ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হেমায়েতপুর-ভাটারা রুটে মেট্রোরেল লাইন-৫ নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৪:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩
  • 151

সিনিয়র রিপোর্টার : উত্তরা থেকে মতিঝিলের এমআরটি লাইন-৬ উদ্বোধনের দিন এমআরটি লাইন-৫ নর্দান রুটের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (৪ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে হেমায়েতপুর-ভাটারা রুটের এমআরটি লাইন-৫ উদ্বোধন করেন তিনি।

এর আগে দেশের প্রথম এমআরটি লাইন- ৬ এর আগারগাঁও-মতিঝিল অংশে মেট্রোরেল চলাচলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর আগারগাঁও স্টেশন থেকে মেট্রোরেলে রওনা হয়ে ২৫ মিনিট মতিঝিলে পৌঁছান।

এমআরটি লাইন-৫ হবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় পাতাল মেট্রোরেল। এই প্রকল্পে সাভারের হেমায়েতপুর থেকে রাজধানীর ভাটারা পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৫০ কিলোমিটার পাতাল এবং ৬ দশমিক ৫০ কিলোমিটার উড়ালসহ মোট ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোরেল লাইন তৈরি হবে। এর মাঝে যাত্রী ওঠা-নামার জন্য মোট ১৪টি স্টেশন (৯টি পাতাল ও ৫টি উড়াল) থাকবে। প্রকল্পটির কাজ ২০২৮ সালের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা। এ প্রকল্পেও ঋণসহায়তা দিচ্ছে জাইকা।

এমআরটি লাইন-৫ এর রুট অ্যালাইনমেন্ট হলো-হেমায়েতপুর-বলিয়ারপুর-বিলামালিয়া-আমিন বাজার ও গাবতলী। সেখান থেকে দারুস সালাম-মিরপুর ১- মিরপুর ১০-মিরপুর ১৪ ও কচুক্ষেত হয়ে যাবে বনানী। এরপর গুলশান ২ ও নতুনবাজার হয়ে লাইনটি যাবে ভাটারায়। এর মধ্যে হেমায়েতপুর থেকে আমিন বাজার ও ভাটারা এই অংশে মেট্রোরেলের উড়াল পথ হবে। গাবতলী থেকে নতুন বাজার অংশে পাতাল মেট্রোরেল হবে।

প্রসঙ্গত, ১৩.৫ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ অংশ এবং ৬.৫ কিলোমিটার এলিভেটেড অংশ নিয়ে ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ প্রকল্প ২০১৯ সালে অনুমোদন পায়। ২০ কিলোমিটারের মধ্যে নির্মাণ করা হবে ১৪টি স্টেশন, এর মধ্যে নয়টি হবে আন্ডারগ্রাউন্ডে।

ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক গণমাধ্যমকে জানান,  ৪১ হাজার ২৩৯ কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৮ সালে।

এমআরটি লাইন-৫ প্রকল্পের পরিচালক আফতাব হোসেন খান বলেন, সাভারের হেমায়েতপুরে ডিপোর মাটি ও ভূমি উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও জনবল সংগ্রহ করা হয়েছে। ২০২৮ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্য ডিএমটিসিএল-এর। আশা করা হচ্ছে এ রুটের মেট্রোরেলে প্রতিদিন প্রায় ১০ লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করতে পারবে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

হেমায়েতপুর-ভাটারা রুটে মেট্রোরেল লাইন-৫ নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৪:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩

সিনিয়র রিপোর্টার : উত্তরা থেকে মতিঝিলের এমআরটি লাইন-৬ উদ্বোধনের দিন এমআরটি লাইন-৫ নর্দান রুটের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (৪ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে হেমায়েতপুর-ভাটারা রুটের এমআরটি লাইন-৫ উদ্বোধন করেন তিনি।

এর আগে দেশের প্রথম এমআরটি লাইন- ৬ এর আগারগাঁও-মতিঝিল অংশে মেট্রোরেল চলাচলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর আগারগাঁও স্টেশন থেকে মেট্রোরেলে রওনা হয়ে ২৫ মিনিট মতিঝিলে পৌঁছান।

এমআরটি লাইন-৫ হবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় পাতাল মেট্রোরেল। এই প্রকল্পে সাভারের হেমায়েতপুর থেকে রাজধানীর ভাটারা পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৫০ কিলোমিটার পাতাল এবং ৬ দশমিক ৫০ কিলোমিটার উড়ালসহ মোট ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোরেল লাইন তৈরি হবে। এর মাঝে যাত্রী ওঠা-নামার জন্য মোট ১৪টি স্টেশন (৯টি পাতাল ও ৫টি উড়াল) থাকবে। প্রকল্পটির কাজ ২০২৮ সালের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা। এ প্রকল্পেও ঋণসহায়তা দিচ্ছে জাইকা।

এমআরটি লাইন-৫ এর রুট অ্যালাইনমেন্ট হলো-হেমায়েতপুর-বলিয়ারপুর-বিলামালিয়া-আমিন বাজার ও গাবতলী। সেখান থেকে দারুস সালাম-মিরপুর ১- মিরপুর ১০-মিরপুর ১৪ ও কচুক্ষেত হয়ে যাবে বনানী। এরপর গুলশান ২ ও নতুনবাজার হয়ে লাইনটি যাবে ভাটারায়। এর মধ্যে হেমায়েতপুর থেকে আমিন বাজার ও ভাটারা এই অংশে মেট্রোরেলের উড়াল পথ হবে। গাবতলী থেকে নতুন বাজার অংশে পাতাল মেট্রোরেল হবে।

প্রসঙ্গত, ১৩.৫ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ অংশ এবং ৬.৫ কিলোমিটার এলিভেটেড অংশ নিয়ে ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ প্রকল্প ২০১৯ সালে অনুমোদন পায়। ২০ কিলোমিটারের মধ্যে নির্মাণ করা হবে ১৪টি স্টেশন, এর মধ্যে নয়টি হবে আন্ডারগ্রাউন্ডে।

ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক গণমাধ্যমকে জানান,  ৪১ হাজার ২৩৯ কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৮ সালে।

এমআরটি লাইন-৫ প্রকল্পের পরিচালক আফতাব হোসেন খান বলেন, সাভারের হেমায়েতপুরে ডিপোর মাটি ও ভূমি উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও জনবল সংগ্রহ করা হয়েছে। ২০২৮ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্য ডিএমটিসিএল-এর। আশা করা হচ্ছে এ রুটের মেট্রোরেলে প্রতিদিন প্রায় ১০ লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করতে পারবে।