ঢাকা , শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টাকা-পে’র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৩:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩
  • 131

অনলাইন ডেস্ক : বুধবার (১ নভেম্বর) সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ন্যাশনাল স্কিম ‌‘টাকা পে’র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা যেন সচল থাকে, এ কারণে এই ব্যবস্থাপনা (ন্যাশনাল স্কিম টাকা-পে)। শুধু বাংলাদেশ নয়, আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গেও লেনদেন যাতে নিজস্ব অর্থে করতে পারি, সেই পদক্ষেপ আমরা নিচ্ছি। আলোচনা চলছে, কিছু ক্ষেত্রে অগ্রগতিও হয়েছে।’

কার্ডটি ইস্যু করবে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক ও বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ব্র্যাক। প্রাথমিকভাবে পাইলটভিত্তিতে ‘টাকা পে’ ইস্যু করবে এসব ব্যাংক। কার্ডটি তৈরি করেছে প্যারিসভিত্তিক কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠান ‘ফাইম’।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিকভাবে এটি দেশের ভেতরে ব্যবহার করা যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালিত ইলেকট্রনিক পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম ‘ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ বাংলাদেশ’র ব্যবহারের মাধ্যমে ‘টাকা পে’ জাতীয়ভাবে একই সেবা দেবে। এই প্ল্যাটফর্মে বিদেশি ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান যুক্ত হলে ‘টাকা পে’ বিদেশেও ব্যবহার করা যাবে। অচিরেই এই কার্ডের ব্যবহার ভারতেও সম্প্রসারিত হবে।

এর আগে গত ১৮ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার জানিয়েছিলেন, চিকিৎসা, ভ্রমণসহ বিভিন্ন কাজে প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে অনেকে ভারতে যান। এ জন্য মার্কিন ডলার কিনে ভারতে গিয়ে রুপিতে রূপান্তর করতে হয়। এতে ভ্রমণকারীকে প্রায়ই বিনিময় হারজনিত লোকসানে পড়তে হয়। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে ‘টাকা পে’ নামে ডেবিট কার্ড আনছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে মানুষ টাকা বা রুপি তুলতে পারবে। এটি ভারতে ভ্রমণকারী বাংলাদেশিরা অর্থ প্রদানের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি ১২টি শৈত্যপ্রবাহ ও শিলাবৃষ্টি হতে পারে

টাকা-পে’র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৩:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক : বুধবার (১ নভেম্বর) সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ন্যাশনাল স্কিম ‌‘টাকা পে’র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা যেন সচল থাকে, এ কারণে এই ব্যবস্থাপনা (ন্যাশনাল স্কিম টাকা-পে)। শুধু বাংলাদেশ নয়, আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গেও লেনদেন যাতে নিজস্ব অর্থে করতে পারি, সেই পদক্ষেপ আমরা নিচ্ছি। আলোচনা চলছে, কিছু ক্ষেত্রে অগ্রগতিও হয়েছে।’

কার্ডটি ইস্যু করবে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক ও বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ব্র্যাক। প্রাথমিকভাবে পাইলটভিত্তিতে ‘টাকা পে’ ইস্যু করবে এসব ব্যাংক। কার্ডটি তৈরি করেছে প্যারিসভিত্তিক কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠান ‘ফাইম’।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিকভাবে এটি দেশের ভেতরে ব্যবহার করা যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালিত ইলেকট্রনিক পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম ‘ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ বাংলাদেশ’র ব্যবহারের মাধ্যমে ‘টাকা পে’ জাতীয়ভাবে একই সেবা দেবে। এই প্ল্যাটফর্মে বিদেশি ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান যুক্ত হলে ‘টাকা পে’ বিদেশেও ব্যবহার করা যাবে। অচিরেই এই কার্ডের ব্যবহার ভারতেও সম্প্রসারিত হবে।

এর আগে গত ১৮ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার জানিয়েছিলেন, চিকিৎসা, ভ্রমণসহ বিভিন্ন কাজে প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে অনেকে ভারতে যান। এ জন্য মার্কিন ডলার কিনে ভারতে গিয়ে রুপিতে রূপান্তর করতে হয়। এতে ভ্রমণকারীকে প্রায়ই বিনিময় হারজনিত লোকসানে পড়তে হয়। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে ‘টাকা পে’ নামে ডেবিট কার্ড আনছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে মানুষ টাকা বা রুপি তুলতে পারবে। এটি ভারতে ভ্রমণকারী বাংলাদেশিরা অর্থ প্রদানের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন।