ঢাকা , শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপির আলতাফ চৌধুরী ও শাহজাহান ওমর আটক হয়েছেন

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৩:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০২৩
  • 175

অনলাইন ডেস্ক :   বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও শাহজাহান ওমর র‍্যাবের হাতে আটক হয়েছেন।বিএনপি-জামায়াত ও সমমনাদের ডাকে ৪৮ ঘণ্টা অবরোধ শুরুর আগে শনিবার রাতে বিএনপির এই দুই নেতাকে আটক করা হয়।

র‌্যাব বলছে, গাজীপুরের টঙ্গীর এক বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন আলতাফ হোসেন। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় যে মামলা হয়েছে, সেই মামলায় শনিবার রাতে তাকে আটক করা হয়। র‌্যাব সদরদপ্তর থেকে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, “আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা , নাশকতা ও সহিংসতা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে আটক করা হয়েছে।“

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে ২০০১ থেকে ২০০৪ সালে পর্যন্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন আলতাফ হোসেন চৌধুরী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে র‌্যাব সদর দপ্তরে নেওয়া হয়েছে। আর শাহজাহজান ওমরের পরিবারের সদস্যরা বলেছে, শনিবার রাতে গুলশানের একটি বাসা থেকে তাকে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা। এরপর তাকে মিন্টো রোডে ডিবি পুলিশের অফিসে নেওয়া হয়েছে বলে তারা জানতে পেরেছেন।

গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরুর পর কাকরাইল মোড়ে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকায়।

সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়া হয়। পুলিশ হাসপাতালে ঢুকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন দেওয়া হয়, ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ করা হয় আরো ডজনখানেক যানবাহন। হামলা করা হয় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে। একজন পুলিশ সদস্য এবং যুবদলের এক কর্মী নিহত হন।

সংঘর্ষের পর নগরীর বিভিন্ন থানায় ৩৬টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু ছাড়াও, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, রুহুল কবির রিজভী, আবদুল আউয়াল মিন্টু, বরকতউল্লা বুলু, জয়নুল আবদিন ফারুক, জয়নাল আবেদীন, আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শাহজাহান ওমর, মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ অনেককে আসামি করা হয়।

প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় রমনা থানার মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে। ২৮ অক্টোবর হরতালের ডাক দেওয়ার পরদিন তাকে গুলশানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওইদিন তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে স্থায়ী কমিটির সদস্যা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মির্জা আব্বাস, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন ও ঢাকা মহানগরের আমিনুল হককে গ্রেপ্তার করে বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সরোয়ারকে পাঠানো হয়েছে কারাগারে। সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সকেও শনিবার রাতে নাশকতার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি ১২টি শৈত্যপ্রবাহ ও শিলাবৃষ্টি হতে পারে

বিএনপির আলতাফ চৌধুরী ও শাহজাহান ওমর আটক হয়েছেন

আপডেট সময় ০৩:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক :   বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও শাহজাহান ওমর র‍্যাবের হাতে আটক হয়েছেন।বিএনপি-জামায়াত ও সমমনাদের ডাকে ৪৮ ঘণ্টা অবরোধ শুরুর আগে শনিবার রাতে বিএনপির এই দুই নেতাকে আটক করা হয়।

র‌্যাব বলছে, গাজীপুরের টঙ্গীর এক বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন আলতাফ হোসেন। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় যে মামলা হয়েছে, সেই মামলায় শনিবার রাতে তাকে আটক করা হয়। র‌্যাব সদরদপ্তর থেকে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, “আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা , নাশকতা ও সহিংসতা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে আটক করা হয়েছে।“

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে ২০০১ থেকে ২০০৪ সালে পর্যন্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন আলতাফ হোসেন চৌধুরী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে র‌্যাব সদর দপ্তরে নেওয়া হয়েছে। আর শাহজাহজান ওমরের পরিবারের সদস্যরা বলেছে, শনিবার রাতে গুলশানের একটি বাসা থেকে তাকে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা। এরপর তাকে মিন্টো রোডে ডিবি পুলিশের অফিসে নেওয়া হয়েছে বলে তারা জানতে পেরেছেন।

গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরুর পর কাকরাইল মোড়ে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকায়।

সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়া হয়। পুলিশ হাসপাতালে ঢুকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন দেওয়া হয়, ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ করা হয় আরো ডজনখানেক যানবাহন। হামলা করা হয় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে। একজন পুলিশ সদস্য এবং যুবদলের এক কর্মী নিহত হন।

সংঘর্ষের পর নগরীর বিভিন্ন থানায় ৩৬টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু ছাড়াও, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, রুহুল কবির রিজভী, আবদুল আউয়াল মিন্টু, বরকতউল্লা বুলু, জয়নুল আবদিন ফারুক, জয়নাল আবেদীন, আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শাহজাহান ওমর, মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ অনেককে আসামি করা হয়।

প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় রমনা থানার মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে। ২৮ অক্টোবর হরতালের ডাক দেওয়ার পরদিন তাকে গুলশানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওইদিন তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে স্থায়ী কমিটির সদস্যা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মির্জা আব্বাস, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন ও ঢাকা মহানগরের আমিনুল হককে গ্রেপ্তার করে বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সরোয়ারকে পাঠানো হয়েছে কারাগারে। সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সকেও শনিবার রাতে নাশকতার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।