্ষ্য করছি যে বহিরাগতদের উসকানিতে গত এক সপ্তাহ ধরে শ্রমিক ভাই-বোনেরা কাজ না করে কারখানা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। শ্রমিকেরা কারখানা ভাঙচুর করছে। ফলে অনেকে বাধ্য হচ্ছে কারখানা বন্ধ করে দিতে।’ ফারুক হাসান বলেন, ‘আমি শ্রমিক ভাই-বোনদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই-আপনাদের অবদানের কারণে তৈরি পোশাকশিল্প এ পর্যায়ে আসতে পেরেছে। আপনারা এমন কিছু করবেন না, যাতে তৈরি পোশাক শিল্পের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এবং ক্রেতাদের আস্থা বিনষ্ট হয়।’

তিনি বলেন, ‘শ্রম আইনের ১৩/১ ব্যবহার করে মালিকপক্ষ পোশাক কারখানা বন্ধ করে দিতে পারে। শ্রম আইনের এই ধারায় কারখানা বন্ধ থাকলে শ্রমিকদের বেতন পাওয়ার বিধান নেই।’ এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী, বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি শহিদ উল্লাহ আজিম এবং এস এম মান্নান কচিসহ পোশাক খাতের মালিকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।